রাজনৈতিক সংকটে বেলজিয়াম
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী ইয়েভেস লেতেরমে রাজা দ্বিতীয় অ্যালবার্টের কাছে গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে দেশটি। বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ একটি দল জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী লেতেরমে।
যদিও প্রধানমন্ত্রী লেতেরমের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে কি না—এ সম্পর্কে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেননি রাজা। রাজা দ্বিতীয় অ্যালবার্ট বলেছেন, রাজনৈতিক সংকট ইউরোপে বেলজিয়ামের ভূমিকাকে মারাত্মক হুমকির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী লেতেরমের পাঁচদলীয় জোট সরকারের শরিক ওপেন ভিএলডি দল সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। নির্বাচনী আইন নিয়ে ডাচ্ভাষী ও ফরাসিভাষীদের দীর্ঘদিনের বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় ওপেন ভিএলডি দল। হারম্যান ভ্যান রোম্পাইয়ের কাছ থেকে ক্ষমতা নেওয়ার মাত্র পাঁচ মাস পরই পদত্যাগ করলেন লেতেরমে। এদিকে, রাজপ্রাসাদ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রের বিষয়ে রাজা তাঁর সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন।
সংকটের মূলে: ব্রাসেলস-হাল্লে-ভিলভোরডে (বিএইচভি) এলাকায় ফরাসিভাষী ও ফ্লেমিশভাষীদের মধ্যকার বিরোধকেই বেলজিয়ামের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। ফরাসিভাষীদের অভিযোগ, এলাকায় কোন ভাষায় কথা বলা যাবে—এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেবল স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু ফ্লেমিশভাষীরা কোনোভাবেই ফরাসি ভাষা গ্রহণ করতে চাইছে না।
ব্রাসেলস ও এর আশপাশের ১৯টি জেলা নিয়ে বিএইচভি অঞ্চল গঠিত। এলাকায় দুই ভাষার মানুষের বসবাস। বিএইচভি অঞ্চলের আশপাশের বাসিন্দারা প্রধানত ফ্লেমিশভাষী। তারা ফরাসি ভাষার বিস্তার রোধ করতে চায়।
ফ্লেমিশভাষীদের বিরুদ্ধে ফরাসিভাষীদের অভিযোগ বিস্তর। একজন মেয়র নির্বাচনে জয়লাভ করেও দায়িত্ব নিতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। ওভারিজসে সিটি কাউন্সিলর জ্যাইন ডি ব্রোয়ের বলেন, তিনি ৭৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ভাষাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে ফ্লেমিশ সরকার তাঁর বিজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
ফরাসিভাষীরা বৈষম্যেরও অভিযোগ তুলেছে। তাদের অভিযোগ, ফ্লেমিশরা তাদের বিশেষ ভোটাধিকার তুলে দিতে চাইছে। ওভারিজসের একজন বার মালিকের অভিযোগ, যিনি এ এলাকায় কাজ করেন, তিনি ফরাসি ভাষায় কথা বলতে পারেন না। তিনি ফরাসি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে পারবেন।
যদিও প্রধানমন্ত্রী লেতেরমের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে কি না—এ সম্পর্কে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেননি রাজা। রাজা দ্বিতীয় অ্যালবার্ট বলেছেন, রাজনৈতিক সংকট ইউরোপে বেলজিয়ামের ভূমিকাকে মারাত্মক হুমকির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী লেতেরমের পাঁচদলীয় জোট সরকারের শরিক ওপেন ভিএলডি দল সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। নির্বাচনী আইন নিয়ে ডাচ্ভাষী ও ফরাসিভাষীদের দীর্ঘদিনের বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় ওপেন ভিএলডি দল। হারম্যান ভ্যান রোম্পাইয়ের কাছ থেকে ক্ষমতা নেওয়ার মাত্র পাঁচ মাস পরই পদত্যাগ করলেন লেতেরমে। এদিকে, রাজপ্রাসাদ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রের বিষয়ে রাজা তাঁর সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন।
সংকটের মূলে: ব্রাসেলস-হাল্লে-ভিলভোরডে (বিএইচভি) এলাকায় ফরাসিভাষী ও ফ্লেমিশভাষীদের মধ্যকার বিরোধকেই বেলজিয়ামের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। ফরাসিভাষীদের অভিযোগ, এলাকায় কোন ভাষায় কথা বলা যাবে—এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেবল স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু ফ্লেমিশভাষীরা কোনোভাবেই ফরাসি ভাষা গ্রহণ করতে চাইছে না।
ব্রাসেলস ও এর আশপাশের ১৯টি জেলা নিয়ে বিএইচভি অঞ্চল গঠিত। এলাকায় দুই ভাষার মানুষের বসবাস। বিএইচভি অঞ্চলের আশপাশের বাসিন্দারা প্রধানত ফ্লেমিশভাষী। তারা ফরাসি ভাষার বিস্তার রোধ করতে চায়।
ফ্লেমিশভাষীদের বিরুদ্ধে ফরাসিভাষীদের অভিযোগ বিস্তর। একজন মেয়র নির্বাচনে জয়লাভ করেও দায়িত্ব নিতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। ওভারিজসে সিটি কাউন্সিলর জ্যাইন ডি ব্রোয়ের বলেন, তিনি ৭৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ভাষাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে ফ্লেমিশ সরকার তাঁর বিজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
ফরাসিভাষীরা বৈষম্যেরও অভিযোগ তুলেছে। তাদের অভিযোগ, ফ্লেমিশরা তাদের বিশেষ ভোটাধিকার তুলে দিতে চাইছে। ওভারিজসের একজন বার মালিকের অভিযোগ, যিনি এ এলাকায় কাজ করেন, তিনি ফরাসি ভাষায় কথা বলতে পারেন না। তিনি ফরাসি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে পারবেন।
No comments