ইরানের বিরুদ্ধে নতুন অবরোধ আরোপে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব
ইরানের বিরুদ্ধে চতুর্থ দফা জাতিসংঘের অবরোধ আরোপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে। আলোচনার জন্য গত মঙ্গলবার খসড়া প্রস্তাবটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের কাছে পাঠানো হয়।
নতুন খসড়া প্রস্তাবের ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, রাশিয়া ও চীনসহ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ এ খসড়া প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে।
১০ পৃষ্ঠার ওই খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রচলিত অস্ত্র বা পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র বহন করছে এমন সন্দেহ হলে সমুদ্রবন্দর ও মধ্যসাগরে ইরানের মালবাহী জাহাজগুলোতে তল্লাশি চালাতে পারবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। প্রস্তাবে তেহরানের কাছে ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, যুদ্ধবিমান, রণতরী ও অন্যান্য ভারী অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে । এ ছাড়া পরমাণু অস্ত্রবিস্তার কর্মসূচির সঙ্গে যোগসাজশ আছে এমন সন্দেহে ইরানি ব্যাংকগুলোর শাখা, সহপ্রতিষ্ঠান বা প্রতিনিধিত্বকারী কার্যালয় খোলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে। ইরানি ব্যাংকগুলোর লেনদেনের ওপর আরও নজরদারি বাড়ানো হবে। সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্যদের তালিকা করা হয়েছে। তবে নতুন এই প্রস্তাবের ব্যাপারে ইরানে আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহী হতাশা প্রকাশ করেছেন।
এ সপ্তাহে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য স্বল্পসমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আরও সমৃদ্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে ব্রাজিল, তুরস্ক ও ইরানের মধ্যে একটি চুক্তি হওয়ার পরও অবরোধ আরোপের এই খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়। গত সোমবারের ওই চুক্তি অনুযায়ী, ইরান তার স্বল্পসমৃদ্ধ এক হাজার ২০০ কেজি ইউরেনিয়াম তুরস্কে পাঠাবে এবং তুরস্ক ওই ইউরেনিয়াম জ্বালানি উপযোগী মানে সমৃদ্ধ করে আবার তেহরানের কাছে পাঠাবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সরকার অভিযোগ করে আসছে ইরান জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা অব্যাহত রেখেছে। তাদের দাবি, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু ইরান সরকারের দাবি, তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
ব্রাজিল, তুরস্ক ও ইরানের মধ্যেকার চুক্তিটি এর আগে পশ্চিমা বিশ্বের প্রস্তাবিত চুক্তির মতোই। ব্রাজিল ও তুরস্ক নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। গত বছর ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীন প্রস্তাব দিয়েছিল ইরান তার স্বল্পসমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামগুলো রাশিয়া ও ফ্রান্সে পাঠাবে এবং তারা সেগুলো জ্বালানি উপযোগী মাত্রায় সমৃদ্ধ করে তেহরানের কাছে ফেরত দেবে। কিন্তু ওই সময় ইরানের দাবি ছিল, এই জ্বালানি লেনদেনের বিষয়টি ইরানের মাটিতেই হতে হবে। ফলে তখন দুপক্ষের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি।
অবরোধ আরোপের খসড়া প্রস্তাব সম্পর্কে ব্রাজিলের প্রতিনিধিরা বলেছেন, এ মুহূর্তে তাঁরা খসড়া প্রস্তাবটি নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনায় যেতে রাজি নন। কারণ, নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী মাসে অবরোধ প্রস্তাবটির ওপর নিরাপত্তা পরিষদে ভোট নেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা আশাবাদী প্রস্তাবটি অনুমোদন করানোর জন্য তাঁরা বেশির ভাগ সদস্যের সমর্থন পাবেন।
নিউইয়র্ক থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলেন, ‘পশ্চিমা শক্তিগুলো প্রস্তাবটিকে যতটা কঠোর করতে চেয়েছিল, সেটি আসলে ততটা কঠোর হয়নি। রাশিয়া ও চীন বেশ কয়েকটি পদক্ষেপে পানি ঢেলে দিয়েছে।
জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত লি বাওদং মঙ্গলবার বলেন, অবরোধ আরোপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা। এই অবরোধ নিরীহ জনগণকে হয়রানি করা বা স্বাভাবিক বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য নয়। অন্যদিকে গতকাল বুধবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ খসড়া চুক্তিতে রাশিয়ার সমর্থন নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে তিনি হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন।
