বায়ার্নের মাথায় ত্রিমুকুট
মঞ্চটা প্রস্তুত ছিল। বড় দুই ট্রফি জেতা হয়েছিল আগেই, অপেক্ষা ছিল তৃতীয়টির জন্য। সেই অপেক্ষাও ফুরোল। স্টুটগার্টকে ৩-২ গোলে হারিয়ে পরশু জার্মান কাপ জিতল বায়ার্ন মিউনিখ, গড়ল ট্রেবল জয়ের অনন্য কীর্তি। এর আগে মাত্র ছয়টি ক্লাব এটা করতে পেরেছে। দুর্দান্ত একটা মৌসুমের শেষটা এর চেয়ে আর ভালোভাবে শেষ হতে পারত না বায়ার্নের।
তবে বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে স্টুটগার্ট একটু ভয়ই ধরিয়ে দিয়েছিল বায়ার্নকে। টমাস মুলার ও মারিও গোমেজের জোড়া গোলে ৬১ মিনিটের মধ্যে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ইউরোপ-সেরা ক্লাবটি। এরপরই মার্টিন হারনিক ২ গোল করে দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফেরান স্টুটগার্টকে। শেষ মুহূর্তে ম্যানুয়েল নয়্যার অসাধারণ একটা সেভ না করলে বায়ার্নকে আরও কাঠখড়ই হয়তো পোড়াতে হতো।
সেটা হয়নি বলেই বিদায়ী কোচ ইয়ুপ হেইঙ্কেসও মাঠ ছেড়েছেন দারুণ এক তৃপ্তি নিয়েই। রেকর্ড বইয়ের অনেকগুলো পাতা নতুন করে লিখে বুন্দেসলিগা জয়, ইউরোপ-সেরার তকমা, এরপর জার্মান কাপ। হেইঙ্কেস বায়ার্ন-রূপকথারই রূপকার। এই অর্জন উত্তরসূরি পেপ গার্দিওলার কাজটাকে কঠিন করে দেবে সন্দেহ নেই। সামনের মৌসুমে যখন সাবেক বার্সা কোচ বায়ার্নের দায়িত্ব নেবেন, প্রত্যাশার আকাশছোঁয়া চাপ থাকবে তাঁর ওপর!
বায়ার্ন থেকে বিদায় নিচ্ছেন বটে, কিন্তু হেইঙ্কেস কোচিংকে বিদায় জানাননি। আগামীকাল বায়ার্নের অনুশীলন মাঠ সাবেনার স্ট্রাসেতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন কথা, ‘আমি সাবেনার স্ট্রাসেতে সংবাদ সম্মেলনে সবকিছু জানাব। ওই দিনই মিউনিখের সাংবাদিকদের আমি বিদায় জানাব। তখনই আমি জানাব আমি আর চালিয়ে যাব নাকি এখানেই শেষ করব।’ বেশ কিছুদিন থেকেই শোনা যাচ্ছে, রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারেন আবারও। রিয়ালকে ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছেন হেইঙ্কেস। বার্নাব্যুতে আবার ফিরে যাবেন কি না, সেটা জানতে তাই কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
তবে যে ক্লাবকে নিয়ে গেছেন অস্পর্শনীয় উচ্চতায়, তাদের কাছ থেকে নিশ্চিতই বিদায় নিয়ে নিয়েছেন। বিদায়বেলায় আবেগ ভাসিয়ে নিয়ে গেল এই সাফল্যের কারিগরকে, ‘এটা অনেক আবেগের একটা মুহূর্ত। আমার দল আমাকে সবচেয়ে ভালো উপহারটাই দিয়েছে। এটা ক্লাব ও দলের কাছে তো বটেই, আমার কাছেও অনেক কিছু। এটা ঐতিহাসিক। গত ৫০ বছরের বুন্দেসলিগা ইতিহাসে এটা কখনো হয়নি। আমরা অনেক রেকর্ড ভেঙেছি। এর আগে খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছিলাম। তবে কোচ হিসেবে এই প্রথম জার্মান কাপ জিতলাম।’
অনেক তৃপ্তির মধ্যে সবচেয়ে বড়টা হলো, বায়ার্নের মধ্যে জিগীষার যে বীজ বুনে দিয়েছেন, সেটা মহিরুহ হয়ে ওঠার সব রকম সুযোগই আছে। চ্যাম্পিয়নস লিগে যে প্রবল পরাক্রম দেখাল, তাতে সত্তর দশকের মতো আরেকটি ‘বায়ার্ন-যুগ’ সমাসন্ন বলেই হেইঙ্কেসের বিশ্বাস, ‘বায়ার্নকে এখন দেখাতে হবে তারা আরও অনেক কিছু অর্জন করতে পারে। এটা খুবই সম্ভব যে ইউরোপে একটা নতুন যুগ শুরু হতে যাচ্ছে। আর সেটা বায়ার্নের যুগ।’ এএফপি।
ট্রেবলজয়ী সাত ক্লাব
সেল্টিক, ১৯৬৬-৬৭
