পালের্মোর বিদায়ী উৎসব
পরশু রাতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই জমিয়ে উৎসব করল আর্জেন্টিনার দুটি ক্লাব। হুরাকানের মাঠে হুরাকানের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় দিয়ে নিশ্চিত হয়েছে আর্জেন্টাইন চ্যাম্পিয়নশিপ ‘ক্লাচুরা’ শিরোপা। ভেলেজ সার্সফিল্ডের উৎসবটা তাই বাঁধভাঙাই হওয়ার কথা।
কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার, সার্সফিল্ডের শিরোপা উৎসবের চেয়েও কয়েক ঘণ্টা আগের বোকা জুনিয়র্স শিবিরের উৎসবটা আলো ছড়ালো বেশি! শিরোপা দূরে থাক, এদিন জয়ের মুখও দেখতে পারেনি ডিয়েগো ম্যারাডোনার সাবেক ক্লাব। ব্যানফিল্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বোকা। তার পরও ক্লাবটির ওই বাঁধভাঙা উৎসবে মেতে উঠার কারণ, পূর্ব ঘোষণামতো এটাই ছিল বোমবোনেরাতে (বোকার মাঠ) মার্টিন পালের্মোর শেষ ম্যাচ।
বিদায়ী ম্যাচে নিজে কোনো গোল পাননি পালের্মো। সতীর্থ নিকোলোস কোলাজোর গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েও জয়োৎসব করতে পারেনি বোকা খেলা শেষের ৬ মিনিট আগে গোল খেয়ে। সমতা ফেরানো গোলটি করেছেন ব্যানফিল্ডের ফ্যাকুন্দো ফেরেইরা। তবে ড্র কিংবা পালের্মোর গোল না পাওয়ায় বোকার সমর্থকেরা প্রভাবিত হয়নি। দলের দীর্ঘ লড়াইয়ের সেনানীর বিদায়-উৎসবটা তারা করেছে জমিয়ে।
ম্যারাডোনাসহ আর্জেন্টিনার শীর্ষ ফুটবল কিংবদন্তিদের নামের সঙ্গেই বোকা জুনিয়র্সের নাম জড়িয়ে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে পালের্মো খুব বড় নন, তবে ৩৭ বছর বয়সী পালের্মোও বোকার এক কিংবদন্তি। ১৯৯৯ সালে অভিষেকের পর আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন মাত্র ১৫টি ম্যাচ। এই পালের্মোকে ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের আর্জেন্টাইন দলে রেখে হইচই ফেলে দেন ম্যারাডোনা। গ্রুপ পর্বে গ্রিসের বিপক্ষে বদলি হিসেবে তাঁকে মাঠেও নামান। মাঠে নামার পর পরই একটা গোল করেন পালের্মো, যেটি তাঁর ক্যারিয়ারে হীরক খণ্ডের মতো এক অর্জন। বিশ্বকাপে তাঁর প্রথম ও শেষ গোল! জাতীয় দলে যেমনই হোক, ক্লাব ফুটবলে পালের্মোর পারফরম্যান্স অসাধারণ। বিশেষ করে বোকা জুনিয়র্সে পালের্মো মানেই গোল।
১৯৯২ সালে এস্তুদিয়ান্তেসের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক। ১৯৯৭ সালে যোগ দেন বোকা জুনিয়র্সে। দুই মেয়াদে এই স্ট্রাইকার বোকাতে কাটিয়েছেন ১০ বছর (১৯৯৭-২০০০ ও ২০০৪-২০১১)। এখানে ৩১৫ (১০২+২১৩) ম্যাচে গোল করেছেন ১৯২টি (৮১+১১১)। বিদায়ী ম্যাচে গোল না পেলেও ক্লাব কর্তৃপক্ষ পালের্মোকে উপহার দিয়েছে অন্য রকম উপহার। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই দুই শুঁড়ওয়ালা ট্র্যাক দিয়ে পুরো গোলপোস্টটাই তুলে তাঁর সামনে দেওয়া হয় উপহার হিসেবে। অনেকের সঙ্গে গ্যালারিতে তখন উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলের শ্রেষ্ঠ সন্তান ডিয়েগো ম্যারাডোনাও।
পালের্মো এমন সম্মান পেয়ে অভিভূত, ‘এ গোলটি ছিল আমার জন্য বিশেষ কিছু। এর জালে লক্ষ্যভেদ করা আমার প্রতিটি মুহূর্তই ছিল আবেগময়।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন পালের্মো, ‘এই মাঠে কত স্মৃতি আমার! আমি কখনোই ভাবিনি, সমর্থকেরা আমাকে এমন ভালোবাসায় ভরিয়ে দেবে...অসাধারণ এই মুহূর্তটি আমি উপভোগ করছি।’
কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার, সার্সফিল্ডের শিরোপা উৎসবের চেয়েও কয়েক ঘণ্টা আগের বোকা জুনিয়র্স শিবিরের উৎসবটা আলো ছড়ালো বেশি! শিরোপা দূরে থাক, এদিন জয়ের মুখও দেখতে পারেনি ডিয়েগো ম্যারাডোনার সাবেক ক্লাব। ব্যানফিল্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বোকা। তার পরও ক্লাবটির ওই বাঁধভাঙা উৎসবে মেতে উঠার কারণ, পূর্ব ঘোষণামতো এটাই ছিল বোমবোনেরাতে (বোকার মাঠ) মার্টিন পালের্মোর শেষ ম্যাচ।
বিদায়ী ম্যাচে নিজে কোনো গোল পাননি পালের্মো। সতীর্থ নিকোলোস কোলাজোর গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েও জয়োৎসব করতে পারেনি বোকা খেলা শেষের ৬ মিনিট আগে গোল খেয়ে। সমতা ফেরানো গোলটি করেছেন ব্যানফিল্ডের ফ্যাকুন্দো ফেরেইরা। তবে ড্র কিংবা পালের্মোর গোল না পাওয়ায় বোকার সমর্থকেরা প্রভাবিত হয়নি। দলের দীর্ঘ লড়াইয়ের সেনানীর বিদায়-উৎসবটা তারা করেছে জমিয়ে।
ম্যারাডোনাসহ আর্জেন্টিনার শীর্ষ ফুটবল কিংবদন্তিদের নামের সঙ্গেই বোকা জুনিয়র্সের নাম জড়িয়ে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে পালের্মো খুব বড় নন, তবে ৩৭ বছর বয়সী পালের্মোও বোকার এক কিংবদন্তি। ১৯৯৯ সালে অভিষেকের পর আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন মাত্র ১৫টি ম্যাচ। এই পালের্মোকে ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের আর্জেন্টাইন দলে রেখে হইচই ফেলে দেন ম্যারাডোনা। গ্রুপ পর্বে গ্রিসের বিপক্ষে বদলি হিসেবে তাঁকে মাঠেও নামান। মাঠে নামার পর পরই একটা গোল করেন পালের্মো, যেটি তাঁর ক্যারিয়ারে হীরক খণ্ডের মতো এক অর্জন। বিশ্বকাপে তাঁর প্রথম ও শেষ গোল! জাতীয় দলে যেমনই হোক, ক্লাব ফুটবলে পালের্মোর পারফরম্যান্স অসাধারণ। বিশেষ করে বোকা জুনিয়র্সে পালের্মো মানেই গোল।
১৯৯২ সালে এস্তুদিয়ান্তেসের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক। ১৯৯৭ সালে যোগ দেন বোকা জুনিয়র্সে। দুই মেয়াদে এই স্ট্রাইকার বোকাতে কাটিয়েছেন ১০ বছর (১৯৯৭-২০০০ ও ২০০৪-২০১১)। এখানে ৩১৫ (১০২+২১৩) ম্যাচে গোল করেছেন ১৯২টি (৮১+১১১)। বিদায়ী ম্যাচে গোল না পেলেও ক্লাব কর্তৃপক্ষ পালের্মোকে উপহার দিয়েছে অন্য রকম উপহার। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই দুই শুঁড়ওয়ালা ট্র্যাক দিয়ে পুরো গোলপোস্টটাই তুলে তাঁর সামনে দেওয়া হয় উপহার হিসেবে। অনেকের সঙ্গে গ্যালারিতে তখন উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলের শ্রেষ্ঠ সন্তান ডিয়েগো ম্যারাডোনাও।
পালের্মো এমন সম্মান পেয়ে অভিভূত, ‘এ গোলটি ছিল আমার জন্য বিশেষ কিছু। এর জালে লক্ষ্যভেদ করা আমার প্রতিটি মুহূর্তই ছিল আবেগময়।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন পালের্মো, ‘এই মাঠে কত স্মৃতি আমার! আমি কখনোই ভাবিনি, সমর্থকেরা আমাকে এমন ভালোবাসায় ভরিয়ে দেবে...অসাধারণ এই মুহূর্তটি আমি উপভোগ করছি।’
No comments