মিসরের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ অবৈধ ঘোষণা
মিসরের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ বা শুরা কাউন্সিল এবং নতুন সংবিধান প্রণয়নকারী প্যানেলকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। পার্লামেন্টের একজন স্বতন্ত্র সদস্য শুরা কাউন্সিলের বিরুদ্ধে মামলা করার পর গতকাল রোববার আদালত এই রায় দেন।
আদালত তাঁর রায়ে বলেন, শুরা কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচনসংক্রান্ত আইন এবং সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত প্যানেল অবৈধ।
দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট মুরসি নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য ১০০ সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করেছিলেন। গত ডিসেম্বরে এক গণভোটের মাধ্যমে ওই প্যানেলের প্রণীত বিতর্কিত সংবিধান অনুমোদিত হয়।
মিসরে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। বর্তমান শুরা কাউন্সিল ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড নিয়ন্ত্রিত। এ কাউন্সিল অবৈধ ঘোষিত হলেও আদালত বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পার্লামেন্ট গঠিত না হওয়া পর্যন্ত এটি ভেঙে দেওয়া যাবে না।
এই রায়ে বিচার বিভাগীয় সংস্কার নিয়ে মুসলিম ব্রাদারহুড ও বিচার বিভাগের মধ্যে বিদ্যমান চাপা উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ইসলামপন্থীরা মনে করছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের আমলে নিয়োগ পাওয়া বিচারকদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য সংস্কার দরকার। তবে বিচারকেরা এটিকে তাঁদের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চালানোর উদ্যোগ মনে করেন।
একই ধরনের একটি মামলার রায়ে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের সদস্য নির্বাচনের আইনকে গত বছর অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এর জের ধরে তখন পার্লামেন্টের মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বাধীন নিম্নকক্ষ ভেঙে দেওয়া হয়।
বিরোধীদের অভিযোগ, ইসলামপন্থী লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন ও নানা ধরনের ফাঁকফোকর থাকা দুর্বল আইন পাসের জন্য প্রেসিডেন্ট মুরসি শুরা কাউন্সিলকে ব্যবহার করে আসছেন।
আদালত তাঁর রায়ে বলেন, শুরা কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচনসংক্রান্ত আইন এবং সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত প্যানেল অবৈধ।
দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট মুরসি নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য ১০০ সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করেছিলেন। গত ডিসেম্বরে এক গণভোটের মাধ্যমে ওই প্যানেলের প্রণীত বিতর্কিত সংবিধান অনুমোদিত হয়।
মিসরে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। বর্তমান শুরা কাউন্সিল ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড নিয়ন্ত্রিত। এ কাউন্সিল অবৈধ ঘোষিত হলেও আদালত বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পার্লামেন্ট গঠিত না হওয়া পর্যন্ত এটি ভেঙে দেওয়া যাবে না।
এই রায়ে বিচার বিভাগীয় সংস্কার নিয়ে মুসলিম ব্রাদারহুড ও বিচার বিভাগের মধ্যে বিদ্যমান চাপা উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ইসলামপন্থীরা মনে করছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের আমলে নিয়োগ পাওয়া বিচারকদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য সংস্কার দরকার। তবে বিচারকেরা এটিকে তাঁদের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চালানোর উদ্যোগ মনে করেন।
একই ধরনের একটি মামলার রায়ে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের সদস্য নির্বাচনের আইনকে গত বছর অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এর জের ধরে তখন পার্লামেন্টের মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বাধীন নিম্নকক্ষ ভেঙে দেওয়া হয়।
বিরোধীদের অভিযোগ, ইসলামপন্থী লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন ও নানা ধরনের ফাঁকফোকর থাকা দুর্বল আইন পাসের জন্য প্রেসিডেন্ট মুরসি শুরা কাউন্সিলকে ব্যবহার করে আসছেন।
No comments