৫০ লাখ মানুষকে তেহরান ছাড়ার আহ্বান জানালেন আহমাদিনেজাদ
ইরানে সম্ভাব্য মার্কিন পারমাণবিক হামলার চেয়েও ভূমিকম্পের আশঙ্কা এখন অনেক বেশি। এ জন্য কমপক্ষে ৫০ লাখ মানুষকে রাজধানী তেহরান ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।
সান ফ্রান্সিসকোর অধিবাসীদের মতো তেহরানের বাসিন্দারাও জানে, তাদের ক্রমবর্ধমান মহানগর বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু ইরানে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভবনের মানের অগ্রগতি হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেহরানে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে কয়েক লাখ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘তেহরানে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষের বাস। যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা কীভাবে তা সামলাব? সুতরাং তেহরান থেকে মানুষ সরিয়ে নিতে হবে।’ যারা রাজধানী ছেড়ে যাবে, তাদের জন্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
তেহরানের সাবেক মেয়র আহমাদিনেজাদ বলেন, কমপক্ষে ৫০ লাখ মানুষের তেহরান ছাড়া উচিত।
১৮৩১ সালে যখন সর্বশেষ বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানে, তখন তেহরান ছিল খুবই ছোট একটি শহর।
ভূকম্পনবিদেরা বলছেন, কোনো এলাকায় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানার দেড় শ বছরের মধ্যে সাধারণত ওই এলাকায় আবারও বড় ধরনের আঘাত হানার আশঙ্কা থাকে।
১০ বছর আগে ইরানে ভূমিকম্প-সম্পর্কিত একটি গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফরিদ মেহদিয়ান। তিনি বলেন, যদি তেহরানে এ ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে তা হবে মানবতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। তাঁর পরিচালিত গবেষণায় বলা হয়, পরবর্তী বড় ধরনের ভূমিকম্পে পাঁচ লাখ লোক মারা যেতে পারে।
তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বাহরাম আকাশেহ বলেন, ইরানের চারটি রাজধানী থাকা উচিত। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি, শিল্পবিষয়ক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি। তাঁর ধারণা, রিখটার স্কেলে ছয় মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে তেহরান, যা এ নগরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার জন্য যথেষ্ট।
ভূমিকম্প আঘাত হানার আশঙ্কা ব্যক্ত করতে গিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে আকাশেহ বলেন, ‘হয়তো ৫০ বছরের মধ্যে; হয়তো আগামী রাতে; কিংবা হয়তো এখনই, যখন আমি আপনার সঙ্গে কথা বলছি।’
সান ফ্রান্সিসকোর অধিবাসীদের মতো তেহরানের বাসিন্দারাও জানে, তাদের ক্রমবর্ধমান মহানগর বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু ইরানে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভবনের মানের অগ্রগতি হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেহরানে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে কয়েক লাখ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘তেহরানে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষের বাস। যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা কীভাবে তা সামলাব? সুতরাং তেহরান থেকে মানুষ সরিয়ে নিতে হবে।’ যারা রাজধানী ছেড়ে যাবে, তাদের জন্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
তেহরানের সাবেক মেয়র আহমাদিনেজাদ বলেন, কমপক্ষে ৫০ লাখ মানুষের তেহরান ছাড়া উচিত।
১৮৩১ সালে যখন সর্বশেষ বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানে, তখন তেহরান ছিল খুবই ছোট একটি শহর।
ভূকম্পনবিদেরা বলছেন, কোনো এলাকায় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানার দেড় শ বছরের মধ্যে সাধারণত ওই এলাকায় আবারও বড় ধরনের আঘাত হানার আশঙ্কা থাকে।
১০ বছর আগে ইরানে ভূমিকম্প-সম্পর্কিত একটি গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফরিদ মেহদিয়ান। তিনি বলেন, যদি তেহরানে এ ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে তা হবে মানবতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। তাঁর পরিচালিত গবেষণায় বলা হয়, পরবর্তী বড় ধরনের ভূমিকম্পে পাঁচ লাখ লোক মারা যেতে পারে।
তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বাহরাম আকাশেহ বলেন, ইরানের চারটি রাজধানী থাকা উচিত। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি, শিল্পবিষয়ক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি। তাঁর ধারণা, রিখটার স্কেলে ছয় মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে তেহরান, যা এ নগরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার জন্য যথেষ্ট।
ভূমিকম্প আঘাত হানার আশঙ্কা ব্যক্ত করতে গিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে আকাশেহ বলেন, ‘হয়তো ৫০ বছরের মধ্যে; হয়তো আগামী রাতে; কিংবা হয়তো এখনই, যখন আমি আপনার সঙ্গে কথা বলছি।’
No comments