মাউন্ট মেরাপিতে আবার ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত
ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মেরাপি আগ্নেয়গিরিতে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আবার ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। এ সময় জ্বালামুখ থেকে ছাই বের হয়ে অনেক দূর গিয়ে বৃষ্টির মতো ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে লোকজনের মধ্যে হুলস্থুল পড়ে যায়। হুড়োহুড়ির সময় পদদলিত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ দিন আগে সুমাত্রার উপকূলে আঘাত হানা সুনামিতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকায় থাকা ১৩০ জনের বেশি লোককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে মাউন্ট মেরাপিতে প্রচণ্ড শব্দে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে আগ্নেয়গিরির আশপাশের এলাকার শত শত লোক নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে শুরু করে। এমনকি এসব এলাকায় মোতায়েন থাকা সেনা ও পুলিশের সদস্যরাও পালাতে থাকে। এ সময় রাস্তাঘাটে লোকজন, গাড়ি, মোটরসাইকেলের ভিড়ে প্রচণ্ড জট লেগে যায়। মাউন্ট মেরাপি থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে ইয়োগ্যাকার্তা বিমানবন্দরে গিয়ে ছাই ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। কর্মীরা রানওয়ে পরিষ্কার করার পর বিমানবন্দরটি আবার চালু হয়।
হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার গভীর রাতের অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে হুড়োহুড়ির সময় দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
সার্দজিতো হাসপাতালের মুখপাত্র আরিফ নোভিয়ানতো জানান, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া এই দুজনের একজন নারী ও অপরজন এক বছরের শিশু। এই নিয়ে এ পর্যন্ত ৩৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে ৩৬ জন মারা গেছে সরাসরি অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায়।
ক্রিস বুদিয়ানতো (৫১) নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বজ্রপাতের মতো প্রচণ্ড শব্দে জেগে উঠি। তারপর মোটরসাইকেল নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে পালাতে থাকি।’ একপর্যায়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে তিনি আঘাত পান বলে জানান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা অগাস প্রায়িতনো বলেন, উত্তর পাগাই দ্বীপের উঁচু স্থান থেকে নিখোঁজ কিছু ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ২৯৮ জন। এখন তা ১৬৩ জনে নেমে এসেছে। তিনি জানান, সরকারি হিসাব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা এখনো ৪১৩ জন।
কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে মাউন্ট মেরাপিতে প্রচণ্ড শব্দে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে আগ্নেয়গিরির আশপাশের এলাকার শত শত লোক নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে শুরু করে। এমনকি এসব এলাকায় মোতায়েন থাকা সেনা ও পুলিশের সদস্যরাও পালাতে থাকে। এ সময় রাস্তাঘাটে লোকজন, গাড়ি, মোটরসাইকেলের ভিড়ে প্রচণ্ড জট লেগে যায়। মাউন্ট মেরাপি থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে ইয়োগ্যাকার্তা বিমানবন্দরে গিয়ে ছাই ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। কর্মীরা রানওয়ে পরিষ্কার করার পর বিমানবন্দরটি আবার চালু হয়।
হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার গভীর রাতের অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে হুড়োহুড়ির সময় দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
সার্দজিতো হাসপাতালের মুখপাত্র আরিফ নোভিয়ানতো জানান, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া এই দুজনের একজন নারী ও অপরজন এক বছরের শিশু। এই নিয়ে এ পর্যন্ত ৩৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে ৩৬ জন মারা গেছে সরাসরি অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায়।
ক্রিস বুদিয়ানতো (৫১) নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বজ্রপাতের মতো প্রচণ্ড শব্দে জেগে উঠি। তারপর মোটরসাইকেল নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে পালাতে থাকি।’ একপর্যায়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে তিনি আঘাত পান বলে জানান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা অগাস প্রায়িতনো বলেন, উত্তর পাগাই দ্বীপের উঁচু স্থান থেকে নিখোঁজ কিছু ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ২৯৮ জন। এখন তা ১৬৩ জনে নেমে এসেছে। তিনি জানান, সরকারি হিসাব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা এখনো ৪১৩ জন।
No comments