দরজা খোলাই আছে ম্যারাডোনার
যাঁকে মিথ্যুক-প্রতারক বলে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা, সেই কার্লোস বিলার্দোই এখনো দরজা খুলে রেখেছেন তাঁর জন্য। আর্জেন্টিনা দলের মহাব্যবস্থাপক বিলার্দো জানিয়েছেন, ম্যারাডোনার উত্তরসূরি ঠিক করতে কারও সঙ্গে এখনো আলোচনাই করা হয়নি। এই আভাসও দিয়েছেন, কোচ হিসেবে ম্যারাডোনাকে আবারও দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা পুরো শেষ হয়ে যায়নি।
তাঁর এককালের শিষ্য ম্যারাডোনা যেসব গুরুতর অভিযোগ এনেছেন, এ সম্পর্কে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার (এএফএ) প্রধান হুলিও গ্রন্দোনার পরামর্শে সংবাদ সম্মেলন বাতিল করে দেন বিলার্দো। সেই বাতিলের ঘোষণা দিতে এসেই তিনি বলেছেন, ‘সবার আগে ডিয়েগোকে আমার সঙ্গে বসতে হবে, কথা বলতে হবে।’ যার অর্থ, আলোচনার দরজা এখনো খোলাই।
ম্যারাডোনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বরাবরই অম্ল-মধুর। ম্যারাডোনাকে শৈশব থেকেই চেনেন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনাকে অধিনায়ক বানিয়েছিলেন তখনকার কোচ বিলার্দোই। ম্যারাডোনা আবারও যে কোচের ভূমিকায় আর্জেন্টিনার ফুটবলে এসেছিলেন, তাতেও অবদান আছে তাঁর। এ সবকিছু মনে করিয়ে দিয়ে ৭১ বছর বয়সী এই প্রবীণ ফুটবল ব্যক্তিত্ব বলেছেন, ম্যারাডোনার সঙ্গে তাঁর এই সম্পর্কের অবনতির পেছনে মূল কারণ ব্যক্তিগত কোনো অহংবোধের লড়াই নয়। বরং দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের অপ্রত্যাশিত ফলাফল, ‘সমস্যা দেখা দেওয়ার আগ পর্যন্ত সবকিছুই ভালোমতো চলছিল। ছয় মাস আগেও গ্রন্দোনা আমাদের সবার সঙ্গে বসে কথা বলেছিলেন। সবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দারুণ। জার্মানির কাছে হেরে যাওয়ার পরই আসলে খেলোয়াড়েরা মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিল। ডিয়েগো প্রশ্নের মুখে পড়ল। আমাকেও পড়তে হয়েছিল। ফলাফল যখন আপনার মনমতো হবে না, তখনই এসব সমস্যা দেখা দেবে।’
তবে কি ম্যারাডোনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা তিনি করবেন? ধোঁয়াশামাখা একটা উত্তর মিলল বিলার্দোর কাছ থেকে, ‘আমার দায়িত্ব হলো জাতীয় দলের কোচ হিসেবে উপযুক্ত কারও নাম প্রস্তাব করা। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার নির্বাহী কমিটির। আমি কেবল নামই প্রস্তাব করতে পারি, যেমনটা আমি ডিয়েগোর বেলায়ও করেছিলাম। শুধু এতটুকু বলতে পারি, প্রেসিডেন্ট এ ব্যাপারে কারও সঙ্গে কথা বলেননি। কাউকে নিয়োগ দেওয়াও হয়নি। আমরা অপেক্ষা করছি। এখনো যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে।’
তবে কি ম্যারাডোনার ওপর কোনো রাগ নেই তাঁর? বিলার্দোর আবেগঘন উত্তর, ‘ওর তো কোনো দোষ নেই। সব দোষ ওর আশপাশের মন্ত্রণাদাতাদের। আমি ওকে চিরকালই আগলে রেখেছি। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তা-ই করে যাব।’
ম্যারাডোনার সহকারীদের ওপর আগে থেকেই বিলার্দো ক্ষুব্ধ। যদিও এই সহকারীদেরই একজন আলেসান্দ্রো মানকুসো দাবি করেছেন, বিশ্বকাপে বিলার্দোর সঙ্গে তাঁদের কোনো ঝামেলা ছিল না। বিলার্দো সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে গেছেন কী করা উচিত না উচিত এ ব্যাপারে। ‘বিলার্দো কখনোই আমাদের দল ছেড়ে যাননি। তাঁকে আমরা সব সময়ই শ্রদ্ধা করতাম। যেকোনো প্রয়োজনে তাঁর কাছে ছুটে যেতাম। প্রায় প্রতি রাতে আমরা এক রুমে জড়ো হয়ে তাসও খেলেছি।’
ম্যারাডোনা কেন বিলার্দোর বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র অভিযোগ এনেছেন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন মানকুসো, ‘আসলে ডিয়েগো মনে করেছে, আমরা যদি চুক্তি থেকে বাদ পড়ি, তাহলে বিলার্দোরও বাদ পড়া উচিত।’ এএফএর নির্দেশ মেনে ম্যারাডোনা সাত সহকারীকে সরিয়ে দিতে চাইলে অন্তত তাঁর কোনো আপত্তি থাকত না বলেই জানালেন মানকুসো, ‘আমি নিজে তাঁর কাছে পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছিলাম
