এগিয়ে পাকিস্তান, সমতায় মিসবাহ
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ অধিনায়কত্বের লড়াইয়ে কি যোগ হলো নতুন মাত্রা? মনে হচ্ছিল তৃতীয় ম্যাচের পারফরম্যান্স শহীদ আফ্রিদির অধিনায়কত্ব নিশ্চিত করে দিয়েছে। কাল অসাধারণ এক ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে জয় এনে দিলেন ‘আফ্রিদির প্রতিদ্বন্দ্বী’ মিসবাহ-উল হক। ৪ ফেব্রুয়ারি জানানো হবে অধিনায়কের নাম, পাকিস্তানের ক্রিকেট-কর্তাদের ভাবনায় নিশ্চিতভাবেই প্রভাব ফেলবে মিসবাহর এই ইনিংস।
১৮তম ওভারে উইকেটে গিয়েছিলেন মিসবাহ। পরিস্থিতির দাবি মেনে শুরুতে খেলেছেন দেখেশুনে, সময়মতো হাত খুলেছেন। ইউনুস খানের সঙ্গে ৮৯ রানের জুটিটার পর আরেক পাশে উইকেট পড়েছে নিয়মিত বিরতিতে, কিন্তু অবিচলিত মিসবাহ ফিরেছেন দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে। অপূর্ণতা শুধু একটাই—খুব কাছে গিয়েও পাওয়া হলো না প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। পেতে দিলেন না আসলে সোহেল তানভির। শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩। সাউদির করা ৪৯তম ওভারেই তিনটি চার মেরে দলকে জিতিয়ে দিলেন তানভির। ৯১ বলে ৯৩ করে অপরাজিত থেকে গেলেন মিসবাহ।
মিডল অর্ডারে একই সঙ্গে মিসবাহ ও ইউনুসকে খেলানো উচিত কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। দুজনই একই ধরনের ব্যাটসম্যান, থিতু হতে অনেকটা সময় নেন—বর্তমান সময়ের ওয়ানডের সঙ্গে যা মানানসই নন। দুজনই কাল প্রমাণ করলেন এভাবে খেলেও কার্যকরী হওয়া যায়। ৮৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা দল জয়ের পথে ফেরে এই দুজনের জুটিতে। উইকেটে পড়ে গিয়ে ইউনুসের রান আউটে তাঁদের জুটি যখন ভাঙল, পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৭৮ বলে ৯০। তবে তৈরি মঞ্চেও ঠিক জ্বলে উঠতে পারেননি উমর-রাজ্জাক-আফ্রিদিরা। ব্যাটিং পাওয়ার প্লের প্রথম তিন বলের মধ্যেই উমর আকমল ও আফ্রিদিকে আউট করেন ভেট্টোরি। ১৮ বলে ২৩ রান করে ফিরে যান রাজ্জাকও। তবে কাল যে ছিল মিসবাহর দিন! ৬২ বলে ফিফটির পর ৪১ রান করেছেন ২৯ বলে।
ম্যাচ শেষে আরও ৩০-৪০ রানের জন্য আফসোস ঝরেছে ভেট্টোরির কণ্ঠে। তবে লোয়ার-মিডল অর্ডার দুর্দান্ত না খেললে এই রানটাও হয় না নিউজিল্যান্ডের। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান ‘নাই’ হয়ে গিয়েছিলেন ৭৯ রানের মধ্যে। ষষ্ঠ উইকেটে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়েন শেষ মুহূর্তে দলে ঢোকা জেমস ফ্রাঙ্কলিন। বাঁহাতি অলরাউন্ডার পরে নাথান ম্যাককালামের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন ৬৪ রান। বড় ম্যাককালাম পরে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি, অষ্টম উইকেটে ভেট্টোরির সঙ্গে তাঁর ৩৯ বলে ৫৭ রানের জুটি দলকে এনে দেয় লড়ার মতো রান। তথ্যসূত্র: নিও ক্রিকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৬২/৭ (গাপটিল ২১, হাউ ১৩, টেলর ৪, স্টাইরিস ১১, উইলিয়ামসন ১৫, ফ্রাঙ্কলিন ৬২, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৩৭, নাথান ম্যাককালাম ৫৩*, ভেট্টোরি ১৩*; ওয়াহাব ৩/৫১, রাজ্জাক ১/১৬, হাফিজ ১/২৫, আফ্রিদি ১/৪২। পাকিস্তান: ৪৯ ওভারে ২৬৪/৮ (হাফিজ ১২, শেহজাদ ৪২, কামরান ২০, ইউনুস ৪২, মিসবাহ ৯৩*, উমর ১০, আফ্রিদি ৪, রাজ্জাক ২৩, ওয়াহাব ০, তানভির ১৪*; স্টাইরিস ৩/৪০, বেনেট ২/৪৮, ভেট্টোরি ২/৪৮)। ফল: পাকিস্তান ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মিসবাহ-উল হক।
