বিশৃঙ্খলার মধ্যে রাজনৈতিক সংস্কার করা হবে না
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশের বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রাজনৈতিক সংস্কার করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন। তবে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা সম্ভব হতে পারে বলে তিনি মত দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বাশার এসব কথা বলেন। ভাষণটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে জাতির উদ্দেশে এটা বাশারের তৃতীয় ভাষণ।
ভাষণে বাশার বলেন, চলমান জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা সম্ভব হতে পারে। এর মাধ্যমে নির্বাচনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে এবং ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির কর্তৃত্বও বিলুপ্ত হতে পারে। তবে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে রয়েছে বলে সতর্ক করে দেন বাশার। তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে পারি, পরবর্তী সময়ের স্লোগান হবে জাতীয় সংলাপ।’
গত মার্চে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে সহিংসতায় বহু মানুষ নিহত হয়। এসব নিহত লোকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বাশার বলেন, ‘স্থিতিশীলতা ছাড়া কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। আন্তর্ঘাত ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে কোনো সংস্কার করাও সম্ভব নয়।’
তবে বাশারের ভাষণের পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বিদ্রোহীরা বলেন, জনাকীর্ণ এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহারসহ সমস্যার সমাধানে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা না দেওয়ায় বাশারের ভাষণ ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাশার সরকারের বিরুদ্ধে অধিকতর অবরোধ আরোপ করার পরিকল্পনা করছে। পরিকল্পনার মধ্যে আছে, অবরোধ কড়াকড়ি করাসহ ২৩ জনের কালো তালিকায় আরও কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করা। তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দ করাসহ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রেসিডেন্ট বাশারসহ তাঁর প্রধান সহযোগীদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেছেন, বাশার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের আহ্বানের প্রতি সাড়া দিক, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটা দেখতে চায়। তিনি বলেন, ‘বাশারের উচিত, সংস্কার আনা অথবা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানো।’
গতকাল সোমবার দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বাশার এসব কথা বলেন। ভাষণটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে জাতির উদ্দেশে এটা বাশারের তৃতীয় ভাষণ।
ভাষণে বাশার বলেন, চলমান জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা সম্ভব হতে পারে। এর মাধ্যমে নির্বাচনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে এবং ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির কর্তৃত্বও বিলুপ্ত হতে পারে। তবে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে রয়েছে বলে সতর্ক করে দেন বাশার। তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে পারি, পরবর্তী সময়ের স্লোগান হবে জাতীয় সংলাপ।’
গত মার্চে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে সহিংসতায় বহু মানুষ নিহত হয়। এসব নিহত লোকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বাশার বলেন, ‘স্থিতিশীলতা ছাড়া কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। আন্তর্ঘাত ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে কোনো সংস্কার করাও সম্ভব নয়।’
তবে বাশারের ভাষণের পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বিদ্রোহীরা বলেন, জনাকীর্ণ এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহারসহ সমস্যার সমাধানে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা না দেওয়ায় বাশারের ভাষণ ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাশার সরকারের বিরুদ্ধে অধিকতর অবরোধ আরোপ করার পরিকল্পনা করছে। পরিকল্পনার মধ্যে আছে, অবরোধ কড়াকড়ি করাসহ ২৩ জনের কালো তালিকায় আরও কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করা। তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দ করাসহ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রেসিডেন্ট বাশারসহ তাঁর প্রধান সহযোগীদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেছেন, বাশার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের আহ্বানের প্রতি সাড়া দিক, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটা দেখতে চায়। তিনি বলেন, ‘বাশারের উচিত, সংস্কার আনা অথবা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানো।’
No comments