প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের -ব্যবস্থা করা হোক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় নির্বাচন কমিশন বিতর্কিত হয়ে পড়েছিল। তাদের আমলে ২০০৫ সালে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পদে যে ৩২৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে দলীয় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে। সে সময় সরকারি কর্মকমিশনও ছিল তৎকালীন সরকারের আজ্ঞাবহ। তাই তাদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার যথেষ্ট ভিত্তি ছিল। এ কারণে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হয়। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই সব কর্মকর্তার জন্য নতুন করে মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করে। পরীক্ষায় ৮৫ জন কর্মকর্তা অকৃতকার্য হলে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বকেয়া বেতন-ভাতাসহ তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল নিশ্চয়ই একটি সুসংবাদ। কারণ, চাকরি হারানোর চেয়ে বড় দুঃসংবাদ আর কী হতে পারে। কিন্তু কেন তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল আর কোন যুক্তিতে তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হলো, সেটা সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে। আলোচ্য ৩২৮ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার পর তাঁদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল, কিন্তু সেটা করা হয়নি। এ রকম প্রস্তুতিবিহীন অবস্থায় ২০০৭ সালে নতুন নির্বাচন কমিশন মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করায় ওই কর্মকর্তাদের মধ্যে ৮৫ জন অকৃতকার্য হয়েছিলেন। সংগতভাবেই প্রশ্ন ওঠে, ২০০৫ সালে চাকরিতে নিয়োগের পর প্রায় দুই বছরে কেন তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি।
বিগত চারদলীয় জোট সরকার ও তার আগের সরকারগুলোর আমলে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারত না। কমিশন ছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধীন। ফলে সেখানে নিয়োগ-বদলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ক্ষমতাসীনদের হস্তক্ষেপের যথেষ্ট সুযোগ ছিল। কিন্তু বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন কমিশন আর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধীন নয়। সুতরাং আলোচ্য ৮৫ জন কর্মকর্তার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা জরুরি। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনে এই কর্মকর্তারা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করুক, এটা একান্ত কাম্য।
শক্তিশালী গণতন্ত্রের একটি অন্যতম শর্ত সুষ্ঠু নির্বাচন। আর এ জন্য দরকার সব ধরনের রাজনৈতিক ও দলীয় প্রভাবমুক্ত স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন ভূমিকা পালনের আইনগত ভিত্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের সব কর্মকর্তার কাছে সর্বোচ্চ পেশাদারি কাম্য। কোনো কর্মকর্তার অতীত নিয়ে চিন্তা-ভাবনার অবকাশ নেই। এখন সবার পরিচয় হলো—তাঁরা একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা। তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মকানুন মেনে কাজ করার ওপরই নির্ভর করে দেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনের ফলাফলের গ্রহণযোগ্যতা।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের উপযুক্ত মানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা না হলে কমিশন ঈপ্সিত ভূমিকা পালন করতে পারবে না। আবার কর্মকর্তারা যদি সতর্কতার সঙ্গে সব ধরনের রাজনৈতিক দলীয় সংশ্লিষ্টতা থেকে দূরে না থাকেন, তাহলেও কমিশন জনগণের আস্থা ধরে রাখতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট সবাইকে মনে রাখতে হবে যে এখানে কারও নীতিবিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই।
বকেয়া বেতন-ভাতাসহ তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল নিশ্চয়ই একটি সুসংবাদ। কারণ, চাকরি হারানোর চেয়ে বড় দুঃসংবাদ আর কী হতে পারে। কিন্তু কেন তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল আর কোন যুক্তিতে তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হলো, সেটা সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে। আলোচ্য ৩২৮ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার পর তাঁদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল, কিন্তু সেটা করা হয়নি। এ রকম প্রস্তুতিবিহীন অবস্থায় ২০০৭ সালে নতুন নির্বাচন কমিশন মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করায় ওই কর্মকর্তাদের মধ্যে ৮৫ জন অকৃতকার্য হয়েছিলেন। সংগতভাবেই প্রশ্ন ওঠে, ২০০৫ সালে চাকরিতে নিয়োগের পর প্রায় দুই বছরে কেন তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি।
বিগত চারদলীয় জোট সরকার ও তার আগের সরকারগুলোর আমলে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারত না। কমিশন ছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধীন। ফলে সেখানে নিয়োগ-বদলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ক্ষমতাসীনদের হস্তক্ষেপের যথেষ্ট সুযোগ ছিল। কিন্তু বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন কমিশন আর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধীন নয়। সুতরাং আলোচ্য ৮৫ জন কর্মকর্তার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা জরুরি। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনে এই কর্মকর্তারা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করুক, এটা একান্ত কাম্য।
শক্তিশালী গণতন্ত্রের একটি অন্যতম শর্ত সুষ্ঠু নির্বাচন। আর এ জন্য দরকার সব ধরনের রাজনৈতিক ও দলীয় প্রভাবমুক্ত স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন ভূমিকা পালনের আইনগত ভিত্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের সব কর্মকর্তার কাছে সর্বোচ্চ পেশাদারি কাম্য। কোনো কর্মকর্তার অতীত নিয়ে চিন্তা-ভাবনার অবকাশ নেই। এখন সবার পরিচয় হলো—তাঁরা একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা। তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মকানুন মেনে কাজ করার ওপরই নির্ভর করে দেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনের ফলাফলের গ্রহণযোগ্যতা।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের উপযুক্ত মানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা না হলে কমিশন ঈপ্সিত ভূমিকা পালন করতে পারবে না। আবার কর্মকর্তারা যদি সতর্কতার সঙ্গে সব ধরনের রাজনৈতিক দলীয় সংশ্লিষ্টতা থেকে দূরে না থাকেন, তাহলেও কমিশন জনগণের আস্থা ধরে রাখতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট সবাইকে মনে রাখতে হবে যে এখানে কারও নীতিবিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই।
No comments