গাদ্দাফির বাসভবন লক্ষ্য করে আবার ন্যাটোর হামলা
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে দেশটির নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বাসভবন চত্বর লক্ষ্য করে গতকাল মঙ্গলবার আবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে সামরিক জোট ন্যাটো। এর কয়েক ঘণ্টা আগে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কার্যালয়ের কাছের সরকারি কয়েকটি ভবনে হামলা চালানো হয়।
জাতিসংঘের সহায়তাবিষয়ক প্রধান ভ্যালেরি অ্যামোস মানবিক বিপর্যয় এড়াতে লিবিয়ায় সাময়িকভাবে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতায় গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। বিদ্রোহীরা দাবি করে, গত সোমবার তারা মিসরাতার পশ্চিমাঞ্চলের একটি সড়ক দখল করে নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালের দিকে ন্যাটোর কয়েকটি জেট বিমান থেকে ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির বাসভবন চত্বর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ত্রিপোলির ওপর দিয়ে জেট বিমান উড়ে যাওয়ার পর তিন ঘণ্টার মধ্যে অন্তত আটটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
লিবিয়ার কর্মকর্তারা জানান, ন্যাটো ত্রিপোলিতে রাতভর হামলা চালায়। হামলার কারণে ভবনের চূর্ণবিচূর্ণ কাচ ছুটে গিয়ে চার শিশু আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই দুজনকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
ন্যাটোর প্রধান ফগ রাসমুসেন বলেছেন, ‘গাদ্দাফির দ্রুত বোঝা উচিত, তাঁর এবং তাঁর সরকারের ভবিষ্যৎ বলতে আর কিছু নেই।’ রাসমুসেনের এই বক্তব্যের পর ত্রিপোলিতে এই হামলা চালানো হলো।
গত ৩১ মার্চ থেকে লিবিয়া অভিযানের নেতৃত্ব নেয় ন্যাটো। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় ন্যাটোর হামলায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখানোর জন্য ত্রিপোলিতে থাকা বিদেশি সাংবাদিকদের হামলাস্থলে নিয়ে যান লিবিয়ার কর্মকর্তারা। বিদেশি সাংবাদিকেরা দুটি স্থান পরিদর্শন করেন। প্রথম স্থানটিতে গিয়ে সাংবাদিকেরা দেখেন, সরকারি একটি ভবন পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে। কর্মকর্তারা জানান, গত ৩০ এপ্রিল হামলায় এই ভবনটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য স্থানে গিয়ে টেলিযোগাযোগের বিধ্বস্ত একটি টাওয়ার দেখা যায়। এটি মুঠোফোনের নেটওয়ার্কের টাওয়ার বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা।
লিবিয়ায় মানবিক বিপর্যয় এড়ানোর জন্য যুদ্ধ সাময়িকভাবে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ভ্যালেরি অ্যামোস বলেন, মিসরাতার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সেখানে খাদ্য ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। লিবিয়া যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ যাতে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান দেখায় এবং আইন মেনে চলে তা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিও তিনি আহ্বান জানান। অ্যামোস বলেন, যুদ্ধে গুচ্ছ বোমা, সাগর ও ভূমি মাইন ব্যবহার করা হচ্ছে, বিমান থেকে হামলা চালানো হচ্ছে। এসব দেখে মনে হয়, সব পক্ষই বেসামরিক জনগণের ব্যাপারে উদাসীন।
রেডক্রসের একটি জাহাজ গত সোমবার মিসরাতায় পৌঁছেছে। জাহাজটিতে চিকিৎসা সরঞ্জাম, শিশুখাদ্য, বৈদ্যুতিক ও পানি সরবরাহের বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে।
লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একমাত্র মিসরাতা শহরটিই এখন পর্যন্ত দখলে রাখতে পেরেছে বিদ্রোহীরা। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রত্যক্ষদর্শী একজন সাংবাদিক জানান, সোমবার দুই পক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষের পর মিসরাতার পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার একটি সড়ক দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের মুখপাত্র মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা গাদ্দাফি বাহিনীকে মিসরাতা থেকে বের করে দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের নৈতিক মনোবল এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি দৃঢ়। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
৬০০ যাত্রী নিয়ে ডুবে গেছে জাহাজ
ত্রিপোলি বন্দর থেকে একটু দূরে ৬০০ যাত্রী নিয়ে একটি জাহাজ ডুবে গেছে। মিসরাতা থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ওই জাহাজে ওঠে। ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠায় জাহাজটি ভেঙে গিয়ে ডুবে যায় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা জানায়, সাগরে মানুষ ভেসে যেতে দেখা যায়। অনেকেই সাঁতরে তীরে ওঠেন। সংস্থাটির মুখপাত্র লাউরা বোলডিরিনি জানান, জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর যাত্রীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে। গত শুক্রবার জাহাজটি ডুবে যায়।
