চীনের বন্যাপ্লাবিত অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত লাখো মানুষ ঘরছাড়া
চীনের বন্যাকবলিত মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে গতকাল সোমবার আবারও ভারী বর্ষণ হয়েছে। বন্যায় ওই সব অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অনেকে। লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
চীনের পানিসম্পদমন্ত্রী চেন লি গত রোববার তাঁর মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সতর্ক করে বলেছেন, ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় দক্ষিণাঞ্চল হুমকির মুখে পড়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এ অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যেতে পারে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে চীনের ওই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। লির ভাষ্যমতে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের ১০টিরও বেশি বড় নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী তিন দিন পর্যন্ত ওই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে গ্রীষ্মকালীন ঝড়ের মৌসুমও কাছাকাছি চলে এসেছে।
লি জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুইঝু প্রদেশের ওয়াংমো এলাকায় সম্প্রতি টানা তিন ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ৩১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য অঞ্চলে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে রেকর্ড করা হয়েছে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।
বেইজিং নিউজ জানিয়েছে, বন্যার কারণে ৯ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত আটটি প্রদেশের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। এ ছাড়া হুবেই ও জিয়াংজি প্রদেশের ৬০ লাখ লোক বৃষ্টি বা বন্যার কারণে কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপকূলীয় ঝেজিয়াং প্রদেশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে ২৬ লাখ মানুষ। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১১৯ কোটি ডলার।
চীনের বেসামরিকবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, বৃষ্টি ও বন্যায় গত সপ্তাহে ১৬৮ জন মারা গেছে অথবা নিখোঁজ হয়েছে।
হুবেই, আনহুই ও ঝেজিয়াং প্রদেশে বৃষ্টিপাতের ঘটনা অনেকটা অস্বাভাবিক। এই প্রদেশগুলোর বেশির ভাগ এলাকা কয়েক গত দশক ধরে প্রচণ্ড খরায় পুড়েছে। তবে চীনে প্রতিবছর সাধারণত গ্রীষ্ম মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
চীনে প্রতিবছর এই সময়টায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। গত বছর ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় প্রায় সাড়ে চার হাজার লোক মারা যায় অথবা নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশে গত আগস্টে ভয়াবহ এক ভূমিধসের ঘটনায় মারা যায় দেড় হাজার মানুষ।
চীনের পানিসম্পদমন্ত্রী চেন লি গত রোববার তাঁর মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সতর্ক করে বলেছেন, ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় দক্ষিণাঞ্চল হুমকির মুখে পড়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এ অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যেতে পারে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে চীনের ওই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। লির ভাষ্যমতে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের ১০টিরও বেশি বড় নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী তিন দিন পর্যন্ত ওই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে গ্রীষ্মকালীন ঝড়ের মৌসুমও কাছাকাছি চলে এসেছে।
লি জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুইঝু প্রদেশের ওয়াংমো এলাকায় সম্প্রতি টানা তিন ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ৩১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য অঞ্চলে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে রেকর্ড করা হয়েছে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।
বেইজিং নিউজ জানিয়েছে, বন্যার কারণে ৯ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত আটটি প্রদেশের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। এ ছাড়া হুবেই ও জিয়াংজি প্রদেশের ৬০ লাখ লোক বৃষ্টি বা বন্যার কারণে কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপকূলীয় ঝেজিয়াং প্রদেশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে ২৬ লাখ মানুষ। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১১৯ কোটি ডলার।
চীনের বেসামরিকবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, বৃষ্টি ও বন্যায় গত সপ্তাহে ১৬৮ জন মারা গেছে অথবা নিখোঁজ হয়েছে।
হুবেই, আনহুই ও ঝেজিয়াং প্রদেশে বৃষ্টিপাতের ঘটনা অনেকটা অস্বাভাবিক। এই প্রদেশগুলোর বেশির ভাগ এলাকা কয়েক গত দশক ধরে প্রচণ্ড খরায় পুড়েছে। তবে চীনে প্রতিবছর সাধারণত গ্রীষ্ম মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
চীনে প্রতিবছর এই সময়টায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। গত বছর ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় প্রায় সাড়ে চার হাজার লোক মারা যায় অথবা নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশে গত আগস্টে ভয়াবহ এক ভূমিধসের ঘটনায় মারা যায় দেড় হাজার মানুষ।
No comments