ঝরে পড়া স্কুলছাত্র থেকে জঙ্গি
মুম্বাই হামলায় অংশগ্রহণকারী জঙ্গি মোহাম্মদ আজমল কাসাব স্কুলের গণ্ডিও পার হতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখান তিনি। তাঁরই ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পাকিস্তান থেকে মুম্বাই আসেন। হামলার সময়অন্য সব সঙ্গী নিহত হলেও একমাত্র তিনিই ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। আজ ওই মামলার রায়ে তাঁর প্রাণদণ্ড হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের হাতে কাসাবের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে যেসব তথ্য এসেছে, তাকে সম্পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত বলা যাবে না। এসব তথ্য ছাড়া ছাড়া। তবে যত দূর জানা যায়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ফরিদকোটে কাসাবের জন্ম। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মাদ আমির ঈমান। তিনি গ্রামে একটি খাবার-দাবারের দোকান চালান। স্থানীয় ভোটার তালিকা অনুযায়ী তাঁর মায়ের নাম নূর।
২০০০ সালে কাসাব স্কুল ছাড়েন। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় জীবিকার তাগিদে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি লাহোরে শ্রমিকের কাজ করেন।
পুলিশের কাছে তাঁর দেওয়া তথ্য মতে, সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্যই তিনি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবায় যোগ দেন। অবশ্য এমন গুঞ্জনও রয়েছে, তাঁর বাবা নাকি স্রেফ অর্থের জন্য তাঁকে জঙ্গি দলে ভিড়িয়েছিলেন।
মামলার কৌঁসুলিরা তাঁকে চতুর ও ধূর্ত প্রকৃতির জঙ্গি হিসেবে উল্লখ করেছেন।
অন্যদিকে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শিক্ষা-দীক্ষার অভাব ও গ্রামীণ পরিবেশে দরিদ্র পরিবারে বড় হওয়ার কারণে উগ্রপন্থীরা সহজেই তাঁকে তাদের দলে ভেড়ায়। কাসাবের সাবেক একজন আইনজীবী বলেছেন, হামলা চালানোর ব্যাপারে আগেই তাঁকে এ ব্যাপারে প্রভাবিত করা হয়েথাকতে পারে।
ফরিদকোটের একজন কৃষক বলেছেন, কাসাব মাঝে মধ্যে গ্রামে এসে কাশ্মীরের স্বাধীনতা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতেন।
মামলার প্রথম দিকে কাসাবকে আদালতে ওঠানোর পর তাঁকে যথেষ্ট স্বাভাবিক মনে হতো। মাঝে মধ্যে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি হাসি ঠাট্টাও করতেন। তবে শেষের দিকে তাঁর চেহারায় বিষাদের বলিরেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মামলা চলাকালে তিনি বেশ কয়েকবার তাঁর খাবারে বিষ মেশানো হয় বলে অভিযোগ করেন। তবে কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ অস্বীকার করে।
গত বছরের এপ্রিলে কাসাব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও জুলাই মাসে তিনি নাটকীয়ভাবে নিজের দোষ স্বীকার করেন। সে সময় তিনি জবানবন্দীতে বলেন, লস্কর-ই-তাইয়েবার মিশন নিয়েই তিনিসহ মোট ১০ জঙ্গি মুম্বাইয়ে হামলা চালান। তবে গত ডিসেম্বরে আবার তিনি হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। ওই সময় তিনি বলেন, সিনেমা দেখার জন্য তিনি পাকিস্তান থেকে মুম্বাই আসেন। সেখান থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাঁকে এ মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়
ভারতীয় কর্মকর্তাদের হাতে কাসাবের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে যেসব তথ্য এসেছে, তাকে সম্পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত বলা যাবে না। এসব তথ্য ছাড়া ছাড়া। তবে যত দূর জানা যায়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ফরিদকোটে কাসাবের জন্ম। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মাদ আমির ঈমান। তিনি গ্রামে একটি খাবার-দাবারের দোকান চালান। স্থানীয় ভোটার তালিকা অনুযায়ী তাঁর মায়ের নাম নূর।
২০০০ সালে কাসাব স্কুল ছাড়েন। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় জীবিকার তাগিদে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি লাহোরে শ্রমিকের কাজ করেন।
পুলিশের কাছে তাঁর দেওয়া তথ্য মতে, সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্যই তিনি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবায় যোগ দেন। অবশ্য এমন গুঞ্জনও রয়েছে, তাঁর বাবা নাকি স্রেফ অর্থের জন্য তাঁকে জঙ্গি দলে ভিড়িয়েছিলেন।
মামলার কৌঁসুলিরা তাঁকে চতুর ও ধূর্ত প্রকৃতির জঙ্গি হিসেবে উল্লখ করেছেন।
অন্যদিকে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শিক্ষা-দীক্ষার অভাব ও গ্রামীণ পরিবেশে দরিদ্র পরিবারে বড় হওয়ার কারণে উগ্রপন্থীরা সহজেই তাঁকে তাদের দলে ভেড়ায়। কাসাবের সাবেক একজন আইনজীবী বলেছেন, হামলা চালানোর ব্যাপারে আগেই তাঁকে এ ব্যাপারে প্রভাবিত করা হয়েথাকতে পারে।
ফরিদকোটের একজন কৃষক বলেছেন, কাসাব মাঝে মধ্যে গ্রামে এসে কাশ্মীরের স্বাধীনতা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতেন।
মামলার প্রথম দিকে কাসাবকে আদালতে ওঠানোর পর তাঁকে যথেষ্ট স্বাভাবিক মনে হতো। মাঝে মধ্যে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি হাসি ঠাট্টাও করতেন। তবে শেষের দিকে তাঁর চেহারায় বিষাদের বলিরেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মামলা চলাকালে তিনি বেশ কয়েকবার তাঁর খাবারে বিষ মেশানো হয় বলে অভিযোগ করেন। তবে কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ অস্বীকার করে।
গত বছরের এপ্রিলে কাসাব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও জুলাই মাসে তিনি নাটকীয়ভাবে নিজের দোষ স্বীকার করেন। সে সময় তিনি জবানবন্দীতে বলেন, লস্কর-ই-তাইয়েবার মিশন নিয়েই তিনিসহ মোট ১০ জঙ্গি মুম্বাইয়ে হামলা চালান। তবে গত ডিসেম্বরে আবার তিনি হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। ওই সময় তিনি বলেন, সিনেমা দেখার জন্য তিনি পাকিস্তান থেকে মুম্বাই আসেন। সেখান থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাঁকে এ মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়
No comments