জাতিসংঘের সহায়তাবিষয়ক প্রধান ভ্যালেরি অ্যামোস মানবিক বিপর্যয় এড়াতে লিবিয়ায় সাময়িকভাবে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতায় গাদ্দাফির অনুগত সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। বিদ্রোহীরা দাবি করে, গত সোমবার তারা মিসরাতার পশ্চিমাঞ্চলের একটি সড়ক দখল করে নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালের দিকে ন্যাটোর কয়েকটি জেট বিমান থেকে ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির বাসভবন চত্বর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ত্রিপোলির ওপর দিয়ে জেট বিমান উড়ে যাওয়ার পর তিন ঘণ্টার মধ্যে অন্তত আটটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
লিবিয়ার কর্মকর্তারা জানান, ন্যাটো ত্রিপোলিতে রাতভর হামলা চালায়। হামলার কারণে ভবনের চূর্ণবিচূর্ণ কাচ ছুটে গিয়ে চার শিশু আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই দুজনকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
ন্যাটোর প্রধান ফগ রাসমুসেন বলেছেন, ‘গাদ্দাফির দ্রুত বোঝা উচিত, তাঁর এবং তাঁর সরকারের ভবিষ্যৎ বলতে আর কিছু নেই।’ রাসমুসেনের এই বক্তব্যের পর ত্রিপোলিতে এই হামলা চালানো হলো।
গত ৩১ মার্চ থেকে লিবিয়া অভিযানের নেতৃত্ব নেয় ন্যাটো। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় ন্যাটোর হামলায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখানোর জন্য ত্রিপোলিতে থাকা বিদেশি সাংবাদিকদের হামলাস্থলে নিয়ে যান লিবিয়ার কর্মকর্তারা। বিদেশি সাংবাদিকেরা দুটি স্থান পরিদর্শন করেন। প্রথম স্থানটিতে গিয়ে সাংবাদিকেরা দেখেন, সরকারি একটি ভবন পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে। কর্মকর্তারা জানান, গত ৩০ এপ্রিল হামলায় এই ভবনটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য স্থানে গিয়ে টেলিযোগাযোগের বিধ্বস্ত একটি টাওয়ার দেখা যায়। এটি মুঠোফোনের নেটওয়ার্কের টাওয়ার বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা।
লিবিয়ায় মানবিক বিপর্যয় এড়ানোর জন্য যুদ্ধ সাময়িকভাবে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ভ্যালেরি অ্যামোস বলেন, মিসরাতার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সেখানে খাদ্য ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। লিবিয়া যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ যাতে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান দেখায় এবং আইন মেনে চলে তা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিও তিনি আহ্বান জানান। অ্যামোস বলেন, যুদ্ধে গুচ্ছ বোমা, সাগর ও ভূমি মাইন ব্যবহার করা হচ্ছে, বিমান থেকে হামলা চালানো হচ্ছে। এসব দেখে মনে হয়, সব পক্ষই বেসামরিক জনগণের ব্যাপারে উদাসীন।
রেডক্রসের একটি জাহাজ গত সোমবার মিসরাতায় পৌঁছেছে। জাহাজটিতে চিকিৎসা সরঞ্জাম, শিশুখাদ্য, বৈদ্যুতিক ও পানি সরবরাহের বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে।
লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একমাত্র মিসরাতা শহরটিই এখন পর্যন্ত দখলে রাখতে পেরেছে বিদ্রোহীরা। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রত্যক্ষদর্শী একজন সাংবাদিক জানান, সোমবার দুই পক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষের পর মিসরাতার পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার একটি সড়ক দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের মুখপাত্র মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা গাদ্দাফি বাহিনীকে মিসরাতা থেকে বের করে দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের নৈতিক মনোবল এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি দৃঢ়। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
৬০০ যাত্রী নিয়ে ডুবে গেছে জাহাজ
ত্রিপোলি বন্দর থেকে একটু দূরে ৬০০ যাত্রী নিয়ে একটি জাহাজ ডুবে গেছে। মিসরাতা থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ওই জাহাজে ওঠে। ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠায় জাহাজটি ভেঙে গিয়ে ডুবে যায় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা জানায়, সাগরে মানুষ ভেসে যেতে দেখা যায়। অনেকেই সাঁতরে তীরে ওঠেন। সংস্থাটির মুখপাত্র লাউরা বোলডিরিনি জানান, জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর যাত্রীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে। গত শুক্রবার জাহাজটি ডুবে যায়।
No comments