বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা বেড়ে চার কোটি ৩৭ লাখ
বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। যুদ্ধ অথবা নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। আর এসব শরণার্থীর বড় ধাক্কা সামলাচ্ছে দরিদ্র দেশগুলো। বাস্তুচ্যুতদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজনকেই আশ্রয় দিয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। গতকাল সোমবার জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বার্ষিক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৩৭ লাখে। এর আগের বছর এই সংখ্যা ছিল চার কোটি ৩৩ লাখ। গত ১৫ বছরের মধ্যে শরণার্থীর সংখ্যা এখন সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক কোটি ৫৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আর অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়া এই শরণার্থীর শতকরা ৮০ ভাগই আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। দুই কোটি ৭৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে নিজ দেশেই অবস্থান করছে। এ ছাড়া আরও আট লাখ ৫০ হাজার মানুষ অন্য কোনো দেশে আশ্রয়প্রার্থী।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার অ্যান্তোনিও গুতেরেজ এক বিবৃতিতে বলেন, শিল্পোন্নত দেশগুলোতে কথিত শরণার্থীর ঢল নামার আশঙ্কা অতিরঞ্জিত কিংবা বিষয়টিকে ভুল করে অভিবাসন ইস্যুর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয়।
‘গ্লোবাল ট্রেন্ডস ২০১০’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শরণার্থীদের বড় একটি অংশ দরিদ্র দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এদের অর্ধেকেরও বেশির বয়স ১৮ বছরের নিচে।
শরণার্থীদের একটি বড় অংশ আশ্রয় নিয়েছে পাকিস্তান, ইরান ও সিরিয়ায়। এর মধ্যে পাকিস্তানে ১৯ লাখ, ইরানে ১১ লাখ ও সিরিয়ায় ১০ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে আফগানিস্তানে। দেশটির বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। আফগানিস্তানের অনেকেই বেশ কয়েক বছর আগেই দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। এরপর ইরাক, সোমালিয়া ও কঙ্গোর মানুষ বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে ।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক উপহাইকমিশনার আলেকজান্ডার অ্যালেইনিকফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেসব কারণে লোক বাস্তুচ্যুত হচ্ছে, তা এখনো দূর হয়নি। চলতি বছরে আমরা এখন পর্যন্ত উত্তর আফ্রিকা, আইভরি কোস্ট, সিরিয়া, সুদানসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সহিংসতা প্রত্যক্ষ করছি। এসব কারণে অনেক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছে। আর এভাবেই বেড়ে চলেছে শরণার্থীর সংখ্যা।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বার্ষিক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৩৭ লাখে। এর আগের বছর এই সংখ্যা ছিল চার কোটি ৩৩ লাখ। গত ১৫ বছরের মধ্যে শরণার্থীর সংখ্যা এখন সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক কোটি ৫৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আর অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়া এই শরণার্থীর শতকরা ৮০ ভাগই আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। দুই কোটি ৭৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে নিজ দেশেই অবস্থান করছে। এ ছাড়া আরও আট লাখ ৫০ হাজার মানুষ অন্য কোনো দেশে আশ্রয়প্রার্থী।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার অ্যান্তোনিও গুতেরেজ এক বিবৃতিতে বলেন, শিল্পোন্নত দেশগুলোতে কথিত শরণার্থীর ঢল নামার আশঙ্কা অতিরঞ্জিত কিংবা বিষয়টিকে ভুল করে অভিবাসন ইস্যুর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয়।
‘গ্লোবাল ট্রেন্ডস ২০১০’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শরণার্থীদের বড় একটি অংশ দরিদ্র দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এদের অর্ধেকেরও বেশির বয়স ১৮ বছরের নিচে।
শরণার্থীদের একটি বড় অংশ আশ্রয় নিয়েছে পাকিস্তান, ইরান ও সিরিয়ায়। এর মধ্যে পাকিস্তানে ১৯ লাখ, ইরানে ১১ লাখ ও সিরিয়ায় ১০ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে আফগানিস্তানে। দেশটির বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। আফগানিস্তানের অনেকেই বেশ কয়েক বছর আগেই দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। এরপর ইরাক, সোমালিয়া ও কঙ্গোর মানুষ বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে ।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক উপহাইকমিশনার আলেকজান্ডার অ্যালেইনিকফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেসব কারণে লোক বাস্তুচ্যুত হচ্ছে, তা এখনো দূর হয়নি। চলতি বছরে আমরা এখন পর্যন্ত উত্তর আফ্রিকা, আইভরি কোস্ট, সিরিয়া, সুদানসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সহিংসতা প্রত্যক্ষ করছি। এসব কারণে অনেক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছে। আর এভাবেই বেড়ে চলেছে শরণার্থীর সংখ্যা।
No comments