ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্কর্ষকেন্দ্র -গবেষণার সুযোগ-সুবিধাগুলো কাজে লাগানো উচিত
২০০৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ নামে একটি গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলোর শিক্ষক-গবেষকেরা সেখানে গবেষণা করবেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চায় উত্কর্ষ ঘটবে—এমনই ছিল পরিকল্পনা। পুরো একটি ভবন উৎসর্গ করা হয়েছে এই গবেষণাকেন্দ্রকে, যার প্রতিটি তলার আকার ১০ হাজার বর্গফুট। ১১টি ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধাসংবলিত গবেষণাগার এখানে আছে। একটি তলাজুড়ে রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া এবং বিদেশি গবেষকদের আবাসিক সুবিধাসংবলিত অতিথি কক্ষ। আরও আছে চার হাজার বর্গফুটের একটি সম্মেলন কক্ষ।
কিন্তু এত সুযোগ-সুবিধা, এমন আয়োজনের ফল-ফসল কী? গত ছয় বছরে গবেষণাকর্ম সম্পন্ন হয়েছে মাত্র সাতটি। বিদেশি গবেষকদের জন্য পরীক্ষাগার, থাকা-খাওয়ার সব রকম সুবিধা থাকা সত্ত্বেও একজন বিদেশি গবেষকও উল্লিখিত সময়ে কোনো গবেষণা করেননি। বিদেশি অতিথিরা আসেন, সেখানে থাকেন, এখানকার শিক্ষক-গবেষকদের সঙ্গে আলাপ-পরামর্শ করেন, কিন্তু তাঁদের কেউ এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণা করেননি।
সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যটি চমৎকার। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-গবেষকদের জন্য এমন কেন্দ্র অত্যন্ত জরুরি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমনটি আছে এবং সেসব কেন্দ্রে নিয়মিত অনেক গবেষণা হয়। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির অগ্রগতি ঘটছে এভাবেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একসময় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে সুখ্যাতি অর্জন করেছিল। এটি দেশের সর্ববৃহত্ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়—এ দেশের জ্ঞান-বিজ্ঞানের জগতে অন্যতম পথপ্রদর্শক হতে পারে এই বিদ্যাপীঠ। সেটা সম্ভব নতুন নতুন গবেষণা ও সৃষ্টিকর্ম সাধনের মধ্য দিয়ে। সে কাজে প্রথমত এগিয়ে আসার কথা শিক্ষকদের; তাঁরাই পথ দেখাবেন। তাঁদেরই তত্ত্বাবধানে তৈরি হবে নতুন নতুন গবেষক, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, গবেষণার ব্যাপারে আগ্রহ-উদ্দীপনার বড়ই অভাব। তারই একটি প্রমাণ দীর্ঘ ছয় বছরে মাত্র সাতটি গবেষণাকর্ম।
শুধু বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নয়, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যা বিষয়েও গবেষণার চিত্র হতাশাব্যঞ্জক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকেরা যদি রাজনৈতিক দলাদলির পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা-উদ্যোগে লিপ্ত থাকতেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিবেশ হতো প্রকৃতই বিদ্যাপীঠের মতো। সেই সুযোগ অবশ্যই রয়েছে; অবকাঠামোরও তেমন অভাব নেই। প্রয়োজন এসবের সদ্ব্যবহার করা।
কিন্তু এত সুযোগ-সুবিধা, এমন আয়োজনের ফল-ফসল কী? গত ছয় বছরে গবেষণাকর্ম সম্পন্ন হয়েছে মাত্র সাতটি। বিদেশি গবেষকদের জন্য পরীক্ষাগার, থাকা-খাওয়ার সব রকম সুবিধা থাকা সত্ত্বেও একজন বিদেশি গবেষকও উল্লিখিত সময়ে কোনো গবেষণা করেননি। বিদেশি অতিথিরা আসেন, সেখানে থাকেন, এখানকার শিক্ষক-গবেষকদের সঙ্গে আলাপ-পরামর্শ করেন, কিন্তু তাঁদের কেউ এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণা করেননি।
সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যটি চমৎকার। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-গবেষকদের জন্য এমন কেন্দ্র অত্যন্ত জরুরি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমনটি আছে এবং সেসব কেন্দ্রে নিয়মিত অনেক গবেষণা হয়। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির অগ্রগতি ঘটছে এভাবেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একসময় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে সুখ্যাতি অর্জন করেছিল। এটি দেশের সর্ববৃহত্ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়—এ দেশের জ্ঞান-বিজ্ঞানের জগতে অন্যতম পথপ্রদর্শক হতে পারে এই বিদ্যাপীঠ। সেটা সম্ভব নতুন নতুন গবেষণা ও সৃষ্টিকর্ম সাধনের মধ্য দিয়ে। সে কাজে প্রথমত এগিয়ে আসার কথা শিক্ষকদের; তাঁরাই পথ দেখাবেন। তাঁদেরই তত্ত্বাবধানে তৈরি হবে নতুন নতুন গবেষক, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, গবেষণার ব্যাপারে আগ্রহ-উদ্দীপনার বড়ই অভাব। তারই একটি প্রমাণ দীর্ঘ ছয় বছরে মাত্র সাতটি গবেষণাকর্ম।
শুধু বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নয়, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যা বিষয়েও গবেষণার চিত্র হতাশাব্যঞ্জক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকেরা যদি রাজনৈতিক দলাদলির পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা-উদ্যোগে লিপ্ত থাকতেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিবেশ হতো প্রকৃতই বিদ্যাপীঠের মতো। সেই সুযোগ অবশ্যই রয়েছে; অবকাঠামোরও তেমন অভাব নেই। প্রয়োজন এসবের সদ্ব্যবহার করা।
No comments