ইউরোপ থেকে পরমাণু অস্ত্র না সরানোর ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের
ইউরোপ থেকে আগেভাগে পরমাণু অস্ত্র প্রত্যাহার না করার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তারা জানিয়েছে, রাশিয়া যদি তাদের অস্ত্র ন্যাটো দেশগুলো থেকে দূরে সরিয়ে নেয়, তাহলে ওয়াশিংটনও তখন বিষয়টি বিবেচনা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান উঠে এসেছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের এক বক্তব্য থেকে। ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি এই বক্তব্য দেবেন। বক্তব্যের খসড়া প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল কিন্তু বর্তমানে স্বাধীন ২৮ সদস্যের পশ্চিমা নিরাপত্তা জোটের ন্যাটো দেশগুলোকে খুশি করতেই হিলারি এ বক্তব্য দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহত করতে তথাকথিত কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র প্রতিরক্ষাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এই এ দেশগুলো। তবে হিলারির এ বক্তব্যে দেশগুলো হতাশও হতে পারে। কেননা এতে করে তাঁদের স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার কথা মনে পড়ে যেতে পারে।
হিলরি বলেছেন, ‘পরমাণু অস্ত্র যত দিন থাকছে, ন্যাটো তত দিন একটি পরমাণু জোট হিসেবেই থাকবে। আর পরমাণু জোট হিসেবে পরমাণু ঝুঁকি ও দায়িত্ব ভাগাভাগি করা একটি মৌলিক বিষয়।’
ঝুঁকি ও দায়িত্ব ভাগাভাগির অর্থ হলো ইউরোপের পাঁচটি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের মোতায়েন করা পরমাণু অস্ত্রগুলো এখনো থাকবে।
নিজেদের দূরপাল্লার কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ৩০ শতাংশ কমাতে ওয়াশিংটন এবং মস্কো চলতি মাসে চুক্তি করার পর থেকে এখন সবার দৃষ্টি ন্যাটো ও রাশিয়ায় মোতায়েন কৌশলগত পরমাণু বোমাগুলোর দিকে।
জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট তাদের ভূখণ্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র সরিয়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গত নভেম্বরে। এ ছাড়া ইউরোপে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে বিতর্কের আয়োজন করেছিল জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গ।
রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের বোমা সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত তারাও তাদের অস্ত্র ধ্বংস করবে না।
অন্যদিকে রাশিয়া ছাড় না দিলেও যুক্তরাষ্ট্রও যে তাদের অস্ত্র কমাবে না সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন হিলারি।
হিলারি বলেন, ‘ভবিষ্যতে অস্ত্র কমানোর বিষয়ে আসলে আমরা চাইব, ইউরোপে অ-কৌশলগত পরমাণু অস্ত্রের বিষয়ে রাশিয়াকে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, ন্যাটো দেশগুলো থেকে ওই সব অস্ত্র দূরে সরিয়ে নিতে হবে এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী আলোচনায় অ-কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র নিয়ে আলোচনা হতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান উঠে এসেছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের এক বক্তব্য থেকে। ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি এই বক্তব্য দেবেন। বক্তব্যের খসড়া প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল কিন্তু বর্তমানে স্বাধীন ২৮ সদস্যের পশ্চিমা নিরাপত্তা জোটের ন্যাটো দেশগুলোকে খুশি করতেই হিলারি এ বক্তব্য দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহত করতে তথাকথিত কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র প্রতিরক্ষাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এই এ দেশগুলো। তবে হিলারির এ বক্তব্যে দেশগুলো হতাশও হতে পারে। কেননা এতে করে তাঁদের স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার কথা মনে পড়ে যেতে পারে।
হিলরি বলেছেন, ‘পরমাণু অস্ত্র যত দিন থাকছে, ন্যাটো তত দিন একটি পরমাণু জোট হিসেবেই থাকবে। আর পরমাণু জোট হিসেবে পরমাণু ঝুঁকি ও দায়িত্ব ভাগাভাগি করা একটি মৌলিক বিষয়।’
ঝুঁকি ও দায়িত্ব ভাগাভাগির অর্থ হলো ইউরোপের পাঁচটি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের মোতায়েন করা পরমাণু অস্ত্রগুলো এখনো থাকবে।
নিজেদের দূরপাল্লার কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ৩০ শতাংশ কমাতে ওয়াশিংটন এবং মস্কো চলতি মাসে চুক্তি করার পর থেকে এখন সবার দৃষ্টি ন্যাটো ও রাশিয়ায় মোতায়েন কৌশলগত পরমাণু বোমাগুলোর দিকে।
জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট তাদের ভূখণ্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র সরিয়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গত নভেম্বরে। এ ছাড়া ইউরোপে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে বিতর্কের আয়োজন করেছিল জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গ।
রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের বোমা সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত তারাও তাদের অস্ত্র ধ্বংস করবে না।
অন্যদিকে রাশিয়া ছাড় না দিলেও যুক্তরাষ্ট্রও যে তাদের অস্ত্র কমাবে না সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন হিলারি।
হিলারি বলেন, ‘ভবিষ্যতে অস্ত্র কমানোর বিষয়ে আসলে আমরা চাইব, ইউরোপে অ-কৌশলগত পরমাণু অস্ত্রের বিষয়ে রাশিয়াকে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, ন্যাটো দেশগুলো থেকে ওই সব অস্ত্র দূরে সরিয়ে নিতে হবে এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী আলোচনায় অ-কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র নিয়ে আলোচনা হতে হবে।
No comments