পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে জঙ্গি হামলা
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় আধা সামরিক বাহিনীর পাঁচটি তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়েছে তালেবান জঙ্গিরা। এতে অন্তত ১১ জন সেনা নিহত হয়। পাল্টা হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ২৪ জন জঙ্গি। গতকাল শুক্রবার এ হামলা চালানো হয়।
একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, আফগান সীমান্তের কাছে মোহমান্দ জেলার বাইদনামি গ্রামের আধা সামরিক বাহিনীর পাঁচটি তল্লাশি চৌকিতে প্রায় ১৫০ জন তালেবান জঙ্গি হামলা চালায়।
মোহমান্দের প্রশাসক আমজাদ আলী খান জানান, হামলায় আধা সামরিক বাহিনীর ১১ জন সদস্য নিহত হয়। সেনাসদস্যদের পাল্টা হামলায় ২৪ জঙ্গি নিহত হয়। পাল্টা হামলায় হেলিকপ্টার গানশিপ ও কামান ব্যবহার করা হয়। তিনি জানান, ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। তালেবান জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকতে পারে—এমন সন্দেহভাজন জায়গাগুলোতে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, নিহত সহযোগীদের ফেলে জঙ্গিরা পালিয়ে গেছে। হামলায় অন্তত ১২ সেনা আহত হয়েছে। তিনি আরও জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ওই এলাকা ঘিরে ফেলেছে। পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে তারা।
মোহমান্দ জেলার তালেবানের মুখপাত্র পরিচয় দিয়ে সাজ্জাদ নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা এএফপি ও বিবিসিকে জানান, তাঁদের হামলায় ১২ সেনাসদস্য নিহত হয়েছে। তাঁদের পক্ষের মাত্র দুজন নিহত হয়েছে। একটি তল্লাশি চৌকিও দখলে নিয়েছেন তাঁরা। সাজ্জাদ দাবি করেন, দুজন সেনাকে তাঁরা অপহরণ করেছেন। তবে তালেবানের এই দাবি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের কোনো সেনা নিখোঁজ হয়নি।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পেশোয়ারে গতকাল একটি স্কুলের বাইরে বোমা বিস্ফোরণে তিন শিশু ও একজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ কর্মকর্তারা এ তথ্য জানায়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ওই অঞ্চলে ঘালানাই সরকারি চত্বরে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ৪৩ জন নিহত হয়। তালেবানবিরোধী মিলিশিয়া গঠনের লক্ষ্যে এক সভায় ওই হামলা চালানো হয়। গত জুলাই মাসে মোহমান্দের ইয়াকাঘুন্দ এলাকার একটি গ্রামে দুটি আত্মঘাতী হামলায় ১০০ জনের বেশি লোক নিহত হয়।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট মোহমান্দ। সেখানে তালেবান ও আল-কায়েদা জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে।
২০০৭ সালে ইসলামাবাদে একটি মসজিদে অভিযান চালানোর পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত বোমা হামলায় চার হাজার লোক নিহত হয়। এসব হামলার সঙ্গে আল-কায়েদা ও তালেবান জঙ্গিরা জড়িত বলে ধারণা করা হয়।
একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, আফগান সীমান্তের কাছে মোহমান্দ জেলার বাইদনামি গ্রামের আধা সামরিক বাহিনীর পাঁচটি তল্লাশি চৌকিতে প্রায় ১৫০ জন তালেবান জঙ্গি হামলা চালায়।
মোহমান্দের প্রশাসক আমজাদ আলী খান জানান, হামলায় আধা সামরিক বাহিনীর ১১ জন সদস্য নিহত হয়। সেনাসদস্যদের পাল্টা হামলায় ২৪ জঙ্গি নিহত হয়। পাল্টা হামলায় হেলিকপ্টার গানশিপ ও কামান ব্যবহার করা হয়। তিনি জানান, ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। তালেবান জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকতে পারে—এমন সন্দেহভাজন জায়গাগুলোতে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, নিহত সহযোগীদের ফেলে জঙ্গিরা পালিয়ে গেছে। হামলায় অন্তত ১২ সেনা আহত হয়েছে। তিনি আরও জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ওই এলাকা ঘিরে ফেলেছে। পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে তারা।
মোহমান্দ জেলার তালেবানের মুখপাত্র পরিচয় দিয়ে সাজ্জাদ নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা এএফপি ও বিবিসিকে জানান, তাঁদের হামলায় ১২ সেনাসদস্য নিহত হয়েছে। তাঁদের পক্ষের মাত্র দুজন নিহত হয়েছে। একটি তল্লাশি চৌকিও দখলে নিয়েছেন তাঁরা। সাজ্জাদ দাবি করেন, দুজন সেনাকে তাঁরা অপহরণ করেছেন। তবে তালেবানের এই দাবি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের কোনো সেনা নিখোঁজ হয়নি।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পেশোয়ারে গতকাল একটি স্কুলের বাইরে বোমা বিস্ফোরণে তিন শিশু ও একজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ কর্মকর্তারা এ তথ্য জানায়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ওই অঞ্চলে ঘালানাই সরকারি চত্বরে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ৪৩ জন নিহত হয়। তালেবানবিরোধী মিলিশিয়া গঠনের লক্ষ্যে এক সভায় ওই হামলা চালানো হয়। গত জুলাই মাসে মোহমান্দের ইয়াকাঘুন্দ এলাকার একটি গ্রামে দুটি আত্মঘাতী হামলায় ১০০ জনের বেশি লোক নিহত হয়।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট মোহমান্দ। সেখানে তালেবান ও আল-কায়েদা জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে।
২০০৭ সালে ইসলামাবাদে একটি মসজিদে অভিযান চালানোর পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত বোমা হামলায় চার হাজার লোক নিহত হয়। এসব হামলার সঙ্গে আল-কায়েদা ও তালেবান জঙ্গিরা জড়িত বলে ধারণা করা হয়।
No comments