নতুন খসড়া প্রস্তাবের ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, রাশিয়া ও চীনসহ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ এ খসড়া প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে।
১০ পৃষ্ঠার ওই খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রচলিত অস্ত্র বা পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র বহন করছে এমন সন্দেহ হলে সমুদ্রবন্দর ও মধ্যসাগরে ইরানের মালবাহী জাহাজগুলোতে তল্লাশি চালাতে পারবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। প্রস্তাবে তেহরানের কাছে ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, যুদ্ধবিমান, রণতরী ও অন্যান্য ভারী অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে । এ ছাড়া পরমাণু অস্ত্রবিস্তার কর্মসূচির সঙ্গে যোগসাজশ আছে এমন সন্দেহে ইরানি ব্যাংকগুলোর শাখা, সহপ্রতিষ্ঠান বা প্রতিনিধিত্বকারী কার্যালয় খোলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে। ইরানি ব্যাংকগুলোর লেনদেনের ওপর আরও নজরদারি বাড়ানো হবে। সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্যদের তালিকা করা হয়েছে। তবে নতুন এই প্রস্তাবের ব্যাপারে ইরানে আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহী হতাশা প্রকাশ করেছেন।
এ সপ্তাহে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য স্বল্পসমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আরও সমৃদ্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে ব্রাজিল, তুরস্ক ও ইরানের মধ্যে একটি চুক্তি হওয়ার পরও অবরোধ আরোপের এই খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়। গত সোমবারের ওই চুক্তি অনুযায়ী, ইরান তার স্বল্পসমৃদ্ধ এক হাজার ২০০ কেজি ইউরেনিয়াম তুরস্কে পাঠাবে এবং তুরস্ক ওই ইউরেনিয়াম জ্বালানি উপযোগী মানে সমৃদ্ধ করে আবার তেহরানের কাছে পাঠাবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সরকার অভিযোগ করে আসছে ইরান জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা অব্যাহত রেখেছে। তাদের দাবি, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু ইরান সরকারের দাবি, তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
ব্রাজিল, তুরস্ক ও ইরানের মধ্যেকার চুক্তিটি এর আগে পশ্চিমা বিশ্বের প্রস্তাবিত চুক্তির মতোই। ব্রাজিল ও তুরস্ক নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। গত বছর ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীন প্রস্তাব দিয়েছিল ইরান তার স্বল্পসমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামগুলো রাশিয়া ও ফ্রান্সে পাঠাবে এবং তারা সেগুলো জ্বালানি উপযোগী মাত্রায় সমৃদ্ধ করে তেহরানের কাছে ফেরত দেবে। কিন্তু ওই সময় ইরানের দাবি ছিল, এই জ্বালানি লেনদেনের বিষয়টি ইরানের মাটিতেই হতে হবে। ফলে তখন দুপক্ষের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি।
অবরোধ আরোপের খসড়া প্রস্তাব সম্পর্কে ব্রাজিলের প্রতিনিধিরা বলেছেন, এ মুহূর্তে তাঁরা খসড়া প্রস্তাবটি নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনায় যেতে রাজি নন। কারণ, নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী মাসে অবরোধ প্রস্তাবটির ওপর নিরাপত্তা পরিষদে ভোট নেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা আশাবাদী প্রস্তাবটি অনুমোদন করানোর জন্য তাঁরা বেশির ভাগ সদস্যের সমর্থন পাবেন।
নিউইয়র্ক থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলেন, ‘পশ্চিমা শক্তিগুলো প্রস্তাবটিকে যতটা কঠোর করতে চেয়েছিল, সেটি আসলে ততটা কঠোর হয়নি। রাশিয়া ও চীন বেশ কয়েকটি পদক্ষেপে পানি ঢেলে দিয়েছে।
জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত লি বাওদং মঙ্গলবার বলেন, অবরোধ আরোপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা। এই অবরোধ নিরীহ জনগণকে হয়রানি করা বা স্বাভাবিক বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য নয়। অন্যদিকে গতকাল বুধবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ খসড়া চুক্তিতে রাশিয়ার সমর্থন নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে তিনি হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন।
No comments