রিয়ালের চোখ এখন কাপে
দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে চাইছেন হোসে মরিনহো। লা লিগার গত ম্যাচে ওসাসুনা-ক্ষত ঢাকতে প্রলেপ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন কিংস কাপ। আজ কিংস কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বার্নাব্যুতে সেভিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল। এ ম্যাচে ড্র করলেও ফাইনালে উঠে যাবে মরিনহোর দল। সুযোগ আসবে ১৯৯৩ সালের পর প্রথম কাপ শিরোপা জয়ের। রিয়ালের ফাইনালে উত্তরণ কিছুটা চাপ কমিয়ে দেবে মরিনহোর ওপর থেকে।
প্রথম ম্যাচে রিয়াল জিতেছে ১-০ গোলে। সেভিয়া কিংস কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও। তা ছাড়া লিগে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল ওসাসুনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, রিয়ালের সাদা জার্সিটাকে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। চাপমুক্ত হওয়ার ম্যাচটাতে এক আকাশ চাপ মাথায় নিয়েই মাঠে নামছে রিয়াল। আর বার্সেলোনা হয়তো দ্বিতীয় সারির দলই নামিয়ে দেবে। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আলমেরিয়াকে যে তারা উড়িয়ে দিয়েছে ৫-০ গোলে।
দুশ্চিন্তা রিয়ালও না করলেই পারে। এই মৌসুমে নিজেদের মাঠে কোনো ম্যাচেই তারা হারেনি। সব মিলিয়ে কিংস কাপের ফাইনালে রিয়াল বনাম বার্সার ‘এল ক্লাসিকো’ দেখার অপেক্ষায় সবাই। আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও, ‘স্পেনের দুটো সেরা দলই ফাইনালে ওঠার যোগ্য। অবশ্য ফাইনালে বার্সার দেখা যদি আমরা পাইও, তার মানে সেটি কিন্তু আমাদের জন্য প্রতিশোধের ম্যাচ হবে না।’
প্রতিশোধের প্রসঙ্গ আসছে লিগের গত এল ক্লাসিকোতে বার্সার কাছে রিয়াল ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ায়। সত্যি বলতে কি, ওই ম্যাচের পর থেকেই ক্ষণে ক্ষণে খোঁড়াচ্ছে রিয়াল। দলের অনেকের লড়াকু মনোভাবেও ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস তাই এই বলে সতর্ক করছেন সতীর্থদের, ‘আমরা কিন্তু ফাইনাল থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে। এখন তাই নিজেদের চাঙা করে তুলতে হবেই।’
এই ম্যাচ নিয়ে বাড়তি উত্তেজনাও ছড়াচ্ছে। গত ম্যাচে কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছিল। সেভিয়া দর্শকদের কেউ পানির বোতল ছুড়েছিল ক্যাসিয়াসকে লক্ষ্য করে। রোনালদো যেটি বলেছেন, ‘ইকারের মাথা ফাটিয়ে ফেলার অপচেষ্টা।’ আজ তাই মাঠের সামান্য উত্তেজনা উসকে দিতে পারে গ্যালারিকেও।
সবচেয়ে আশঙ্কার কথা, আগের ম্যাচের পরাজয়ের পর রিয়াল সমর্থকদের সিংহ ভাগই লিগ শিরোপা জেতার আশা ছেড়ে দিয়ে বসে আছে। স্পেনের সংবাদমাধ্যম, ফুটবল-বোদ্ধাদের বেশির ভাগই বলছেন, রিয়ালের আর লিগ জেতার আশা নেই। মার্কা লিখেছে, সাত পয়েন্টের ঘাটতি পুষিয়ে রিয়াল কখনোই শিরোপা জেতেনি।
তবে শিরোপা জিতেই গেছি—বার্সা যেন এমনটা ভেবে আলস্যের মেদ শরীরে না জমায়, সে জন্য সতর্ক ইয়োহান ক্রুইফ। বার্সার সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ বলছেন, ‘লিগের শিরোপা নির্ধারিত হয়েই গেছে, এমনটা আমি বলব না। কারণ, সেটি আসলেই হয়নি। মাদ্রিদকে কবর দেওয়ার আগে সাবধান!
প্রথম ম্যাচে রিয়াল জিতেছে ১-০ গোলে। সেভিয়া কিংস কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও। তা ছাড়া লিগে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল ওসাসুনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, রিয়ালের সাদা জার্সিটাকে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। চাপমুক্ত হওয়ার ম্যাচটাতে এক আকাশ চাপ মাথায় নিয়েই মাঠে নামছে রিয়াল। আর বার্সেলোনা হয়তো দ্বিতীয় সারির দলই নামিয়ে দেবে। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আলমেরিয়াকে যে তারা উড়িয়ে দিয়েছে ৫-০ গোলে।
দুশ্চিন্তা রিয়ালও না করলেই পারে। এই মৌসুমে নিজেদের মাঠে কোনো ম্যাচেই তারা হারেনি। সব মিলিয়ে কিংস কাপের ফাইনালে রিয়াল বনাম বার্সার ‘এল ক্লাসিকো’ দেখার অপেক্ষায় সবাই। আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও, ‘স্পেনের দুটো সেরা দলই ফাইনালে ওঠার যোগ্য। অবশ্য ফাইনালে বার্সার দেখা যদি আমরা পাইও, তার মানে সেটি কিন্তু আমাদের জন্য প্রতিশোধের ম্যাচ হবে না।’
প্রতিশোধের প্রসঙ্গ আসছে লিগের গত এল ক্লাসিকোতে বার্সার কাছে রিয়াল ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ায়। সত্যি বলতে কি, ওই ম্যাচের পর থেকেই ক্ষণে ক্ষণে খোঁড়াচ্ছে রিয়াল। দলের অনেকের লড়াকু মনোভাবেও ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস তাই এই বলে সতর্ক করছেন সতীর্থদের, ‘আমরা কিন্তু ফাইনাল থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে। এখন তাই নিজেদের চাঙা করে তুলতে হবেই।’
এই ম্যাচ নিয়ে বাড়তি উত্তেজনাও ছড়াচ্ছে। গত ম্যাচে কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছিল। সেভিয়া দর্শকদের কেউ পানির বোতল ছুড়েছিল ক্যাসিয়াসকে লক্ষ্য করে। রোনালদো যেটি বলেছেন, ‘ইকারের মাথা ফাটিয়ে ফেলার অপচেষ্টা।’ আজ তাই মাঠের সামান্য উত্তেজনা উসকে দিতে পারে গ্যালারিকেও।
সবচেয়ে আশঙ্কার কথা, আগের ম্যাচের পরাজয়ের পর রিয়াল সমর্থকদের সিংহ ভাগই লিগ শিরোপা জেতার আশা ছেড়ে দিয়ে বসে আছে। স্পেনের সংবাদমাধ্যম, ফুটবল-বোদ্ধাদের বেশির ভাগই বলছেন, রিয়ালের আর লিগ জেতার আশা নেই। মার্কা লিখেছে, সাত পয়েন্টের ঘাটতি পুষিয়ে রিয়াল কখনোই শিরোপা জেতেনি।
তবে শিরোপা জিতেই গেছি—বার্সা যেন এমনটা ভেবে আলস্যের মেদ শরীরে না জমায়, সে জন্য সতর্ক ইয়োহান ক্রুইফ। বার্সার সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ বলছেন, ‘লিগের শিরোপা নির্ধারিত হয়েই গেছে, এমনটা আমি বলব না। কারণ, সেটি আসলেই হয়নি। মাদ্রিদকে কবর দেওয়ার আগে সাবধান!
No comments