‘উইকিলিকসের তথ্য ফাঁস অনৈতিক’
আফগান যুদ্ধ নিয়ে উইকিলিকসের ওয়েবসাইটে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ‘গোপন তথ্য’ ফাঁস করাকে অনৈতিক বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস। উইকিলিকস এ বিষয়ে আরও তথ্য ফাঁস করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তথ্য ফাঁসের বিষয়ে গত রোববার এবিসি টেলিভিশনের নিউজ শোতে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন গেটস।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেটস বলেন, এভাবে তথ্য প্রকাশের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মধ্যে পারস্পারিক বিশ্বাস কমে যেতে পারে। এ ছাড়া এসব নথিতে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা আফগান নাগরিকদের জীবন হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। তিনি বলেন, এ জন্য উইকিলিকসের বিরুদ্ধে আইনগতসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে তাও হতে হবে নৈতিকতার ওপর ভিত্তি করে। আর এটা বিচার বিভাগের ব্যাপার। গেটস আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, তথ্য ফাঁস করায় উইকিলিকস দোষী সাব্যস্ত হবে। তথ্য ফাঁসের পরিণতি কী হতে পারে, সে বিষয়ে তারা কোনো চিন্তাভাবনাই করেনি।’
এনবিসি টেলিভিশনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ারম্যান অব দ্য জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন তথ্য ফাঁসের ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ ঘটনা বলে অভিহিত করেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, উইকিলিকসের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় জোর তদন্ত চলছে। ইরাক যুদ্ধে মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষক ব্রাডলি ম্যানিংকে কেন্দ্র করে এই তদন্ত চালানো হচ্ছে। ২০০৭ সালে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর একটি বিমান হামলার গোপন ভিডিওচিত্র ফাঁস করার অভিযোগে ব্রাডলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই হামলায় রয়টার্সের দুই সাংবাদিকসহ কয়েক ডজন সাধারণ নাগরিক নিহত হন। ব্রাডলি কাছের কারও সঙ্গে ইউকিলিকসের সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি উইকিলিকস নামের একটি সংস্থার ওয়েবসাইটে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ৯২ হাজারেরও বেশি গোপন তথ্যের নথি ফাঁস করা হয়। ‘আফগান যুদ্ধের দিনপঞ্জি’ শিরোনামে উইকিলিকসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, এসব নথিতে তালেবানকে পাকিস্তান ও ইরান সহায়তা করছে, সে বিষয়ে ন্যাটোর উদ্বিগ্নতার বিষয়টি উঠে এসেছে। নথিতে ন্যাটো বাহিনীর হামলায় আফগানিস্তানে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্য ফাঁসের বিষয়ে গত রোববার এবিসি টেলিভিশনের নিউজ শোতে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন গেটস।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেটস বলেন, এভাবে তথ্য প্রকাশের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মধ্যে পারস্পারিক বিশ্বাস কমে যেতে পারে। এ ছাড়া এসব নথিতে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা আফগান নাগরিকদের জীবন হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। তিনি বলেন, এ জন্য উইকিলিকসের বিরুদ্ধে আইনগতসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে তাও হতে হবে নৈতিকতার ওপর ভিত্তি করে। আর এটা বিচার বিভাগের ব্যাপার। গেটস আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, তথ্য ফাঁস করায় উইকিলিকস দোষী সাব্যস্ত হবে। তথ্য ফাঁসের পরিণতি কী হতে পারে, সে বিষয়ে তারা কোনো চিন্তাভাবনাই করেনি।’
এনবিসি টেলিভিশনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ারম্যান অব দ্য জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন তথ্য ফাঁসের ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ ঘটনা বলে অভিহিত করেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, উইকিলিকসের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় জোর তদন্ত চলছে। ইরাক যুদ্ধে মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষক ব্রাডলি ম্যানিংকে কেন্দ্র করে এই তদন্ত চালানো হচ্ছে। ২০০৭ সালে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর একটি বিমান হামলার গোপন ভিডিওচিত্র ফাঁস করার অভিযোগে ব্রাডলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই হামলায় রয়টার্সের দুই সাংবাদিকসহ কয়েক ডজন সাধারণ নাগরিক নিহত হন। ব্রাডলি কাছের কারও সঙ্গে ইউকিলিকসের সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি উইকিলিকস নামের একটি সংস্থার ওয়েবসাইটে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ৯২ হাজারেরও বেশি গোপন তথ্যের নথি ফাঁস করা হয়। ‘আফগান যুদ্ধের দিনপঞ্জি’ শিরোনামে উইকিলিকসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, এসব নথিতে তালেবানকে পাকিস্তান ও ইরান সহায়তা করছে, সে বিষয়ে ন্যাটোর উদ্বিগ্নতার বিষয়টি উঠে এসেছে। নথিতে ন্যাটো বাহিনীর হামলায় আফগানিস্তানে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
No comments