আয়াক্স, ১৯৭১-৭২
পিএসভি আইন্দহোফেন, ১৯৭১-৭২
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ১৯৯৮-৯৯
বার্সেলোনা, ২০০৮-০৯
ইন্টার মিলান, ২০০৯-১০
বায়ার্ন মিউনিখ, ২০১২-১৩
তবে বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে স্টুটগার্ট একটু ভয়ই ধরিয়ে দিয়েছিল বায়ার্নকে। টমাস মুলার ও মারিও গোমেজের জোড়া গোলে ৬১ মিনিটের মধ্যে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ইউরোপ-সেরা ক্লাবটি। এরপরই মার্টিন হারনিক ২ গোল করে দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফেরান স্টুটগার্টকে। শেষ মুহূর্তে ম্যানুয়েল নয়্যার অসাধারণ একটা সেভ না করলে বায়ার্নকে আরও কাঠখড়ই হয়তো পোড়াতে হতো।
সেটা হয়নি বলেই বিদায়ী কোচ ইয়ুপ হেইঙ্কেসও মাঠ ছেড়েছেন দারুণ এক তৃপ্তি নিয়েই। রেকর্ড বইয়ের অনেকগুলো পাতা নতুন করে লিখে বুন্দেসলিগা জয়, ইউরোপ-সেরার তকমা, এরপর জার্মান কাপ। হেইঙ্কেস বায়ার্ন-রূপকথারই রূপকার। এই অর্জন উত্তরসূরি পেপ গার্দিওলার কাজটাকে কঠিন করে দেবে সন্দেহ নেই। সামনের মৌসুমে যখন সাবেক বার্সা কোচ বায়ার্নের দায়িত্ব নেবেন, প্রত্যাশার আকাশছোঁয়া চাপ থাকবে তাঁর ওপর!
বায়ার্ন থেকে বিদায় নিচ্ছেন বটে, কিন্তু হেইঙ্কেস কোচিংকে বিদায় জানাননি। আগামীকাল বায়ার্নের অনুশীলন মাঠ সাবেনার স্ট্রাসেতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন কথা, ‘আমি সাবেনার স্ট্রাসেতে সংবাদ সম্মেলনে সবকিছু জানাব। ওই দিনই মিউনিখের সাংবাদিকদের আমি বিদায় জানাব। তখনই আমি জানাব আমি আর চালিয়ে যাব নাকি এখানেই শেষ করব।’ বেশ কিছুদিন থেকেই শোনা যাচ্ছে, রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারেন আবারও। রিয়ালকে ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছেন হেইঙ্কেস। বার্নাব্যুতে আবার ফিরে যাবেন কি না, সেটা জানতে তাই কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
তবে যে ক্লাবকে নিয়ে গেছেন অস্পর্শনীয় উচ্চতায়, তাদের কাছ থেকে নিশ্চিতই বিদায় নিয়ে নিয়েছেন। বিদায়বেলায় আবেগ ভাসিয়ে নিয়ে গেল এই সাফল্যের কারিগরকে, ‘এটা অনেক আবেগের একটা মুহূর্ত। আমার দল আমাকে সবচেয়ে ভালো উপহারটাই দিয়েছে। এটা ক্লাব ও দলের কাছে তো বটেই, আমার কাছেও অনেক কিছু। এটা ঐতিহাসিক। গত ৫০ বছরের বুন্দেসলিগা ইতিহাসে এটা কখনো হয়নি। আমরা অনেক রেকর্ড ভেঙেছি। এর আগে খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছিলাম। তবে কোচ হিসেবে এই প্রথম জার্মান কাপ জিতলাম।’
অনেক তৃপ্তির মধ্যে সবচেয়ে বড়টা হলো, বায়ার্নের মধ্যে জিগীষার যে বীজ বুনে দিয়েছেন, সেটা মহিরুহ হয়ে ওঠার সব রকম সুযোগই আছে। চ্যাম্পিয়নস লিগে যে প্রবল পরাক্রম দেখাল, তাতে সত্তর দশকের মতো আরেকটি ‘বায়ার্ন-যুগ’ সমাসন্ন বলেই হেইঙ্কেসের বিশ্বাস, ‘বায়ার্নকে এখন দেখাতে হবে তারা আরও অনেক কিছু অর্জন করতে পারে। এটা খুবই সম্ভব যে ইউরোপে একটা নতুন যুগ শুরু হতে যাচ্ছে। আর সেটা বায়ার্নের যুগ।’ এএফপি।
ট্রেবলজয়ী সাত ক্লাব
সেল্টিক, ১৯৬৬-৬৭
আয়াক্স, ১৯৭১-৭২
পিএসভি আইন্দহোফেন, ১৯৭১-৭২
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ১৯৯৮-৯৯
বার্সেলোনা, ২০০৮-০৯
ইন্টার মিলান, ২০০৯-১০
বায়ার্ন মিউনিখ, ২০১২-১৩
No comments