দেমেন্তিয়েভার অপ্রত্যাশিত অবসর
কোনো আভাস পর্যন্ত দেননি আগে। দোহায় ডব্লুটিএ টুর্নামেন্টের গ্রুপ ম্যাচ হেরে তাই ঘোষণাটা দিলেন যখন, সবার কাছেই এল বিস্ময় হিসেবে। টেনিসকে বিদায় বলে ফেললেন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এলেনা দেমেন্তিয়েভা।
বয়স ২৯। তাঁর চেয়েও বেশি বয়সী হয়েও যেখানে কোর্ট দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কিম ক্লাইস্টার্স, জাস্টিন হেনিনরা, তিনি কেন অবসর নিয়ে ফেললেন? আসলে তিনি হেরে গেলেন ইনজুরির কাছে। বেশ কিছুদিন ধরেই অ্যাঙ্কেলের চোট ভোগাচ্ছিল তাঁকে। ৬-৪, ৬-২ গেমে ফ্রান্সের ফ্রান্সেসকা শিয়াভনের বিপক্ষেও হেরে যাওয়া ম্যাচেও দেখা গেছে যার প্রভাব। টেনিসকে বিদায় বলতে গিয়ে আরেক লড়াইও করতে হয়েছে দেমেন্তিয়েভাকে, আবেগ ও টেনিসের প্রতি ভালোবাসার সঙ্গে, ‘বিদায় বলাটা খুবই কঠিন।’ পরশুর ম্যাচ শেষে রুশ-কন্যা বলে গেলেন, ‘অবসরের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে যখন আমি পরিবারের সঙ্গে কথা বলি, একটা প্রস্তুতি ছিল তাদের সমর্থন পাব। কিন্তু (আমার সিদ্ধান্তে) তারা বিস্মিত হয়েছে। তারা আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, আমি আরও বছর দুই খেলে যেতে পারব, অনেক টুর্নামেন্ট জিততে পারব। কিন্তু এভাবে (ইনজুরির বিপক্ষে লড়াই) চললে সিদ্ধান্ত একটা নিতেই হবে আপনাকে। আমি মনে করি, আমার বয়ফ্রেন্ড ছাড়া অবসরের সিদ্ধান্তে আর কেউ খুশি হতে পারেনি।’
বয়ফ্রেন্ড প্রসঙ্গটা তুলে ১৬টি ডব্লুটিএ শিরোপা জেতা দেমেন্তিয়েভা আরেকটি ইঙ্গিতও দিলেন। টেনিস ছেড়ে শুরু করবেন সংসার ধর্ম। মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাটাও শেষ করতে চান।
২০০৪ সালে ফ্রেঞ্চ ও ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন, কিন্তু হেরে যাওয়ার পর তিনি উপলব্ধি করতে পারেন তাঁর সার্ভিসে সমস্যা আছে। সমস্যা কাটিয়ে উঠতে নিবিড় অনুশীলন করেছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু পরে আর কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠতে পারেননি। ক্যারিয়ারে বড় অর্জন বলতে বেইজিং অলিম্পিক টেনিসের সোনাটাই।
কিন্তু সবকিছুকেই কি অর্জন দিয়ে মাপা যায়! দোহায় খেলতে আসা তাঁর স্বদেশি ভেরা জনারেভা বিদায়ী সতীর্থের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন এভাবেই, ‘তোমার জন্য গর্বিত রাশিয়া, তুমি যা করেছে গর্বিত তার জন্য। শুধু রুশ টেনিসের জন্যই নয়, দেশের খেলাধুলার জন্যও তুমি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
বয়স ২৯। তাঁর চেয়েও বেশি বয়সী হয়েও যেখানে কোর্ট দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কিম ক্লাইস্টার্স, জাস্টিন হেনিনরা, তিনি কেন অবসর নিয়ে ফেললেন? আসলে তিনি হেরে গেলেন ইনজুরির কাছে। বেশ কিছুদিন ধরেই অ্যাঙ্কেলের চোট ভোগাচ্ছিল তাঁকে। ৬-৪, ৬-২ গেমে ফ্রান্সের ফ্রান্সেসকা শিয়াভনের বিপক্ষেও হেরে যাওয়া ম্যাচেও দেখা গেছে যার প্রভাব। টেনিসকে বিদায় বলতে গিয়ে আরেক লড়াইও করতে হয়েছে দেমেন্তিয়েভাকে, আবেগ ও টেনিসের প্রতি ভালোবাসার সঙ্গে, ‘বিদায় বলাটা খুবই কঠিন।’ পরশুর ম্যাচ শেষে রুশ-কন্যা বলে গেলেন, ‘অবসরের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে যখন আমি পরিবারের সঙ্গে কথা বলি, একটা প্রস্তুতি ছিল তাদের সমর্থন পাব। কিন্তু (আমার সিদ্ধান্তে) তারা বিস্মিত হয়েছে। তারা আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, আমি আরও বছর দুই খেলে যেতে পারব, অনেক টুর্নামেন্ট জিততে পারব। কিন্তু এভাবে (ইনজুরির বিপক্ষে লড়াই) চললে সিদ্ধান্ত একটা নিতেই হবে আপনাকে। আমি মনে করি, আমার বয়ফ্রেন্ড ছাড়া অবসরের সিদ্ধান্তে আর কেউ খুশি হতে পারেনি।’
বয়ফ্রেন্ড প্রসঙ্গটা তুলে ১৬টি ডব্লুটিএ শিরোপা জেতা দেমেন্তিয়েভা আরেকটি ইঙ্গিতও দিলেন। টেনিস ছেড়ে শুরু করবেন সংসার ধর্ম। মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাটাও শেষ করতে চান।
২০০৪ সালে ফ্রেঞ্চ ও ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন, কিন্তু হেরে যাওয়ার পর তিনি উপলব্ধি করতে পারেন তাঁর সার্ভিসে সমস্যা আছে। সমস্যা কাটিয়ে উঠতে নিবিড় অনুশীলন করেছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু পরে আর কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠতে পারেননি। ক্যারিয়ারে বড় অর্জন বলতে বেইজিং অলিম্পিক টেনিসের সোনাটাই।
কিন্তু সবকিছুকেই কি অর্জন দিয়ে মাপা যায়! দোহায় খেলতে আসা তাঁর স্বদেশি ভেরা জনারেভা বিদায়ী সতীর্থের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন এভাবেই, ‘তোমার জন্য গর্বিত রাশিয়া, তুমি যা করেছে গর্বিত তার জন্য। শুধু রুশ টেনিসের জন্যই নয়, দেশের খেলাধুলার জন্যও তুমি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
No comments