আফগানিস্তানে ন্যাটোর ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা, নিহত ১১
আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর সবচেয়ে বড় ঘাঁটিতে গতকাল বুধবার তালেবান জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে। এ সময় জঙ্গিদের সঙ্গে ন্যাটো সেনাদের সংঘর্ষে একজন মার্কিন ঠিকাদার ও ১০ জঙ্গি নিহত হন। এ ছাড়া সাত ন্যাটো সেনা আহত হন।
রাজধানী কাবুলের একটি স্পর্শকাতর এলাকায় আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা চালানোর এক দিনের মাথায় এ হামলা চালানো হলো। ওই গাড়িবোমা হামলায় সাত মার্কিন সেনা, এক কানাডীয় কর্নেল ও ১২ আফগান সেনা নিহত হন।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনীর (আইএসএএফ) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজধানী কাবুলের ৬০ কিলোমিটার উত্তরে বাগরাম বিমানঘাঁটিতে গতকাল রকেট, ছোট অস্ত্র ও গ্রেনেডের সাহায্যে জঙ্গিরা হামলা শুরু করে। ঘাঁটির বাইরে থেকে তারা রকেট লঞ্চার নিক্ষেপের পাশাপাশি ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় ন্যাটো সেনাদের পাল্টা হামলায় ১০ জঙ্গি নিহত হয়। সংঘর্ষ প্রায় ছয় ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
বাগরাম বিমানঘাঁটির তথ্য কর্মকর্তা মেজর ভার্জিনিয়া ম্যাককেবল জানান, জঙ্গিরা বিমানঘাঁটির একটি প্রবেশপথকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করলেও ভেতরে ঢুকতে পারেনি। ন্যাটোর সেনারা দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ঘাঁটি থেকে হেলিকপ্টার গানশিপ ব্যবহার করে জঙ্গিদের দমন করা হয়। এ সময় সাত সেনা আহত হন।
বাগরাম বিমানঘাঁটির পার্শ্ববর্তী নাওদি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, জঙ্গিরা খুব ভোরে হামলা শুরু করে। গোলাগুলি ও মার্কিন হেলিকপ্টারের প্রচণ্ড শব্দে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়।
ওই গ্রামের বাসিন্দা জেমারি মালিকজাদা বলেন, ‘তখন ভোর চারটা কি সাড়ে চারটা। দেখলাম, মার্কিন হেলিকপ্টারগুলো আকাশে চক্কর দিচ্ছে। সেগুলো থেকে জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে। জঙ্গিরাও হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছুড়ছে।’
আহমেদ জওয়াদ নামের আরেক গ্রামবাসী জানান, ‘জঙ্গিদের একজনকে দেখে তাঁর কাছে গেলাম। তিনি তাঁর বুকে বাঁধা বোমা আমাকে দেখালেন। এ দৃশ্য দেখে আমি দৌড়ে চলে এলাম।’
তালেবান জঙ্গিরা বাগরাম বিমানঘাঁটিতে বুধবারের ভয়াবহ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, তাদের ২০ জন আত্মঘাতী সদস্য ওই হামলায় অংশ নেয়। এর মধ্যে চারজন তাদের সঙ্গে থাকা বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের উড়িয়ে দেন।
রাজধানী কাবুলের একটি স্পর্শকাতর এলাকায় আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা চালানোর এক দিনের মাথায় এ হামলা চালানো হলো। ওই গাড়িবোমা হামলায় সাত মার্কিন সেনা, এক কানাডীয় কর্নেল ও ১২ আফগান সেনা নিহত হন।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনীর (আইএসএএফ) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজধানী কাবুলের ৬০ কিলোমিটার উত্তরে বাগরাম বিমানঘাঁটিতে গতকাল রকেট, ছোট অস্ত্র ও গ্রেনেডের সাহায্যে জঙ্গিরা হামলা শুরু করে। ঘাঁটির বাইরে থেকে তারা রকেট লঞ্চার নিক্ষেপের পাশাপাশি ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় ন্যাটো সেনাদের পাল্টা হামলায় ১০ জঙ্গি নিহত হয়। সংঘর্ষ প্রায় ছয় ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
বাগরাম বিমানঘাঁটির তথ্য কর্মকর্তা মেজর ভার্জিনিয়া ম্যাককেবল জানান, জঙ্গিরা বিমানঘাঁটির একটি প্রবেশপথকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করলেও ভেতরে ঢুকতে পারেনি। ন্যাটোর সেনারা দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ঘাঁটি থেকে হেলিকপ্টার গানশিপ ব্যবহার করে জঙ্গিদের দমন করা হয়। এ সময় সাত সেনা আহত হন।
বাগরাম বিমানঘাঁটির পার্শ্ববর্তী নাওদি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, জঙ্গিরা খুব ভোরে হামলা শুরু করে। গোলাগুলি ও মার্কিন হেলিকপ্টারের প্রচণ্ড শব্দে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়।
ওই গ্রামের বাসিন্দা জেমারি মালিকজাদা বলেন, ‘তখন ভোর চারটা কি সাড়ে চারটা। দেখলাম, মার্কিন হেলিকপ্টারগুলো আকাশে চক্কর দিচ্ছে। সেগুলো থেকে জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে। জঙ্গিরাও হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছুড়ছে।’
আহমেদ জওয়াদ নামের আরেক গ্রামবাসী জানান, ‘জঙ্গিদের একজনকে দেখে তাঁর কাছে গেলাম। তিনি তাঁর বুকে বাঁধা বোমা আমাকে দেখালেন। এ দৃশ্য দেখে আমি দৌড়ে চলে এলাম।’
তালেবান জঙ্গিরা বাগরাম বিমানঘাঁটিতে বুধবারের ভয়াবহ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, তাদের ২০ জন আত্মঘাতী সদস্য ওই হামলায় অংশ নেয়। এর মধ্যে চারজন তাদের সঙ্গে থাকা বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের উড়িয়ে দেন।
No comments