মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানোর ভাবনা -কর্মক্ষেত্রকে নারীর জন্য অনুকূল করা প্রয়োজন
মাতৃত্বকালীন ছুটি চার মাস থেকে বাড়িয়ে ছয় মাস করার প্রক্রিয়া চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। অন্তত ছয় মাস শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ বিবেচনা করে নেওয়া হচ্ছে এ সিদ্ধান্ত। চাকরি-রীতিতে এই পরিবর্তন বাস্তব রূপ পেলে নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র সৃষ্টিতে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হবে। এর ফলে নিয়োগকারীর সঙ্গে পেশাগত সম্পর্ক বজায় রেখেই কর্মজীবী নারী তাঁর শিশুর কাছাকাছি আরও বেশি সময় দিতে পারবেন। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পেশার সঙ্গে পারিবারিক জীবনের এমন যোগসূত্র স্থাপিত হলে নাগরিকদের সামাজিক জীবন অনেক শান্তিময় হবে।
মাতৃত্বকালীন ছুটির ফলে কর্মক্ষেত্রে নারীর অনেক দিনের অনুপস্থিতি তৈরি হয়। এই ছুটিকে নারীর অধিকার হিসেবে বিবেচনা না করলে কর্মক্ষেত্রে নারী পিছিয়ে পড়বেন। ছুটি শেষে নারী যেন কোনো ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার না হন, সে জন্য সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
আমাদের দেশে এখনো এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে মাতৃত্বকালীন ছুটি মিললেও মেলে না ছুটিকালীন মজুরি। এ কারণে সন্তান প্রসবের পর নারীর পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। কিছু প্রতিষ্ঠানে কর্মী নারী গর্ভবতী হলে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়। তা ছাড়া প্রান্তিক নারীদের জন্য পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। সুতরাং মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক পরিসরকে সামগ্রিকভাবে নারীর জন্য ইতিবাচক করার কাজ সব সময় বজায় রাখতে হবে।
নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র, নারীর নিরাপত্তা, সমকাজে সমমজুরি, সমসুযোগ, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা এবং সন্তানের জন্য দিবাযত্নকেন্দ্রের দাবি দীর্ঘদিন থেকে উচ্চারিত হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে বিশেষভাবে জোর দেওয়ার পাশাপাশি কাজে যোগদান করার পরও নারীকর্মী যেন তাঁর সন্তানের কাছাকাছি থাকতে পারেন, সে জন্য কর্মক্ষেত্রে শিশু পরিচর্যাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এসব ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে সরকারকেই, আর বেসরকারি পর্যায়ে এসব মান মেনে চলার জন্য চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
মাতৃত্বকালীন ছুটির ফলে কর্মক্ষেত্রে নারীর অনেক দিনের অনুপস্থিতি তৈরি হয়। এই ছুটিকে নারীর অধিকার হিসেবে বিবেচনা না করলে কর্মক্ষেত্রে নারী পিছিয়ে পড়বেন। ছুটি শেষে নারী যেন কোনো ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার না হন, সে জন্য সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
আমাদের দেশে এখনো এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে মাতৃত্বকালীন ছুটি মিললেও মেলে না ছুটিকালীন মজুরি। এ কারণে সন্তান প্রসবের পর নারীর পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। কিছু প্রতিষ্ঠানে কর্মী নারী গর্ভবতী হলে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়। তা ছাড়া প্রান্তিক নারীদের জন্য পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। সুতরাং মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক পরিসরকে সামগ্রিকভাবে নারীর জন্য ইতিবাচক করার কাজ সব সময় বজায় রাখতে হবে।
নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র, নারীর নিরাপত্তা, সমকাজে সমমজুরি, সমসুযোগ, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা এবং সন্তানের জন্য দিবাযত্নকেন্দ্রের দাবি দীর্ঘদিন থেকে উচ্চারিত হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে বিশেষভাবে জোর দেওয়ার পাশাপাশি কাজে যোগদান করার পরও নারীকর্মী যেন তাঁর সন্তানের কাছাকাছি থাকতে পারেন, সে জন্য কর্মক্ষেত্রে শিশু পরিচর্যাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এসব ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে সরকারকেই, আর বেসরকারি পর্যায়ে এসব মান মেনে চলার জন্য চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
No comments