তাঁর এককালের শিষ্য ম্যারাডোনা যেসব গুরুতর অভিযোগ এনেছেন, এ সম্পর্কে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার (এএফএ) প্রধান হুলিও গ্রন্দোনার পরামর্শে সংবাদ সম্মেলন বাতিল করে দেন বিলার্দো। সেই বাতিলের ঘোষণা দিতে এসেই তিনি বলেছেন, ‘সবার আগে ডিয়েগোকে আমার সঙ্গে বসতে হবে, কথা বলতে হবে।’ যার অর্থ, আলোচনার দরজা এখনো খোলাই।
ম্যারাডোনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বরাবরই অম্ল-মধুর। ম্যারাডোনাকে শৈশব থেকেই চেনেন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনাকে অধিনায়ক বানিয়েছিলেন তখনকার কোচ বিলার্দোই। ম্যারাডোনা আবারও যে কোচের ভূমিকায় আর্জেন্টিনার ফুটবলে এসেছিলেন, তাতেও অবদান আছে তাঁর। এ সবকিছু মনে করিয়ে দিয়ে ৭১ বছর বয়সী এই প্রবীণ ফুটবল ব্যক্তিত্ব বলেছেন, ম্যারাডোনার সঙ্গে তাঁর এই সম্পর্কের অবনতির পেছনে মূল কারণ ব্যক্তিগত কোনো অহংবোধের লড়াই নয়। বরং দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের অপ্রত্যাশিত ফলাফল, ‘সমস্যা দেখা দেওয়ার আগ পর্যন্ত সবকিছুই ভালোমতো চলছিল। ছয় মাস আগেও গ্রন্দোনা আমাদের সবার সঙ্গে বসে কথা বলেছিলেন। সবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দারুণ। জার্মানির কাছে হেরে যাওয়ার পরই আসলে খেলোয়াড়েরা মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিল। ডিয়েগো প্রশ্নের মুখে পড়ল। আমাকেও পড়তে হয়েছিল। ফলাফল যখন আপনার মনমতো হবে না, তখনই এসব সমস্যা দেখা দেবে।’
তবে কি ম্যারাডোনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা তিনি করবেন? ধোঁয়াশামাখা একটা উত্তর মিলল বিলার্দোর কাছ থেকে, ‘আমার দায়িত্ব হলো জাতীয় দলের কোচ হিসেবে উপযুক্ত কারও নাম প্রস্তাব করা। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার নির্বাহী কমিটির। আমি কেবল নামই প্রস্তাব করতে পারি, যেমনটা আমি ডিয়েগোর বেলায়ও করেছিলাম। শুধু এতটুকু বলতে পারি, প্রেসিডেন্ট এ ব্যাপারে কারও সঙ্গে কথা বলেননি। কাউকে নিয়োগ দেওয়াও হয়নি। আমরা অপেক্ষা করছি। এখনো যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে।’
তবে কি ম্যারাডোনার ওপর কোনো রাগ নেই তাঁর? বিলার্দোর আবেগঘন উত্তর, ‘ওর তো কোনো দোষ নেই। সব দোষ ওর আশপাশের মন্ত্রণাদাতাদের। আমি ওকে চিরকালই আগলে রেখেছি। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তা-ই করে যাব।’
ম্যারাডোনার সহকারীদের ওপর আগে থেকেই বিলার্দো ক্ষুব্ধ। যদিও এই সহকারীদেরই একজন আলেসান্দ্রো মানকুসো দাবি করেছেন, বিশ্বকাপে বিলার্দোর সঙ্গে তাঁদের কোনো ঝামেলা ছিল না। বিলার্দো সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে গেছেন কী করা উচিত না উচিত এ ব্যাপারে। ‘বিলার্দো কখনোই আমাদের দল ছেড়ে যাননি। তাঁকে আমরা সব সময়ই শ্রদ্ধা করতাম। যেকোনো প্রয়োজনে তাঁর কাছে ছুটে যেতাম। প্রায় প্রতি রাতে আমরা এক রুমে জড়ো হয়ে তাসও খেলেছি।’
ম্যারাডোনা কেন বিলার্দোর বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র অভিযোগ এনেছেন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন মানকুসো, ‘আসলে ডিয়েগো মনে করেছে, আমরা যদি চুক্তি থেকে বাদ পড়ি, তাহলে বিলার্দোরও বাদ পড়া উচিত।’ এএফএর নির্দেশ মেনে ম্যারাডোনা সাত সহকারীকে সরিয়ে দিতে চাইলে অন্তত তাঁর কোনো আপত্তি থাকত না বলেই জানালেন মানকুসো, ‘আমি নিজে তাঁর কাছে পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছিলাম
No comments