মেসিদের দেখতে চান?
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। বেশ কয়েক দিন আগেই এটা চূড়ান্ত করে ফেলেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এখনো তিন মাস ১০ দিন বাকি। তবে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঐতিহাসিক এই আয়োজনের প্রস্তুতি।
নিরাপত্তা, টিকিটের দাম নির্ধারণ, দুই দলের থাকা-খাওয়া, টিভি-স্বত্ব, স্টেডিয়ামের প্রস্তুতি—এই বিষয়গুলো নিয়ে এখন যৌথভাবে কাজ করছে বাফুফে ও পৃষ্ঠপোষক বেক্সিমকো গ্রুপ। বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান মিলে খুঁটিনাটি জিনিসগুলো ঠিক করছেন।
গত কয়েক দিন সালমানের অফিসে তাঁদের মধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে। দুজন এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন। মাঠ বাদ দিলে স্টেডিয়াম এখন আধুনিক চেহারা নিয়েছে। তাই সংস্কার বলতে মাঠের কাজ বাদ দিলে আর বড় কোনো কাজ তেমন নেই। ড্রেসিংরুমটা যা একটু আধুনিক মানের করে তুলতে হবে। এর মধ্যে টিকিটের খসড়া দাম ঠিক হয়েছে বলে কাল জানালেন সালাউদ্দিন।
‘টিকিটের খসড়া একটা মূল্যতালিকা ঠিক করেছি। মশালের নিচে প্রায় দেড় হাজার আসনের আন্তর্জাতিক গ্যালারির দাম সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। পূর্ব দিকের গ্যালারি সাড়ে সাত হাজার এবং পশ্চিম দিকের আবাহনী ও মোহামেডান গ্যালারি ১০ হাজার টাকা। প্রেসবক্সের নিচে সাড়ে ছয় শ আসন ১৫ হাজার টাকা। ভিআইপি বক্সে ১৩০০ আসন ২৫ হাজার, ভিভিআইপি বক্সে দুই শ আসন ৫০ হাজার টাকা। ১২টি হসপিটালিটি বক্সের মূল্য হবে প্রতিটি ১০-১২ লাখ টাকা করে’—বলেছেন সালাউদ্দিন।
বাফুফের সভায় অনুমোদন নেওয়ার ব্যাপার অবশ্য আছে। সালাউদ্দিনের কথা, ‘বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদন নিয়েই চূড়ান্ত মূল্যতালিকা ঘোষণা করব।’
প্রধানমন্ত্রীকে মাঠে আনার পরিকল্পনা আছে। তিনি এলে প্রেসবক্সের ওপর তৃতীয় তলায় তাঁর আসন থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তৃতীয় তলার কোনো টিকিট বিক্রি করা হবে না। ক্লাবগুলোর জন্য থাকছে মূল্যছাড়। এটা হবে ১০ হাজার টাকার টিকিটের ক্ষেত্রে। পেশাদার লিগের ১২টি দল এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের দলগুলো পাবে এই বিশেষ সুবিধা। স্কুল ফুটবলে খেলে এমন কয়েকটি বাছাই করা স্কুলকে কিছু সৌজন্য টিকিট দেওয়ার চিন্তা আছে।
টিকিট বিক্রি হবে সব মিলিয়ে ২৪ হাজার এবং তা থেকে ২০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছেন আয়োজকেরা। বাকি টাকা টিভি-স্বত্ব এবং আরও কিছু পৃষ্ঠপোষক থেকে আসবে বলে আশাবাদ। ঘাটতি পড়লে বেক্সিমকো গ্রুপ তো আছেই।
কিন্তু বড় প্রশ্ন হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ কতটা প্রস্তুত? এই মাঠ তো ঢাকার ঘরোয়া ফুটবলের জন্যই অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে বর্ষায়। শুকনো, অসমতল এবং শক্ত। আয়োজকদের জন্য আশার কথা, সফরটা হচ্ছে গ্রীষ্মে।
মাঠ নিয়ে শঙ্কাটা জাগছে কলকাতার একটা খবরে। ঢাকায় আসার আগে ২ সেপ্টেম্বর কলকাতায় আর্জেন্টিনা-ভেনেজুয়েলা ম্যাচ হওয়ার কথা। খবর এসেছে, মাঠ ঠিক না থাকলে এই সফর নাও হতে পারে। তার অর্থ, কলকাতার মাঠের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েই যাচ্ছে।
ঢাকাও এই শঙ্কামুক্ত নয়। তবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রশাসক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া অভয় দিচ্ছেন, ‘আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচ এই মাঠে হতেই পারে। তবে পরিচর্যা করা দরকার। সময় থাকলে নতুন ঘাস লাগালে ভালো। যতটা সম্ভব মাঠটাকে সবুজ করতে হবে। মাটির আস্তরণ দিলে খুবই ভালো হয়। মাঠটা আরও মসৃণ করা দরকার।’
