৭% প্রবৃদ্ধি ধরে আগামী অর্থবছরের বাজেট হচ্ছে
আগামী ২০১১-১২ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা বিবেচনায় নিয়ে বাজেট প্রণীত হচ্ছে।
পাশাপাশি সরকার আগামী অর্থবছরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৭ শতাংশে বেঁধে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে।
এ ছাড়া মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখাটাও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে আগামী অর্থবছরেও যাতে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার বর্তমানের গড় হার ৭৩ টাকা থাকে, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাজস্ব সমন্বয় কাউন্সিলের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব এম মোশাররাফ হোসাইন ভুঁইঞা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, সদস্য আমিনুর রহমান প্রমুখ এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ অর্জিত হবে বলে জোর আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। যদিও বিশ্বব্যাংক এই হার ৬ দশমিক ২০ শতাংশ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এই হার ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ হবে বলে প্রাক্কলন করেছে।
গতকালের বৈঠকে রাজস্ব সংগ্রহের তিন উৎস এনবিআর-নিয়ন্ত্রিত কর, এনবিআর-বহির্ভূত কর এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তি (এনটিআর) থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী অর্থবছরে এনটিআর থেকে বেশি রাজস্ব আদায় করা হবে।
পাসপোর্ট, লাইসেন্স, দলিল নিবন্ধন, ট্রেডমার্ক, বিবাহ নিবন্ধনসহ কমপক্ষে ২৫ ধরনের প্রশাসনিক মাশুল থেকে চলতি অর্থবছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দুই হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরে এনটিআর থেকে চার হাজার ২০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা করা হচ্ছে।
বৈঠকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট থেকে ১ শতাংশীয় পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়ানো এবং সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগসীমা বাড়ানোর ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
অবসরভোগীদের জন্য পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে সুদের হার ১১ শতাংশ। আর পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। বর্তমানে কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকার পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। আর পারিবারিক সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন ৩০ লাখ টাকার।
সূত্র জানায়, রাজস্ব-সম্পর্কিত বৈঠক হলেও এতে মুদ্রাবাজারের পাশাপাশি পুঁজিবাজারের আলোচনাও প্রাধান্য পেয়েছে। একজন সচিব পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট তৈরি হতে পারে—বাজেটে এমন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার প্রস্তাব তুললে অন্যরাও এতে সায় দেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বাজেটে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা থাকবে না। বরং বাজারকে টেকসই ও স্থিতিশীল করার কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
সেই পদক্ষেপ কি কালো টাকাকে সাদা করার সুযোগ দেওয়া?—এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আরও এক বছরের জন্য এ সুযোগটি দিতে নানা মহল থেকে মতামত আসছে, আজও এসেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
পাশাপাশি সরকার আগামী অর্থবছরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৭ শতাংশে বেঁধে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে।
এ ছাড়া মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখাটাও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে আগামী অর্থবছরেও যাতে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার বর্তমানের গড় হার ৭৩ টাকা থাকে, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাজস্ব সমন্বয় কাউন্সিলের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব এম মোশাররাফ হোসাইন ভুঁইঞা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, সদস্য আমিনুর রহমান প্রমুখ এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ অর্জিত হবে বলে জোর আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। যদিও বিশ্বব্যাংক এই হার ৬ দশমিক ২০ শতাংশ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এই হার ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ হবে বলে প্রাক্কলন করেছে।
গতকালের বৈঠকে রাজস্ব সংগ্রহের তিন উৎস এনবিআর-নিয়ন্ত্রিত কর, এনবিআর-বহির্ভূত কর এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তি (এনটিআর) থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী অর্থবছরে এনটিআর থেকে বেশি রাজস্ব আদায় করা হবে।
পাসপোর্ট, লাইসেন্স, দলিল নিবন্ধন, ট্রেডমার্ক, বিবাহ নিবন্ধনসহ কমপক্ষে ২৫ ধরনের প্রশাসনিক মাশুল থেকে চলতি অর্থবছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দুই হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরে এনটিআর থেকে চার হাজার ২০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা করা হচ্ছে।
বৈঠকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট থেকে ১ শতাংশীয় পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়ানো এবং সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগসীমা বাড়ানোর ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
অবসরভোগীদের জন্য পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে সুদের হার ১১ শতাংশ। আর পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। বর্তমানে কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকার পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। আর পারিবারিক সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন ৩০ লাখ টাকার।
সূত্র জানায়, রাজস্ব-সম্পর্কিত বৈঠক হলেও এতে মুদ্রাবাজারের পাশাপাশি পুঁজিবাজারের আলোচনাও প্রাধান্য পেয়েছে। একজন সচিব পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট তৈরি হতে পারে—বাজেটে এমন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার প্রস্তাব তুললে অন্যরাও এতে সায় দেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বাজেটে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা থাকবে না। বরং বাজারকে টেকসই ও স্থিতিশীল করার কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
সেই পদক্ষেপ কি কালো টাকাকে সাদা করার সুযোগ দেওয়া?—এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আরও এক বছরের জন্য এ সুযোগটি দিতে নানা মহল থেকে মতামত আসছে, আজও এসেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
No comments