ইরানে হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: মুলেন
অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন |
ইরানের পরমাণু অস্ত্র বাগানো ঠেকাতে প্রয়োজনে সে দেশে হামলা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন স্বীকার করেছেন, এ ধরনের হামলার পরিকল্পনা আছে তাঁর। তবে এ ধরনের হামলার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে তিনি চরম উদ্বেগের মধ্যে আছেন। গত রোববার মার্কিন টিভি চ্যানেল এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দেখতে চান, দুজনের মধ্যে কে সবচেয়ে ভালো সমাধান দিতে পারেন।
মার্কিন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার ওই মন্তব্যের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। তারা বলেছে, মার্কিন সেনাদের কারণে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা সংকটাপন্ন হলে কঠোর জবাব দেবে তারা।
অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণাম ডেকে আনতে পারে। এ ব্যাপারে আগাম কিছু বলা মুশকিল। তবে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়াও মেনে নেওয়া যায় না। মন খুলে বলতে গেলে এটাই বলতে হয়, উভয় পরিণাম নিয়ে আমি চরম উদ্বেগের মধ্যে আছি।’
মুলেন আশা প্রকাশ করেন, যৌথ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রয়াস ও ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ তেহরানকে পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি পরিত্যাগের পথে নিয়ে যাবে। অনেকের মতে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর বিশ্বাস এই কর্মসূচির মাধ্যমে ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে।
মুলেন বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক সমাধানের বিষয়টি টেবিলে উত্থাপন করা হয়েছে। তা এখন টেবিলেই রয়েছে। আশা করি, এ সমাধান আমাদের বেছে নিতে হবে না। তবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাধান।’
মার্কিন সেনাদের ইরাকে হামলা করার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে মুলেন বলেন, ‘পরিকল্পনা আছে।’ তবে এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
মুলেনের এসব মন্তব্যের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে ইরান। সে দেশের অভিজাত বাহিনী বলে পরিচিত রেভ্যুলিউশনারি গার্ডসের উপপ্রধান ইয়াদুল্লাহ জাভানি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল যদি আমাদের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক ব্যবস্থা নেয়, সে ক্ষেত্রে আমরা আমাদের রক্ষা করব।’
তেহরানে গতকাল সোমবার প্রবাসী ইরানিদের এক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘আগামী মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আমরা মিলিত হব বলে আশা রাখি। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে ওবামার সঙ্গে আমি মুখোমুখি হতে চাই। দেখি, বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে কে বেশি ভালো সমাধান দিতে পারে।
গত সেপ্টেম্বরে আহমাদিনেজাদ এ ধরনের এক বিতর্কের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ওয়াশিংটন তা গ্রহণ করেনি
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দেখতে চান, দুজনের মধ্যে কে সবচেয়ে ভালো সমাধান দিতে পারেন।
মার্কিন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার ওই মন্তব্যের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। তারা বলেছে, মার্কিন সেনাদের কারণে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা সংকটাপন্ন হলে কঠোর জবাব দেবে তারা।
অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণাম ডেকে আনতে পারে। এ ব্যাপারে আগাম কিছু বলা মুশকিল। তবে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়াও মেনে নেওয়া যায় না। মন খুলে বলতে গেলে এটাই বলতে হয়, উভয় পরিণাম নিয়ে আমি চরম উদ্বেগের মধ্যে আছি।’
মুলেন আশা প্রকাশ করেন, যৌথ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রয়াস ও ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ তেহরানকে পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি পরিত্যাগের পথে নিয়ে যাবে। অনেকের মতে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর বিশ্বাস এই কর্মসূচির মাধ্যমে ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে।
মুলেন বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক সমাধানের বিষয়টি টেবিলে উত্থাপন করা হয়েছে। তা এখন টেবিলেই রয়েছে। আশা করি, এ সমাধান আমাদের বেছে নিতে হবে না। তবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাধান।’
মার্কিন সেনাদের ইরাকে হামলা করার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে মুলেন বলেন, ‘পরিকল্পনা আছে।’ তবে এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
মুলেনের এসব মন্তব্যের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে ইরান। সে দেশের অভিজাত বাহিনী বলে পরিচিত রেভ্যুলিউশনারি গার্ডসের উপপ্রধান ইয়াদুল্লাহ জাভানি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল যদি আমাদের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক ব্যবস্থা নেয়, সে ক্ষেত্রে আমরা আমাদের রক্ষা করব।’
তেহরানে গতকাল সোমবার প্রবাসী ইরানিদের এক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘আগামী মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আমরা মিলিত হব বলে আশা রাখি। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে ওবামার সঙ্গে আমি মুখোমুখি হতে চাই। দেখি, বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে কে বেশি ভালো সমাধান দিতে পারে।
গত সেপ্টেম্বরে আহমাদিনেজাদ এ ধরনের এক বিতর্কের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ওয়াশিংটন তা গ্রহণ করেনি
No comments