তালেবানের দায় স্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের নাকচ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গাড়িবোমা হামলার চেষ্টার ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়া ঘটনাস্থল থেকে পলায়নপর এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই বোমা হামলার চেষ্টার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবান। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ দাবি নাকচ করেছে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে শাস্তির অঙ্গীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্য সফরের সময় তিনি জানান, দোষীদের খুঁজে বের করতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করছে মার্কিন নিরাপত্তাবাহিনী এবং নিউইয়র্কের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বারাক ওবামা বলেন, ‘মার্কিন জনগণকে রক্ষা করতে এবং হামলার চেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করানোর জন্য যা করা প্রয়োজন, এর সবকিছুই আমরা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পরিস্থিতির ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছি। দেশে ও দেশের বাইরে মার্কিন জনগণকে রক্ষায় সবকিছু করা হবে।’
এদিকে ওই বোমা হামলা চেষ্টার দায়িত্ব স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবান। একটি ইসলামি ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে তেহরিক-ই-তালেবান গত রোববার জানিয়েছে, ইরাকে নিহত আল-কায়েদার শীর্ষ দুই নেতা আল মুজাতির ও আল বাগদাদিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই ওই বোমা হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল। গত মাসে ইরাকি বাহিনীর এক অভিযানে তাঁরা নিহত হন।
এ ছাড়া ইন্টারনেটে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় পাকিস্তানি তালেবান নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদ মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শহরগুলোয় আমাদের যোদ্ধারা শিগগিরই হামলা চালাবে।’ গত এপ্রিল মাসের গোড়ার দিকে এই ভিডিও রেকর্ড করা হয়।
গত জানুয়ারি মাসে মার্কিন বাহিনীর বোমা হামলায় মেহসুদ নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহে পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, মেহসুদ সম্ভবত ওই হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।
তবে মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তামন্ত্রী জেনেট নেপোলিটানোসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা এ ঘটনাকে ‘সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করলেও কোনো জঙ্গি সংগঠন বা কোনো চক্রকে এখন পর্যন্ত সরাসরি দায়ী করেননি।
নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ বলেন, তালেবান বা অন্য কোনো বড় সন্ত্রাসী সংগঠন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত—এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এর আগে শহরের পুলিশ-প্রধান রেমন্ড কেলি তেহরিক-ই-তালেবানের দাবি নাকচ করে বলেন, ‘আমি আশাবাদী, এ ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, আমরা তাদের খুঁজে বের করতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিউইয়র্ক এমন একটি জায়গা, যেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ আসে। তারা নিরাপদ বোধ করে বলেই এখানে আসে এবং ভবিষ্যতেও আসতে থাকবে।’
ঘটনা তদন্তে পুলিশ ও গোয়েন্দারা পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কাছে অনেক তথ্যপ্রমাণও পৌঁছেছে। টাইমস স্কয়ারের বিভিন্ন অংশে স্থাপিত ৮২টি গোপন ক্যামেরার ভিডিও তারা পেয়েছে। এগুলো এখন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
পুলিশ-প্রধান কেলি জানান, এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক আচরণ এবং হাঁটতে হাঁটতে ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার সময় নিজের পোশাক পরিবর্তন করছেন—এমন একটি দৃশ্য ধরা পড়েছে একটি গোপন ক্যামেরায়। লোকটি শ্বেতাঙ্গ, বয়স ৪০ বছরের মতো হবে।
কেলি আরও জানান, এ ছাড়া একজন পর্যটক পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনিও সম্ভবত ওই লোকটির ছবি তুলতে পেরেছেন। কেননা ঘটনার সময় তিনি ওই এলাকায় ভিডিও করছিলেন।