খুব বড় সমস্যা নয়। সালাউদ্দিন এ ব্যাপারে তাঁর পরিকল্পনা ঠিক করে রেখেছেন, ‘মাঠের ব্যাপারটাকে গুরুত্বসহকারে ভাবছি। আশা করি, সমস্যা হবে না। জুলাইয়ের পর এখানে খেলা বন্ধ রাখা হবে। মাঠ সংস্কারের জন্য প্রয়োজনে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনব।’
নিরাপত্তা, টিকিটের দাম নির্ধারণ, দুই দলের থাকা-খাওয়া, টিভি-স্বত্ব, স্টেডিয়ামের প্রস্তুতি—এই বিষয়গুলো নিয়ে এখন যৌথভাবে কাজ করছে বাফুফে ও পৃষ্ঠপোষক বেক্সিমকো গ্রুপ। বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান মিলে খুঁটিনাটি জিনিসগুলো ঠিক করছেন।
গত কয়েক দিন সালমানের অফিসে তাঁদের মধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে। দুজন এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন। মাঠ বাদ দিলে স্টেডিয়াম এখন আধুনিক চেহারা নিয়েছে। তাই সংস্কার বলতে মাঠের কাজ বাদ দিলে আর বড় কোনো কাজ তেমন নেই। ড্রেসিংরুমটা যা একটু আধুনিক মানের করে তুলতে হবে। এর মধ্যে টিকিটের খসড়া দাম ঠিক হয়েছে বলে কাল জানালেন সালাউদ্দিন।
‘টিকিটের খসড়া একটা মূল্যতালিকা ঠিক করেছি। মশালের নিচে প্রায় দেড় হাজার আসনের আন্তর্জাতিক গ্যালারির দাম সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। পূর্ব দিকের গ্যালারি সাড়ে সাত হাজার এবং পশ্চিম দিকের আবাহনী ও মোহামেডান গ্যালারি ১০ হাজার টাকা। প্রেসবক্সের নিচে সাড়ে ছয় শ আসন ১৫ হাজার টাকা। ভিআইপি বক্সে ১৩০০ আসন ২৫ হাজার, ভিভিআইপি বক্সে দুই শ আসন ৫০ হাজার টাকা। ১২টি হসপিটালিটি বক্সের মূল্য হবে প্রতিটি ১০-১২ লাখ টাকা করে’—বলেছেন সালাউদ্দিন।
বাফুফের সভায় অনুমোদন নেওয়ার ব্যাপার অবশ্য আছে। সালাউদ্দিনের কথা, ‘বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদন নিয়েই চূড়ান্ত মূল্যতালিকা ঘোষণা করব।’
প্রধানমন্ত্রীকে মাঠে আনার পরিকল্পনা আছে। তিনি এলে প্রেসবক্সের ওপর তৃতীয় তলায় তাঁর আসন থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তৃতীয় তলার কোনো টিকিট বিক্রি করা হবে না। ক্লাবগুলোর জন্য থাকছে মূল্যছাড়। এটা হবে ১০ হাজার টাকার টিকিটের ক্ষেত্রে। পেশাদার লিগের ১২টি দল এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের দলগুলো পাবে এই বিশেষ সুবিধা। স্কুল ফুটবলে খেলে এমন কয়েকটি বাছাই করা স্কুলকে কিছু সৌজন্য টিকিট দেওয়ার চিন্তা আছে।
টিকিট বিক্রি হবে সব মিলিয়ে ২৪ হাজার এবং তা থেকে ২০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছেন আয়োজকেরা। বাকি টাকা টিভি-স্বত্ব এবং আরও কিছু পৃষ্ঠপোষক থেকে আসবে বলে আশাবাদ। ঘাটতি পড়লে বেক্সিমকো গ্রুপ তো আছেই।
কিন্তু বড় প্রশ্ন হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ কতটা প্রস্তুত? এই মাঠ তো ঢাকার ঘরোয়া ফুটবলের জন্যই অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে বর্ষায়। শুকনো, অসমতল এবং শক্ত। আয়োজকদের জন্য আশার কথা, সফরটা হচ্ছে গ্রীষ্মে।
মাঠ নিয়ে শঙ্কাটা জাগছে কলকাতার একটা খবরে। ঢাকায় আসার আগে ২ সেপ্টেম্বর কলকাতায় আর্জেন্টিনা-ভেনেজুয়েলা ম্যাচ হওয়ার কথা। খবর এসেছে, মাঠ ঠিক না থাকলে এই সফর নাও হতে পারে। তার অর্থ, কলকাতার মাঠের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েই যাচ্ছে।
ঢাকাও এই শঙ্কামুক্ত নয়। তবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রশাসক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া অভয় দিচ্ছেন, ‘আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচ এই মাঠে হতেই পারে। তবে পরিচর্যা করা দরকার। সময় থাকলে নতুন ঘাস লাগালে ভালো। যতটা সম্ভব মাঠটাকে সবুজ করতে হবে। মাটির আস্তরণ দিলে খুবই ভালো হয়। মাঠটা আরও মসৃণ করা দরকার।’
খুব বড় সমস্যা নয়। সালাউদ্দিন এ ব্যাপারে তাঁর পরিকল্পনা ঠিক করে রেখেছেন, ‘মাঠের ব্যাপারটাকে গুরুত্বসহকারে ভাবছি। আশা করি, সমস্যা হবে না। জুলাইয়ের পর এখানে খেলা বন্ধ রাখা হবে। মাঠ সংস্কারের জন্য প্রয়োজনে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনব।’
No comments