জ্বালানির পাঁচ কোম্পানির শেয়ার ছেড়ে ৪৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা যাবে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পাঁচ কোম্পানির শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বেশি তুলতে পারবে সরকার। বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে ১০ শতাংশ কম দামে এসব শেয়ার বিক্রি করেও এ পরিমাণ টাকা তোলা সম্ভব।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষে সংস্থাটির সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান এ হিসাব তুলে ধরেন। তিনি বাজারমূল্যের চেয়ে হ্রাসকৃত মূল্যেই বর্তমানে বাজারে তালিকাভুক্ত এসব কোম্পানির শেয়ার ছাড়ার পরামর্শ দেন।
লিখিত ওই সুপারিশে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া শেয়ারের বিক্রি বা হস্তান্তরের ওপর থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা (লকইন) তুলে নেওয়ার বিরোধিতা করা হয়। এতে বলা হয়, এ মুহূর্তে লকইন তুলে নেওয়া হলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে। এমনকি সরকারের ওপর জনগণের আস্থার সংকট দেখা দেবে।
পুঁজিবাজারের আইন অনুযায়ী ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া শেয়ার তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়ার দিন থেকে এক বছর বিক্রি নিষিদ্ধ থাকে। কিন্তু সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর যুক্তিতে লকইন তুলে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।
ডিএসইর সুপারিশে পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে তিন দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির বাকি শেয়ারগুলো বাজারে ছাড়া সম্ভব।
তবে ২৫ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত এক বৈঠকে তালিকাভুক্ত সরকারি কোম্পানিগুলোর শেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে বাজারে ছাড়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই বৈঠকের সুপারিশগুলো এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অবগতি ও অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ডিএসইর হিসাবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডেসকো), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি), যমুনা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম এবং তিতাস গ্যাসের মোট ৪৯ শতাংশ শেয়ার হ্রাসকৃত দামে বাজারে ছেড়ে চার হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা যাবে।
বর্তমানে সরকারের হাতে ডেসকোর ৭৫ শতাংশ, পিজিসিবির ৭৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, যমুনা অয়েলের ৭০ শতাংশ, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৭০ শতাংশ এবং তিতাসের ৭৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিগুলোর বাকি শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
এ কোম্পানিগুলো ছাড়াও তালিকাভুক্ত অন্য আটটি সরকারি কোম্পানির ১০ শতাংশ করে শেয়ার বাজারে ছাড়তে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব কোম্পানির শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব করা হয়।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি), ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, ন্যাশনাল টিউবস, উসমানিয়া গ্লাস, ইস্টার্ন কেব্লস, এটলাস বাংলাদেশ ও পদ্মা অয়েল। এসব কোম্পানির ছয় থেকে ৪৯ শতাংশ শেয়ার বর্তমানে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা হিসেবে বিমান, সিভিল এভিয়েশন, হোটেল-মোটেল, বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল), বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু (যমুনা ব্রিজ), পদ্মা ব্রিজ ও ফ্লাইওভার প্রকল্পগুলোকে কোম্পানি গঠন করে বাজারে শেয়ার ছেড়ে অর্থ উত্তোলনের সুপারিশ করা হয়েছে।
তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে শ্রম অসন্তোষ ঠেকাতে প্রয়োজনে কোম্পানির পাঁচ শতাংশ শেয়ার শ্রমিকদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়। বলা হয়, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ঠিক করা নির্দেশক দামের ১০ শতাংশ কমে শ্রমিকদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে।
এ ছাড়া পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) দক্ষতা ও জনবল বাড়াতেও সরকারের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, ডিএসইর পক্ষ থেকেই সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে বেশ কিছু লিখিত সুপারিশ করেছেন। এসব সুপারিশের সঙ্গে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদও একমত।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষে সংস্থাটির সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান এ হিসাব তুলে ধরেন। তিনি বাজারমূল্যের চেয়ে হ্রাসকৃত মূল্যেই বর্তমানে বাজারে তালিকাভুক্ত এসব কোম্পানির শেয়ার ছাড়ার পরামর্শ দেন।
লিখিত ওই সুপারিশে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া শেয়ারের বিক্রি বা হস্তান্তরের ওপর থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা (লকইন) তুলে নেওয়ার বিরোধিতা করা হয়। এতে বলা হয়, এ মুহূর্তে লকইন তুলে নেওয়া হলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে। এমনকি সরকারের ওপর জনগণের আস্থার সংকট দেখা দেবে।
পুঁজিবাজারের আইন অনুযায়ী ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া শেয়ার তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়ার দিন থেকে এক বছর বিক্রি নিষিদ্ধ থাকে। কিন্তু সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর যুক্তিতে লকইন তুলে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।
ডিএসইর সুপারিশে পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে তিন দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির বাকি শেয়ারগুলো বাজারে ছাড়া সম্ভব।
তবে ২৫ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত এক বৈঠকে তালিকাভুক্ত সরকারি কোম্পানিগুলোর শেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে বাজারে ছাড়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই বৈঠকের সুপারিশগুলো এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অবগতি ও অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ডিএসইর হিসাবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডেসকো), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি), যমুনা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম এবং তিতাস গ্যাসের মোট ৪৯ শতাংশ শেয়ার হ্রাসকৃত দামে বাজারে ছেড়ে চার হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা যাবে।
বর্তমানে সরকারের হাতে ডেসকোর ৭৫ শতাংশ, পিজিসিবির ৭৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, যমুনা অয়েলের ৭০ শতাংশ, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৭০ শতাংশ এবং তিতাসের ৭৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিগুলোর বাকি শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
এ কোম্পানিগুলো ছাড়াও তালিকাভুক্ত অন্য আটটি সরকারি কোম্পানির ১০ শতাংশ করে শেয়ার বাজারে ছাড়তে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব কোম্পানির শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব করা হয়।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি), ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, ন্যাশনাল টিউবস, উসমানিয়া গ্লাস, ইস্টার্ন কেব্লস, এটলাস বাংলাদেশ ও পদ্মা অয়েল। এসব কোম্পানির ছয় থেকে ৪৯ শতাংশ শেয়ার বর্তমানে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা হিসেবে বিমান, সিভিল এভিয়েশন, হোটেল-মোটেল, বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল), বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু (যমুনা ব্রিজ), পদ্মা ব্রিজ ও ফ্লাইওভার প্রকল্পগুলোকে কোম্পানি গঠন করে বাজারে শেয়ার ছেড়ে অর্থ উত্তোলনের সুপারিশ করা হয়েছে।
তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে শ্রম অসন্তোষ ঠেকাতে প্রয়োজনে কোম্পানির পাঁচ শতাংশ শেয়ার শ্রমিকদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়। বলা হয়, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ঠিক করা নির্দেশক দামের ১০ শতাংশ কমে শ্রমিকদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে।
এ ছাড়া পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) দক্ষতা ও জনবল বাড়াতেও সরকারের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, ডিএসইর পক্ষ থেকেই সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে বেশ কিছু লিখিত সুপারিশ করেছেন। এসব সুপারিশের সঙ্গে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদও একমত।
No comments