গত শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের কাছে ৪৫ স্ট্রিটে রাখা একটি গাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে পুলিশকে খবর দেন এক হকার। পুলিশ গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গ্যাসোলিন গান পাউডার, পেট্রল, প্রপেন ট্যাংক, বৈদ্যুতিক কেব্ল এবং বিস্ফোরণের কাজে ব্যবহারের জন্য একটি ঘড়ি উদ্ধার করে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে শাস্তির অঙ্গীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্য সফরের সময় তিনি জানান, দোষীদের খুঁজে বের করতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করছে মার্কিন নিরাপত্তাবাহিনী এবং নিউইয়র্কের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বারাক ওবামা বলেন, ‘মার্কিন জনগণকে রক্ষা করতে এবং হামলার চেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করানোর জন্য যা করা প্রয়োজন, এর সবকিছুই আমরা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পরিস্থিতির ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছি। দেশে ও দেশের বাইরে মার্কিন জনগণকে রক্ষায় সবকিছু করা হবে।’
এদিকে ওই বোমা হামলা চেষ্টার দায়িত্ব স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবান। একটি ইসলামি ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে তেহরিক-ই-তালেবান গত রোববার জানিয়েছে, ইরাকে নিহত আল-কায়েদার শীর্ষ দুই নেতা আল মুজাতির ও আল বাগদাদিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই ওই বোমা হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল। গত মাসে ইরাকি বাহিনীর এক অভিযানে তাঁরা নিহত হন।
এ ছাড়া ইন্টারনেটে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় পাকিস্তানি তালেবান নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদ মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শহরগুলোয় আমাদের যোদ্ধারা শিগগিরই হামলা চালাবে।’ গত এপ্রিল মাসের গোড়ার দিকে এই ভিডিও রেকর্ড করা হয়।
গত জানুয়ারি মাসে মার্কিন বাহিনীর বোমা হামলায় মেহসুদ নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহে পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, মেহসুদ সম্ভবত ওই হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।
তবে মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তামন্ত্রী জেনেট নেপোলিটানোসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা এ ঘটনাকে ‘সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করলেও কোনো জঙ্গি সংগঠন বা কোনো চক্রকে এখন পর্যন্ত সরাসরি দায়ী করেননি।
নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ বলেন, তালেবান বা অন্য কোনো বড় সন্ত্রাসী সংগঠন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত—এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এর আগে শহরের পুলিশ-প্রধান রেমন্ড কেলি তেহরিক-ই-তালেবানের দাবি নাকচ করে বলেন, ‘আমি আশাবাদী, এ ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, আমরা তাদের খুঁজে বের করতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিউইয়র্ক এমন একটি জায়গা, যেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ আসে। তারা নিরাপদ বোধ করে বলেই এখানে আসে এবং ভবিষ্যতেও আসতে থাকবে।’
ঘটনা তদন্তে পুলিশ ও গোয়েন্দারা পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কাছে অনেক তথ্যপ্রমাণও পৌঁছেছে। টাইমস স্কয়ারের বিভিন্ন অংশে স্থাপিত ৮২টি গোপন ক্যামেরার ভিডিও তারা পেয়েছে। এগুলো এখন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
পুলিশ-প্রধান কেলি জানান, এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক আচরণ এবং হাঁটতে হাঁটতে ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার সময় নিজের পোশাক পরিবর্তন করছেন—এমন একটি দৃশ্য ধরা পড়েছে একটি গোপন ক্যামেরায়। লোকটি শ্বেতাঙ্গ, বয়স ৪০ বছরের মতো হবে।
কেলি আরও জানান, এ ছাড়া একজন পর্যটক পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনিও সম্ভবত ওই লোকটির ছবি তুলতে পেরেছেন। কেননা ঘটনার সময় তিনি ওই এলাকায় ভিডিও করছিলেন।
গত শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের কাছে ৪৫ স্ট্রিটে রাখা একটি গাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে পুলিশকে খবর দেন এক হকার। পুলিশ গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গ্যাসোলিন গান পাউডার, পেট্রল, প্রপেন ট্যাংক, বৈদ্যুতিক কেব্ল এবং বিস্ফোরণের কাজে ব্যবহারের জন্য একটি ঘড়ি উদ্ধার করে।
No comments