বসমন্বিত কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন জরুরি
গত মঙ্গলবার আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আয়োজিত ‘ইভ টিজিং প্রতিরোধে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, উত্ত্যক্ততা বন্ধে সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ জোরদার করতে হবে। সামাজিক এই ব্যাধি দূর করতে গড়ে তুলতে হবে জনমত; পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তাঁদের এই বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করি।
উত্ত্যক্ততা আমাদের সমাজের অনেক গভীরে প্রোথিত। বখাটেরা হরহামেশাই পথেঘাটে শিশু, কিশোরী ও নারীদের উত্ত্যক্ত করে। নারী নির্যাতনের নানা রূপের মধ্যে এটি প্রতিনিয়ত ঘটলেও এর আপাত-অহিংস চেহারার কারণে তা সাধারণত গোচরে আসে না। সমাজে পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের প্রাধান্যের ফলে একে অপরাধ হিসেবে না দেখে স্বাভাবিক বিষয় মনে করারও চল আছে। কিন্তু আসকের তথ্যমতে, শুধু উত্ত্যক্ত করার কারণে চার মাসে আত্মহত্যা করেছেন ১৪ জন নারী। নারীর ওপর এই নির্যাতনের প্রভাব যে কত ভয়াবহ হতে পারে, উত্ত্যক্ত হওয়া থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য নারীদের আত্মহত্যার ঘটনা থেকেই তা অনুধাবন করা যায়। উত্ত্যক্ততা আমাদের সমাজে এক জটিল সমস্যা। এটি প্রতিরোধের চ্যালেঞ্জও তাই অত্যন্ত কঠিন।
উত্ত্যক্ত করার প্রভাব পড়ে সমাজের নানা ক্ষেত্রে। বখাটেদের উৎপাতে স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের একটি অংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়তে বাধ্য হয়। অনেক অসহায় অভিভাবক মেয়েদের বাল্যবিবাহের মাধ্যমে উৎপাত থেকে উদ্ধারের পথ খুঁজে নেন। সামাজিক পরিসরে নারীর পদচারণ কমে যায়, যার প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে। তাই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অংশগ্রহণে সমন্বিত কৌশল প্রণয়নের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার দাবি রাখে।
আশার কথা, সম্প্রতি উত্ত্যক্তবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে এসব উদ্যোগকে সমন্বিত করে কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত করাটা জরুরি।
তবে সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোতে মূলত আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। উত্ত্যক্ততার মূল কারণগুলো মোকাবিলায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা দরকার। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের গণ্ডি ছাপিয়েও এ ব্যাপারে শিক্ষাদান চালাতে হবে। পুলিশসহ বিভিন্ন পেশাজীবীকে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর বেড়ে ওঠা ও সামাজিকীকরণ ঘটে নাজুকতার মধ্য দিয়ে; এর সুযোগ নেয় বখাটেরা। নারীকে নাজুক রেখে এর অবসান হয়তো ঘটানো যাবে না। সমাজের বেশির ভাগ মানুষ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে, আইন প্রয়োগকারীরা তাদের পাশে দাঁড়ালে, রাজনৈতিক দলগুলো একে প্রশ্রয় না দিলে এই অন্যায় চলতে পারত না। তাই মানসিকতার বদল ঘটাতে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সব মানুষের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই সমস্যা প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
উত্ত্যক্ততা আমাদের সমাজের অনেক গভীরে প্রোথিত। বখাটেরা হরহামেশাই পথেঘাটে শিশু, কিশোরী ও নারীদের উত্ত্যক্ত করে। নারী নির্যাতনের নানা রূপের মধ্যে এটি প্রতিনিয়ত ঘটলেও এর আপাত-অহিংস চেহারার কারণে তা সাধারণত গোচরে আসে না। সমাজে পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের প্রাধান্যের ফলে একে অপরাধ হিসেবে না দেখে স্বাভাবিক বিষয় মনে করারও চল আছে। কিন্তু আসকের তথ্যমতে, শুধু উত্ত্যক্ত করার কারণে চার মাসে আত্মহত্যা করেছেন ১৪ জন নারী। নারীর ওপর এই নির্যাতনের প্রভাব যে কত ভয়াবহ হতে পারে, উত্ত্যক্ত হওয়া থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য নারীদের আত্মহত্যার ঘটনা থেকেই তা অনুধাবন করা যায়। উত্ত্যক্ততা আমাদের সমাজে এক জটিল সমস্যা। এটি প্রতিরোধের চ্যালেঞ্জও তাই অত্যন্ত কঠিন।
উত্ত্যক্ত করার প্রভাব পড়ে সমাজের নানা ক্ষেত্রে। বখাটেদের উৎপাতে স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের একটি অংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়তে বাধ্য হয়। অনেক অসহায় অভিভাবক মেয়েদের বাল্যবিবাহের মাধ্যমে উৎপাত থেকে উদ্ধারের পথ খুঁজে নেন। সামাজিক পরিসরে নারীর পদচারণ কমে যায়, যার প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে। তাই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অংশগ্রহণে সমন্বিত কৌশল প্রণয়নের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার দাবি রাখে।
আশার কথা, সম্প্রতি উত্ত্যক্তবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে এসব উদ্যোগকে সমন্বিত করে কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত করাটা জরুরি।
তবে সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোতে মূলত আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। উত্ত্যক্ততার মূল কারণগুলো মোকাবিলায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা দরকার। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের গণ্ডি ছাপিয়েও এ ব্যাপারে শিক্ষাদান চালাতে হবে। পুলিশসহ বিভিন্ন পেশাজীবীকে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর বেড়ে ওঠা ও সামাজিকীকরণ ঘটে নাজুকতার মধ্য দিয়ে; এর সুযোগ নেয় বখাটেরা। নারীকে নাজুক রেখে এর অবসান হয়তো ঘটানো যাবে না। সমাজের বেশির ভাগ মানুষ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে, আইন প্রয়োগকারীরা তাদের পাশে দাঁড়ালে, রাজনৈতিক দলগুলো একে প্রশ্রয় না দিলে এই অন্যায় চলতে পারত না। তাই মানসিকতার বদল ঘটাতে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সব মানুষের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই সমস্যা প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
No comments