সামরিক আদালতে ফনসেকার বিচার বন্ধ রাখার নির্দেশ
শ্রীলঙ্কায় সামরিক আদালতে সাবেক সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শরৎ ফনসেকার বিচার কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চতর আদালত। দেশটির আপিল আদালত গতকাল সোমবার এ নির্দেশ দিয়েছেন।
আপিল আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, সামরিক আদালতের বিচার কার্যক্রমের বৈধতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিচারকাজ স্থগিত রাখতে হবে। গত ১৬ মার্চ থেকে ফনসেকার বিরুদ্ধে সামরিক ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মাহিন্দা রাজাপক্ষের কাছে হেরে যান ফনসেকা। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার আগেই রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে ফনসেকা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিতভাবে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
গত নভেম্বরে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন ফনসেকা। এর আগে সেনাপ্রধান হিসেবে তাঁর নেতৃত্বে তামিল বিদ্রোহীদের পরাজিত করে সেনাবাহিনী। এর ফলে দেশটিতে দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের অবসান হয়।
এদিকে যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রায় এক বছর পর সরকার গতকাল জানিয়েছে, যুদ্ধকালীন জরুরি আইন শিথিল করা হচ্ছে। জরুরি আইনে সাজাপ্রাপ্ত এক সাংবাদিককে প্রেসিডেন্ট গতকাল ক্ষমা করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জামিনি লক্ষণ পেরিস।
যুদ্ধের সময় যেকোনো ব্যক্তিকে অভিযোগ ছাড়াই আটক বা বন্দী রাখা যেত এই আইনে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এই আইন এত দিন বহাল রাখায় দেশটির সরকারের সমালোচনা করে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে কলম্বো বলছে, পালিয়ে যাওয়া তামিল বিদ্রোহীদের ধরতে এবং তাঁদের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে এই আইন প্রয়োজন ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেরিস বলেন, ‘স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে আইন শিথিল করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
আপিল আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, সামরিক আদালতের বিচার কার্যক্রমের বৈধতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিচারকাজ স্থগিত রাখতে হবে। গত ১৬ মার্চ থেকে ফনসেকার বিরুদ্ধে সামরিক ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মাহিন্দা রাজাপক্ষের কাছে হেরে যান ফনসেকা। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার আগেই রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে ফনসেকা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিতভাবে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
গত নভেম্বরে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন ফনসেকা। এর আগে সেনাপ্রধান হিসেবে তাঁর নেতৃত্বে তামিল বিদ্রোহীদের পরাজিত করে সেনাবাহিনী। এর ফলে দেশটিতে দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের অবসান হয়।
এদিকে যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রায় এক বছর পর সরকার গতকাল জানিয়েছে, যুদ্ধকালীন জরুরি আইন শিথিল করা হচ্ছে। জরুরি আইনে সাজাপ্রাপ্ত এক সাংবাদিককে প্রেসিডেন্ট গতকাল ক্ষমা করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জামিনি লক্ষণ পেরিস।
যুদ্ধের সময় যেকোনো ব্যক্তিকে অভিযোগ ছাড়াই আটক বা বন্দী রাখা যেত এই আইনে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এই আইন এত দিন বহাল রাখায় দেশটির সরকারের সমালোচনা করে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে কলম্বো বলছে, পালিয়ে যাওয়া তামিল বিদ্রোহীদের ধরতে এবং তাঁদের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে এই আইন প্রয়োজন ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেরিস বলেন, ‘স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে আইন শিথিল করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
No comments