১৮তম ওভারে উইকেটে গিয়েছিলেন মিসবাহ। পরিস্থিতির দাবি মেনে শুরুতে খেলেছেন দেখেশুনে, সময়মতো হাত খুলেছেন। ইউনুস খানের সঙ্গে ৮৯ রানের জুটিটার পর আরেক পাশে উইকেট পড়েছে নিয়মিত বিরতিতে, কিন্তু অবিচলিত মিসবাহ ফিরেছেন দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে। অপূর্ণতা শুধু একটাই—খুব কাছে গিয়েও পাওয়া হলো না প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। পেতে দিলেন না আসলে সোহেল তানভির। শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩। সাউদির করা ৪৯তম ওভারেই তিনটি চার মেরে দলকে জিতিয়ে দিলেন তানভির। ৯১ বলে ৯৩ করে অপরাজিত থেকে গেলেন মিসবাহ।
মিডল অর্ডারে একই সঙ্গে মিসবাহ ও ইউনুসকে খেলানো উচিত কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। দুজনই একই ধরনের ব্যাটসম্যান, থিতু হতে অনেকটা সময় নেন—বর্তমান সময়ের ওয়ানডের সঙ্গে যা মানানসই নন। দুজনই কাল প্রমাণ করলেন এভাবে খেলেও কার্যকরী হওয়া যায়। ৮৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা দল জয়ের পথে ফেরে এই দুজনের জুটিতে। উইকেটে পড়ে গিয়ে ইউনুসের রান আউটে তাঁদের জুটি যখন ভাঙল, পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৭৮ বলে ৯০। তবে তৈরি মঞ্চেও ঠিক জ্বলে উঠতে পারেননি উমর-রাজ্জাক-আফ্রিদিরা। ব্যাটিং পাওয়ার প্লের প্রথম তিন বলের মধ্যেই উমর আকমল ও আফ্রিদিকে আউট করেন ভেট্টোরি। ১৮ বলে ২৩ রান করে ফিরে যান রাজ্জাকও। তবে কাল যে ছিল মিসবাহর দিন! ৬২ বলে ফিফটির পর ৪১ রান করেছেন ২৯ বলে।
ম্যাচ শেষে আরও ৩০-৪০ রানের জন্য আফসোস ঝরেছে ভেট্টোরির কণ্ঠে। তবে লোয়ার-মিডল অর্ডার দুর্দান্ত না খেললে এই রানটাও হয় না নিউজিল্যান্ডের। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান ‘নাই’ হয়ে গিয়েছিলেন ৭৯ রানের মধ্যে। ষষ্ঠ উইকেটে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়েন শেষ মুহূর্তে দলে ঢোকা জেমস ফ্রাঙ্কলিন। বাঁহাতি অলরাউন্ডার পরে নাথান ম্যাককালামের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন ৬৪ রান। বড় ম্যাককালাম পরে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি, অষ্টম উইকেটে ভেট্টোরির সঙ্গে তাঁর ৩৯ বলে ৫৭ রানের জুটি দলকে এনে দেয় লড়ার মতো রান। তথ্যসূত্র: নিও ক্রিকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৬২/৭ (গাপটিল ২১, হাউ ১৩, টেলর ৪, স্টাইরিস ১১, উইলিয়ামসন ১৫, ফ্রাঙ্কলিন ৬২, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৩৭, নাথান ম্যাককালাম ৫৩*, ভেট্টোরি ১৩*; ওয়াহাব ৩/৫১, রাজ্জাক ১/১৬, হাফিজ ১/২৫, আফ্রিদি ১/৪২। পাকিস্তান: ৪৯ ওভারে ২৬৪/৮ (হাফিজ ১২, শেহজাদ ৪২, কামরান ২০, ইউনুস ৪২, মিসবাহ ৯৩*, উমর ১০, আফ্রিদি ৪, রাজ্জাক ২৩, ওয়াহাব ০, তানভির ১৪*; স্টাইরিস ৩/৪০, বেনেট ২/৪৮, ভেট্টোরি ২/৪৮)। ফল: পাকিস্তান ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মিসবাহ-উল হক।
No comments