গোপন চুক্তিমতো পাকিস্তানে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র!
আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে থাকলে তাঁকে ধরতে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে দেশটিতে অভিযান চালাতে পারবে। ১০ বছর আগেই এমন একটি গোপন চুক্তি স্বাক্ষর করে ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটন। গত সোমবার এ তথ্য ফাঁস করে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।
দ্য গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই চুক্তিতে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ও পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফ নিজ নিজ দেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের সময় ওসামা মার্কিন বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তোরাবোরা পর্বতের গুহা থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এরপর ওই চুক্তি স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান।
দ্য গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদন মতে, চুক্তি অনুযায়ী আল-কায়েদার প্রধান ওসামা, তাঁর ডেপুটি আইমান আল-জাওয়াহিরি ও তাঁদের তৃতীয় প্রধান নেতাকে ধরতে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে পাকিস্তানের মাটিতে অভিযান চালাতে পারবে। এ জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন, এমন মার্কিন ঊর্ধ্বতন সাবেক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বুশ ও মোশাররফের মধ্যে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র কোনো সময় যদি জানতে পারে, ওসামা কোথায় আছেন, তাহলে সেখানে অভিযান চালাতে এবং তাঁকে আটক করতে পারবে।’ ওসামাকে হত্যার পর পাকিস্তানের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটবে, এটা আগে থেকেই আমাদের জানা ছিল।’
পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, মোশাররফ ও বুশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি নবায়নও করা হয়। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ২০০৮ সালে চুক্তিটি নবায়ন করে। ওই সময় পারভেজ মোশাররফ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পাকিস্তানের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমাদের মার্কিন বন্ধুরা ওই চুক্তি সম্পর্কে জানতেন, তাঁরা চুক্তিটির বাস্তবায়ন করেছেন মাত্র।’
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে অ্যাবোটাবাদে গত ২ মে মার্কিন অভিযানে নিহত হন ওসামা। ইসলামাবাদকে না জানিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে এ ধরনের মার্কিন অভিযানের বিরুদ্ধে দেশটিতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিভিন্ন স্থানে মার্কিনবিরোধী বিক্ষোভ হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘ইসলামাবাদ পুরো শক্তি ব্যবহার করে এ ধরনের অভিযান রুখে দেওয়ার অধিকার রাখে।’ সব মিলিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। এমন সময় ওই চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ করল দ্য গার্ডিয়ান।
মোশাররফের অস্বীকার: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা অস্বীকার করেছেন মোশাররফ। পাকিস্তানের সাবেক এই প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার বলেন, এমন চুক্তি স্বাক্ষরের খবর একেবারেই ভিত্তিহীন। মোশাররফের আমলে এমন কোনো চুক্তি তো দূরের কথা, মৌখিক কোনো বোঝাপড়াও হয়নি। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানে অভিযান চালানোর ব্যাপারে মার্কিন অনুরোধ সব সময় নাকচ করে দিয়েছেন মোশাররফ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এসব কথা বলেন ফাওয়াদ চৌধুরী। মোশাররফ বর্তমানে দুবাইয়ে আছেন।
দ্য গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই চুক্তিতে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ও পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফ নিজ নিজ দেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের সময় ওসামা মার্কিন বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তোরাবোরা পর্বতের গুহা থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এরপর ওই চুক্তি স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান।
দ্য গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদন মতে, চুক্তি অনুযায়ী আল-কায়েদার প্রধান ওসামা, তাঁর ডেপুটি আইমান আল-জাওয়াহিরি ও তাঁদের তৃতীয় প্রধান নেতাকে ধরতে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে পাকিস্তানের মাটিতে অভিযান চালাতে পারবে। এ জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন, এমন মার্কিন ঊর্ধ্বতন সাবেক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বুশ ও মোশাররফের মধ্যে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র কোনো সময় যদি জানতে পারে, ওসামা কোথায় আছেন, তাহলে সেখানে অভিযান চালাতে এবং তাঁকে আটক করতে পারবে।’ ওসামাকে হত্যার পর পাকিস্তানের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটবে, এটা আগে থেকেই আমাদের জানা ছিল।’
পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, মোশাররফ ও বুশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি নবায়নও করা হয়। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ২০০৮ সালে চুক্তিটি নবায়ন করে। ওই সময় পারভেজ মোশাররফ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পাকিস্তানের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমাদের মার্কিন বন্ধুরা ওই চুক্তি সম্পর্কে জানতেন, তাঁরা চুক্তিটির বাস্তবায়ন করেছেন মাত্র।’
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে অ্যাবোটাবাদে গত ২ মে মার্কিন অভিযানে নিহত হন ওসামা। ইসলামাবাদকে না জানিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে এ ধরনের মার্কিন অভিযানের বিরুদ্ধে দেশটিতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিভিন্ন স্থানে মার্কিনবিরোধী বিক্ষোভ হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘ইসলামাবাদ পুরো শক্তি ব্যবহার করে এ ধরনের অভিযান রুখে দেওয়ার অধিকার রাখে।’ সব মিলিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। এমন সময় ওই চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ করল দ্য গার্ডিয়ান।
মোশাররফের অস্বীকার: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা অস্বীকার করেছেন মোশাররফ। পাকিস্তানের সাবেক এই প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার বলেন, এমন চুক্তি স্বাক্ষরের খবর একেবারেই ভিত্তিহীন। মোশাররফের আমলে এমন কোনো চুক্তি তো দূরের কথা, মৌখিক কোনো বোঝাপড়াও হয়নি। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানে অভিযান চালানোর ব্যাপারে মার্কিন অনুরোধ সব সময় নাকচ করে দিয়েছেন মোশাররফ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এসব কথা বলেন ফাওয়াদ চৌধুরী। মোশাররফ বর্তমানে দুবাইয়ে আছেন।
No comments