সানায় রাতভর সংঘর্ষ ও বিস্ফোরণে নিহত ৫২
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় নিরাপত্তাকর্মী ও প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহবিরোধী আদিবাসীদের মধ্যে গত বুধবার রাতভর সংঘর্ষে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া বিরোধীদের গোলাবারুদের একটি ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে অন্তত ২৮ জন। সে দেশের সরকারি কর্তৃপক্ষ ও আদিবাসী সূত্র গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায়।
সরকারি বার্তা সংস্থা সাবার কর্তৃপক্ষ এএফপিকে জানায়, গত বুধবার মধ্যরাতে আল-আহমার ম্যানশনে গোলার আঘাতে এক নারীসহ দুটি পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়। এ ছাড়া নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হয় আরও দুজন।
আদিবাসী সূত্র জানায়, বুধবার শেষ রাতের দিকে সংঘর্ষে এলিট রিপাবলিকান গার্ডের ১২ জন সেনাসদস্য, আদিবাসীসহ ছয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সানায় আল-আহমার আদিবাসী গোষ্ঠীর গোলাবারুদের ডিপোতে বিস্ফোরণে ওই ২৮ জন নিহত হয়। কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটে এবং নিহত ব্যক্তি কারা, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ইয়েমেনের সরকারি কৌঁসুলিরা আল-আহমার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।
সরকারি কর্তৃপক্ষের দাবি, বিরোধীদের একটি টেলিভিশন কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারেও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। বিরোধীদের পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
নিরাপত্তাকর্মী ও প্রভাবশালী হাশিদ আদিবাসী জোটের প্রধান শেখ সাদিক আল-আহমারের অনুসারীদের মধ্যে গত সোমবার থেকে সংঘর্ষ চলছে। সোমবার প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ বিরোধীদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে সই করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর সংঘর্ষ শুরু হয়। চুক্তিটি সই হলে প্রেসিডেন্ট সালেহকে ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
চুক্তি সইয়ে অস্বীকৃতি জানানোর পর প্রেসিডেন্ট সালেহকে উৎখাতের লক্ষ্যে আদিবাসীরা লড়াই শুরু করে। তারা জাতীয় বিমান সংস্থা ইয়েমেনিয়ার ভবন, বাণিজ্য, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি ভবন দখল করে নেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে প্রবেশেরও চেষ্টা চালায় তারা। গত সোমবার ও মঙ্গলবার প্রায় সারা দিন দুই পক্ষের লড়াই চলে। গত বুধবার রাতভর এই সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রাণভয়ে শত শত লোক রাজধানী ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছে। গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট সালেহকে চুক্তি সইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন। গত বুধবার সালেহ বলেন, এমন কোনো ছাড় তিনি দেবেন না, যাতে তাঁকে ক্ষমতা হারাতে হয়।
সরকারি বার্তা সংস্থা সাবার কর্তৃপক্ষ এএফপিকে জানায়, গত বুধবার মধ্যরাতে আল-আহমার ম্যানশনে গোলার আঘাতে এক নারীসহ দুটি পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়। এ ছাড়া নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হয় আরও দুজন।
আদিবাসী সূত্র জানায়, বুধবার শেষ রাতের দিকে সংঘর্ষে এলিট রিপাবলিকান গার্ডের ১২ জন সেনাসদস্য, আদিবাসীসহ ছয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সানায় আল-আহমার আদিবাসী গোষ্ঠীর গোলাবারুদের ডিপোতে বিস্ফোরণে ওই ২৮ জন নিহত হয়। কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটে এবং নিহত ব্যক্তি কারা, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ইয়েমেনের সরকারি কৌঁসুলিরা আল-আহমার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।
সরকারি কর্তৃপক্ষের দাবি, বিরোধীদের একটি টেলিভিশন কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারেও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। বিরোধীদের পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
নিরাপত্তাকর্মী ও প্রভাবশালী হাশিদ আদিবাসী জোটের প্রধান শেখ সাদিক আল-আহমারের অনুসারীদের মধ্যে গত সোমবার থেকে সংঘর্ষ চলছে। সোমবার প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ বিরোধীদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে সই করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর সংঘর্ষ শুরু হয়। চুক্তিটি সই হলে প্রেসিডেন্ট সালেহকে ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
চুক্তি সইয়ে অস্বীকৃতি জানানোর পর প্রেসিডেন্ট সালেহকে উৎখাতের লক্ষ্যে আদিবাসীরা লড়াই শুরু করে। তারা জাতীয় বিমান সংস্থা ইয়েমেনিয়ার ভবন, বাণিজ্য, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি ভবন দখল করে নেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে প্রবেশেরও চেষ্টা চালায় তারা। গত সোমবার ও মঙ্গলবার প্রায় সারা দিন দুই পক্ষের লড়াই চলে। গত বুধবার রাতভর এই সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রাণভয়ে শত শত লোক রাজধানী ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছে। গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট সালেহকে চুক্তি সইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন। গত বুধবার সালেহ বলেন, এমন কোনো ছাড় তিনি দেবেন না, যাতে তাঁকে ক্ষমতা হারাতে হয়।
No comments