ব্যাংক সংস্কারনীতির বিরোধীদের কঠোর সমালোচনায় ওবামা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর প্রস্তাবিত ব্যাংক সংস্কারনীতির বিরোধিতাকারীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে ওয়াল স্ট্রিটখ্যাত নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জভুক্ত যেসব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান তার সংস্কারনীতির বিরোধিতা করেছে, তাদের তিনি ‘ডাকাত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ ‘ডাকাতি’ আর চলতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেছেন, ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সংস্কারনীতির বাস্তবায়ন না হলে যুক্তরাষ্ট্রকে আবার অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে কুপার ইউনিয়ন কলেজে ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদদের মাঝে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওবামা প্রশাসনের প্রস্তাবিত একটি খসড়া বিল গত ডিসেম্বরে নিম্নকক্ষ বা প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়েছে। আগামী সপ্তাহে যুক্তিতর্কের জন্য বিলটি উচ্চকক্ষ বা সিনেটে পেশ করা হবে। সিনেটে ওবামা প্রশাসনের সদস্যসংখ্যা ৫৯ ও বিরোধী রিপাবলিকান দলের সদস্যসংখ্যা ৪১। সিনেটে বিলটির অনুমোদন পেতে অন্তত ৬০ সদস্যের ভোট দরকার হবে। অর্থাৎ ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক দলের সব ভোট পাওয়ার পরও এ বিল পাস করতে আরও অন্তত একটি ভোট দরকার হবে। রিপাবলিকান সদস্যরা দৃশ্যত বিলটির বিরোধিতা করলেও ওবামা প্রশাসন মনে করছে, তারা শেষ মুহূর্তে এর বিরোধিতা করবে না।
ওই সংস্কার বিলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নিরবচ্ছিন্ন তারল্য বজায় রাখতে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের একটি নিরাপত্তা তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যাতে গ্রাহকদের অংশীদারিতে না রেখে নিজেরাই নিয়ন্ত্রণহীনভাবে আবাসনসহ বিভিন্ন ব্যবসায় অর্থ লগ্নি করতে না পারে সে জন্য একটি নীতিমালা দাঁড় করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যাতে আগের মতো সুদমুক্ত ঋণ গ্রহণের সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারেও প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে রিপাবলিকানরা এ সংস্কারনীতির সমালোচনা করে বলেছেন, ওবামা প্রস্তাবিত নিরাপত্তা তহবিল গঠনের জন্য সরকার করদাতাদের ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করবে। এতে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়বে।
তবে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, অর্থনৈতিক রক্ষাকবচ নিশ্চিত করা না হলে যুক্তরাষ্ট্র আবার বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। যারা সংস্কারনীতির বিরোধিতা করছেন, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে নিজেদের স্বার্থের কথা ভাবছেন। ওবামা বলেন, জনগণের স্বার্থেই ব্যাংকিং নীতির সংস্কার হওয়া দরকার।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওবামা প্রশাসনের প্রস্তাবিত একটি খসড়া বিল গত ডিসেম্বরে নিম্নকক্ষ বা প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়েছে। আগামী সপ্তাহে যুক্তিতর্কের জন্য বিলটি উচ্চকক্ষ বা সিনেটে পেশ করা হবে। সিনেটে ওবামা প্রশাসনের সদস্যসংখ্যা ৫৯ ও বিরোধী রিপাবলিকান দলের সদস্যসংখ্যা ৪১। সিনেটে বিলটির অনুমোদন পেতে অন্তত ৬০ সদস্যের ভোট দরকার হবে। অর্থাৎ ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক দলের সব ভোট পাওয়ার পরও এ বিল পাস করতে আরও অন্তত একটি ভোট দরকার হবে। রিপাবলিকান সদস্যরা দৃশ্যত বিলটির বিরোধিতা করলেও ওবামা প্রশাসন মনে করছে, তারা শেষ মুহূর্তে এর বিরোধিতা করবে না।
ওই সংস্কার বিলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নিরবচ্ছিন্ন তারল্য বজায় রাখতে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের একটি নিরাপত্তা তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যাতে গ্রাহকদের অংশীদারিতে না রেখে নিজেরাই নিয়ন্ত্রণহীনভাবে আবাসনসহ বিভিন্ন ব্যবসায় অর্থ লগ্নি করতে না পারে সে জন্য একটি নীতিমালা দাঁড় করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যাতে আগের মতো সুদমুক্ত ঋণ গ্রহণের সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারেও প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে রিপাবলিকানরা এ সংস্কারনীতির সমালোচনা করে বলেছেন, ওবামা প্রস্তাবিত নিরাপত্তা তহবিল গঠনের জন্য সরকার করদাতাদের ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করবে। এতে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়বে।
তবে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, অর্থনৈতিক রক্ষাকবচ নিশ্চিত করা না হলে যুক্তরাষ্ট্র আবার বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। যারা সংস্কারনীতির বিরোধিতা করছেন, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে নিজেদের স্বার্থের কথা ভাবছেন। ওবামা বলেন, জনগণের স্বার্থেই ব্যাংকিং নীতির সংস্কার হওয়া দরকার।
No comments