নিজেকেই সেরা বলছেন মরিনহো
বছরের সেরা কোচ হবেন কে? ভিসেন্তে দেল বস্ক, নাকি হোসে মরিনহো? আপনি যেকোনো একজনকে বেছে নিতেই পারেন। ১০ জানুয়ারি জুরিখে ফিফা-ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের রাতে বর্ষসেরা কোচ হিসেবে কার নাম উচ্চারিত হবে, সেটাই বা কে বলতে পারে! যে যা-ই ভাবুন আর সেদিন যাঁর নামই ঘোষিত হোক, মরিনহো নিজে মনে করেন বর্ষসেরা কোচের পুরস্কারটা তাঁরই প্রাপ্য। মরিনহো কোনো কালেই বিনয়-টিনয়ের ধার ধারেননি। বর্ষসেরা কোচ কে হবেন—এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েও বেরিয়ে এসেছে চিরকালীন অবিনয়ী মরিনহোই। কোনো রাখঢাক না রেখেই তিনি বলে দিয়েছেন—ভিসেন্তে দেল বস্ক নয়, এক নম্বর আমিই।পর্তুগাল থেকে চেলসিতে নাম লিখিয়ে ইংল্যান্ডের ফুটবলে পা রেখেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আমি স্পেশাল ওয়ান’। চেলসিতে যত দিন ছিলেন, বিশেষ একজন হয়ে ছিলেন মরিনহো। এবার নিজেকে দাবি করে বসলেন বর্ষসেরা কোচ। এর পেছনে অবশ্য যুক্তিও দেখিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ। এ বছর স্পেনকে বিশ্বকাপ জেতানো দেল বস্কের চেয়ে তাঁর অর্জনের খাতাটা পূর্ণ বলেই তিনি মনে করেন।ইন্টার মিলানকে ট্রেবল জেতানো মরিনহো ইতালির ক্রীড়া দৈনিক গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্তকে বলেছেন, ‘আমার পছন্দ আমিই। এগারো মাস কাজ করে ৫৭ ম্যাচ দায়িত্বে থেকে ৩টি শিরোপা জিতেছি। এর মধ্যে আছে সব টুর্নামেন্টের সেরা টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস লিগ। আমি সবকিছু জিতেছি। এর বেশি কিছু জয় করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। খেলোয়াড়দের জন্যও না।’খেলোয়াড়দের প্রসঙ্গটা ওয়েসলি স্নাইডারের কথা বলার জন্যই তুলতে পারেন মরিনহো। ফিফা-ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের জন্য মনোনীত তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ইন্টার মিলানের এই ডাচ প্লে-মেকারের নাম না দেখে খুবই বিস্মিত হয়েছেন ইন্টারের সাবেক কোচ।সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী দলের আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও জাভি হার্নান্দেজের সঙ্গে আছেন লিওনেল মেসি। তবে গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত-এর অনুমান, পুরস্কারটা উঠতে যাচ্ছে ইনিয়েস্তার হাতেই। সেটি হলে সহজে মেনে নিতে পারবেন না মরিনহো, ‘চোটের কারণে বছরের প্রথম ৫ মাস মন খারাপ করে মাঠের বাইরে বসে ছিল ইনিয়েস্তা। এরপর ৬টা ম্যাচ খেলে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা গোল করেই যদি সে পুরস্কারটা পেয়ে যায় তাহলে বিশ্বকাপের বছরে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে এবং আর অন্য সবকিছু সেখানে গুরুত্বহীন।এই বিশ্বকাপ জয়ই বছরের সেরা কোচের স্বীকৃতি এনে দিতে পারে দেল বস্ককে। কিন্তু মরিনহোর কথা, ‘আমি বুঝতে পারছি পুরস্কারটা ভাগাভাগি হওয়ার একটা কথা উঠতে পারে। কিন্তু একজন যখন সবকিছু জেতে তখন! আমি আর কী বলতে পারি? আমি আসলে ব্যালন ডি’অর জয়ের চেয়ে রোববারের ম্যাচ জয়কেই গুরুত্ব দেব।
No comments