নাইজেরিয়ার পুলিশ নিয়মিত হত্যা ধর্ষণ ও নির্যাতন করে
নাইজেরিয়ার পুলিশ নিয়মিতভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যা, পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন ও নারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি ওপেন সোসাইটি জাস্টিস ইনিশিয়েটিভ নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
নাইজেরিয়ার পুলিশের কঠোর সমালোচনা করে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে সর্বশেষটি হচ্ছে ওপেন সোসাইটি জাস্টিস ইনিশিয়েটিভের এ প্রতিবেদন। চলতি মাসে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি নাইজেরীয় কর্তৃপক্ষ।
দুই বছর ধরে ৪০০ পুলিশ কর্মকর্তা ও সন্দেহভাজনের বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোতে কোনো শাস্তি ছাড়াই পার পেয়ে যাচ্ছে নাইজেরীয় পুলিশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নাইজেরিয়ায় পুলিশ বিচারবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও ঘুষ নেওয়ার মতো অপরাধ করছে। কিন্তু এসব অপকর্মের জন্য তাদের তেমন কোনো শাস্তি হয় না। কোনো অপরাধমূলক ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে নির্যাতনকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশ। নারী-পুরুষ উভয় অপরাধীর ওপর তাঁরা যৌন নির্যাতন চালায়। প্রায় সব কাজেই পুলিশ ঘুষ নেয়। একজন পুলিশ সদস্য ধর্ষণের ব্যাপারে বলেন, ‘রাতে টহলের সময় এই ছোটখাটো সুবিধাগুলো পাই আমরা।’ রাজধানী লাগোসে যৌনকর্মীরা বিবিসিকে জানান, প্রতিবেদনটি সঠিক। এক যৌনকর্মী বলেন, ‘তারা (পুলিশ) আমাদের তুলে নিয়ে যায়, মারধর করে, ধর্ষণ করে। অনেক সময় আমাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সাও ছিনিয়ে নেয়।’ এ ছাড়া পুলিশ হেফাজতেও অনেক নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এটা এমন এক দেশ, যেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনাকে ঘুষ দিতে হবে। যাঁদের ঘুষ দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাঁরা অনেক বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।’
বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করার পরও পুলিশ সদস্যদের কোনো ধরনের বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি নিয়ে সেখানে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। সহিংস ঘটনায় বেশির ভাগ সময় পুলিশ সদস্যদের বিচারের মুখোমুখি হতে হয় না।
পুলিশ বাহিনীতে সংস্কার আনার জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি প্যানেল গঠন করা হলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি
নাইজেরিয়ার পুলিশের কঠোর সমালোচনা করে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে সর্বশেষটি হচ্ছে ওপেন সোসাইটি জাস্টিস ইনিশিয়েটিভের এ প্রতিবেদন। চলতি মাসে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি নাইজেরীয় কর্তৃপক্ষ।
দুই বছর ধরে ৪০০ পুলিশ কর্মকর্তা ও সন্দেহভাজনের বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোতে কোনো শাস্তি ছাড়াই পার পেয়ে যাচ্ছে নাইজেরীয় পুলিশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নাইজেরিয়ায় পুলিশ বিচারবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও ঘুষ নেওয়ার মতো অপরাধ করছে। কিন্তু এসব অপকর্মের জন্য তাদের তেমন কোনো শাস্তি হয় না। কোনো অপরাধমূলক ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে নির্যাতনকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশ। নারী-পুরুষ উভয় অপরাধীর ওপর তাঁরা যৌন নির্যাতন চালায়। প্রায় সব কাজেই পুলিশ ঘুষ নেয়। একজন পুলিশ সদস্য ধর্ষণের ব্যাপারে বলেন, ‘রাতে টহলের সময় এই ছোটখাটো সুবিধাগুলো পাই আমরা।’ রাজধানী লাগোসে যৌনকর্মীরা বিবিসিকে জানান, প্রতিবেদনটি সঠিক। এক যৌনকর্মী বলেন, ‘তারা (পুলিশ) আমাদের তুলে নিয়ে যায়, মারধর করে, ধর্ষণ করে। অনেক সময় আমাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সাও ছিনিয়ে নেয়।’ এ ছাড়া পুলিশ হেফাজতেও অনেক নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এটা এমন এক দেশ, যেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনাকে ঘুষ দিতে হবে। যাঁদের ঘুষ দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাঁরা অনেক বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।’
বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করার পরও পুলিশ সদস্যদের কোনো ধরনের বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি নিয়ে সেখানে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। সহিংস ঘটনায় বেশির ভাগ সময় পুলিশ সদস্যদের বিচারের মুখোমুখি হতে হয় না।
পুলিশ বাহিনীতে সংস্কার আনার জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি প্যানেল গঠন করা হলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি
No comments