জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নেতারা বাধ্যবাধকতাযুক্ত চুক্তি চান
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে একটি বাধ্যবাধকতাযুক্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের নেতারা। গতকাল শুক্রবার জোটের ১৬তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে এ আহ্বান জানান তাঁরা। পাশাপাশি এই নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বের ধনী দেশগুলোর কাছে আর্থিক সহায়তা দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আয়োজিত ওই সম্মেলনে এক যৌথ বিবৃতিতে আসিয়ানের নেতারা বলেন, গত ডিসেম্বরে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলনে গৃহীত কোনো বাধ্যবাধকতাহীন ঘোষণাকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে এবং একটি নতুন চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জাতিসংঘ সনদকাঠামোর (ইউএনএফসিসিসি) অধীনে থাকা সব পক্ষের উচিত একটি আইনি বাধ্যবাধকতাযুক্ত চুক্তিতে পৌঁছানো। বিশেষ করে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার জন্য এটা করা দরকার। কোপেনহেগেন সম্মেলনেও এ ধরনের আহ্বান জানানো হয়েছিল।
তবে সমালোচকেরা আসিয়ান নেতাদের এই বিবৃতিকে দুর্বল ও নমনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁরা বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে ওই লক্ষ্যমাত্রা কীভাবে অর্জিত হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি এবং স্বেচ্ছাপ্রণোদিতভাবে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলছেন নেতারা। অথচ এ অঞ্চলে এখন খরা চলছে। তাই নেতাদের কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আশা করা হয়েছিল।
সম্মেলনে আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর নেতারা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে যথাযথ কৌশল গ্রহণের ব্যাপারেও একমত হন। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থেকে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে সহযোগিতামূলক নীতি বজায় রাখার কথা বললেও আর্থিক প্রণোদনা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছান নেতারা।
গত বৃহস্পতিবার জোটের ১০টি সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রীরা জানান, তাঁদের আশা এই অঞ্চলে চলতি বছর ৪ দশমিক ৯ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। গত বছর এই প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ছিল দেড় শতাংশ।
তবে এবারের আসিয়ান সম্মেলনের আলোচনায় একটি বড় জায়গাজুড়ে ছিল মিয়ানমার প্রসঙ্গ। পাশাপাশি থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও সম্মেলনে প্রভাব ফেলেছে। দেশের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সম্মেলন শুরুর আগ মুহূর্তে থাই প্রধানমন্ত্রী অভিজিত্ ভেজ্জাজিভা এতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে মিয়ানমারের নির্বাচনী আইন স্থান না পেলেও সদস্য দেশগুলোর নেতারা এ ব্যাপারে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানান। মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আসিয়ান কখনোই কোনো উচ্চবাচ্য করেনি। এবারও করছে না। তবে অন্যান্য সদস্য দেশের নেতারা সম্মেলনে যোগ দিতে আসা মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী থেইন সেইনকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁর দেশ জোটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
আসিয়ান জোটে রয়েছে প্রকৃত রাজতন্ত্রশাসিত ব্রুনাই, সামরিক জান্তাশাসিত মিয়ানমার, একদলীয় কমিউনিস্ট শাসনাধীন লাওস ও ভিয়েতনাম এবং পুরোপুরি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শাসিত ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন। পাশাপাশি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মতো দেশও এই জোটের সদস্য। তাই কোনো একটি বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছা জোটের পক্ষে খুব সহজসাধ্য নয়।
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আয়োজিত ওই সম্মেলনে এক যৌথ বিবৃতিতে আসিয়ানের নেতারা বলেন, গত ডিসেম্বরে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলনে গৃহীত কোনো বাধ্যবাধকতাহীন ঘোষণাকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে এবং একটি নতুন চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জাতিসংঘ সনদকাঠামোর (ইউএনএফসিসিসি) অধীনে থাকা সব পক্ষের উচিত একটি আইনি বাধ্যবাধকতাযুক্ত চুক্তিতে পৌঁছানো। বিশেষ করে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার জন্য এটা করা দরকার। কোপেনহেগেন সম্মেলনেও এ ধরনের আহ্বান জানানো হয়েছিল।
তবে সমালোচকেরা আসিয়ান নেতাদের এই বিবৃতিকে দুর্বল ও নমনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁরা বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে ওই লক্ষ্যমাত্রা কীভাবে অর্জিত হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি এবং স্বেচ্ছাপ্রণোদিতভাবে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলছেন নেতারা। অথচ এ অঞ্চলে এখন খরা চলছে। তাই নেতাদের কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আশা করা হয়েছিল।
সম্মেলনে আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর নেতারা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে যথাযথ কৌশল গ্রহণের ব্যাপারেও একমত হন। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থেকে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে সহযোগিতামূলক নীতি বজায় রাখার কথা বললেও আর্থিক প্রণোদনা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছান নেতারা।
গত বৃহস্পতিবার জোটের ১০টি সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রীরা জানান, তাঁদের আশা এই অঞ্চলে চলতি বছর ৪ দশমিক ৯ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। গত বছর এই প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ছিল দেড় শতাংশ।
তবে এবারের আসিয়ান সম্মেলনের আলোচনায় একটি বড় জায়গাজুড়ে ছিল মিয়ানমার প্রসঙ্গ। পাশাপাশি থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও সম্মেলনে প্রভাব ফেলেছে। দেশের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সম্মেলন শুরুর আগ মুহূর্তে থাই প্রধানমন্ত্রী অভিজিত্ ভেজ্জাজিভা এতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে মিয়ানমারের নির্বাচনী আইন স্থান না পেলেও সদস্য দেশগুলোর নেতারা এ ব্যাপারে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানান। মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আসিয়ান কখনোই কোনো উচ্চবাচ্য করেনি। এবারও করছে না। তবে অন্যান্য সদস্য দেশের নেতারা সম্মেলনে যোগ দিতে আসা মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী থেইন সেইনকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁর দেশ জোটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
আসিয়ান জোটে রয়েছে প্রকৃত রাজতন্ত্রশাসিত ব্রুনাই, সামরিক জান্তাশাসিত মিয়ানমার, একদলীয় কমিউনিস্ট শাসনাধীন লাওস ও ভিয়েতনাম এবং পুরোপুরি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শাসিত ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন। পাশাপাশি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মতো দেশও এই জোটের সদস্য। তাই কোনো একটি বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছা জোটের পক্ষে খুব সহজসাধ্য নয়।
No comments