হাডিনের সেঞ্চুরিতে একপেশে ম্যাচ
হ্যামিল্টনের সেডন পার্ক এত দিন অস্ট্রেলিয়ার কাছে ছিল দুর্বোধ্য এক মাঠের নাম। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই মাঠে এর আগে টেস্ট-ওয়ানডে কোনোটিতেই জেতা হয়নি তাদের। সেই মাঠে কাল হেসেখেলে ৬ উইকেটের জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটাকে ‘সিরিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ’ বলেছিলেন ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। এই ম্যাচে হারলে সিরিজ জিততে শেষ দুটো ম্যাচ জিততেই হবে—এই সমীকরণের কারণে। সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটাই হয়ে গেল এখন পর্যন্ত সফরের সবচেয়ে একপেশে ম্যাচ।
বুঝতেই পারছেন, ভেট্টোরির কোনো চাওয়াই এই ম্যাচে পূরণ হয়নি। অন্যদিকে রিকি পন্টিংয়ের চাওয়ার পুরোটাই পূরণ করে দিয়েছে তাঁর সতীর্থরা। ভালো শুরুটাকে পুঁজি করে ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে পারেনি বলে প্রথম দুই ম্যাচ শেষে আক্ষেপ করেছিলেন পন্টিং। ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস খেলে অধিনায়কের আফসোস মেটালেন ব্র্যাড হাডিন।
এক বছর এক মাস পর ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেলেন, একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। সেঞ্চুরির পথে পন্টিংয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে তাঁর ১৫১ রানের জুটি। ২৪৬ রানের মামুলি লক্ষ্যের পেছনে ছোটা অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটা শেষ করে দিয়েছে আসলে ওখানেই।
টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন পন্টিং। ২১১ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ১১০ বার টস জিতেছেন, কিন্তু প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাত্র ২৪ বার। এই ২৪ বারের ২০ বারই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
২০তম জয় এল কাল। ৫৫ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলার ধাক্কা রস টেলর আর নিল ব্রুম মিলে সামলে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। ৭১ রানের জুটির পর ২০ রানের ব্যবধানে দুজনের বিদায় আবারও ঝামেলায় ফেলে দেয় নিউজিল্যান্ডকে। ষষ্ঠ উইকেটে স্টাইরিস-হপকিন্সের ৬৭ রানের জুটি আবারও কক্ষপথে ফেরায় স্বাগতিকদের। ৪০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ২০১/৫। কিন্তু আগের দুই ম্যাচের মতো শেষ ১০ ওভারে এবার আর ঝড় তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড, উল্টো পরের সাত ওভারে ৪৪ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৪৫ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা ভেট্টোরি কাল রানের খাতা খোলার আগেই রানআউট।
নিউজিল্যান্ডও প্রথম উইকেটটা তুলে নিয়েছিল রানআউট করেই। ২৫ রানে শেন ওয়াটসনকে হারানোর পর পন্টিং-হাডিনের ওই জুটি। ১২১ বলে ৭টি চার আর ৫ ছক্কায় ১১০ রান করে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে হাডিন যখন ফেরেন, জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল মাত্র ১৬ রান। নির্বিঘ্নে সেই কাজটা সেরে ফেলেন ভোজেস আর হোয়াইট। ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৪৬.২ ওভারে ২৪৫ (ম্যাককালাম ২৩, ইনগ্রাম ৫, গাপটিল ২১, টেলর ৬২, ব্রুম ২৪, স্টাইরিস ৪১, হপকিন্স ৪৫, ভেট্টোরি ০, বন্ড ১১, সাউদি ১, ম্যাসন ২*; হ্যারিস ৩/৪৮, বলিঞ্জার ১/৩৯, জনসন ৩/৪১, হরিজ ০/৪০, হোপস ০/৪৯, ওয়াটসন ২/২৬)। অস্ট্রেলিয়া: ৪৭.২ ওভারে ২৪৮/৪ (ওয়াটসন ১৫, হাডিন ১১০, পন্টিং ৬৯, হাসি ৯, হোয়াইট ২৫*, ভোজেস ১৩*; বন্ড ০/৪৩, সাউদি ১/৪৩, ম্যাসন ১/৬৮, ভেট্টোরি ১/৩৬, স্টাইরিস ০/৪৩, গাপটিল ০/১৩)। ফল: অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী।
বুঝতেই পারছেন, ভেট্টোরির কোনো চাওয়াই এই ম্যাচে পূরণ হয়নি। অন্যদিকে রিকি পন্টিংয়ের চাওয়ার পুরোটাই পূরণ করে দিয়েছে তাঁর সতীর্থরা। ভালো শুরুটাকে পুঁজি করে ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে পারেনি বলে প্রথম দুই ম্যাচ শেষে আক্ষেপ করেছিলেন পন্টিং। ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস খেলে অধিনায়কের আফসোস মেটালেন ব্র্যাড হাডিন।
এক বছর এক মাস পর ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেলেন, একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। সেঞ্চুরির পথে পন্টিংয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে তাঁর ১৫১ রানের জুটি। ২৪৬ রানের মামুলি লক্ষ্যের পেছনে ছোটা অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটা শেষ করে দিয়েছে আসলে ওখানেই।
টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন পন্টিং। ২১১ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ১১০ বার টস জিতেছেন, কিন্তু প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাত্র ২৪ বার। এই ২৪ বারের ২০ বারই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
২০তম জয় এল কাল। ৫৫ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলার ধাক্কা রস টেলর আর নিল ব্রুম মিলে সামলে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। ৭১ রানের জুটির পর ২০ রানের ব্যবধানে দুজনের বিদায় আবারও ঝামেলায় ফেলে দেয় নিউজিল্যান্ডকে। ষষ্ঠ উইকেটে স্টাইরিস-হপকিন্সের ৬৭ রানের জুটি আবারও কক্ষপথে ফেরায় স্বাগতিকদের। ৪০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ২০১/৫। কিন্তু আগের দুই ম্যাচের মতো শেষ ১০ ওভারে এবার আর ঝড় তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড, উল্টো পরের সাত ওভারে ৪৪ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৪৫ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা ভেট্টোরি কাল রানের খাতা খোলার আগেই রানআউট।
নিউজিল্যান্ডও প্রথম উইকেটটা তুলে নিয়েছিল রানআউট করেই। ২৫ রানে শেন ওয়াটসনকে হারানোর পর পন্টিং-হাডিনের ওই জুটি। ১২১ বলে ৭টি চার আর ৫ ছক্কায় ১১০ রান করে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে হাডিন যখন ফেরেন, জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল মাত্র ১৬ রান। নির্বিঘ্নে সেই কাজটা সেরে ফেলেন ভোজেস আর হোয়াইট। ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৪৬.২ ওভারে ২৪৫ (ম্যাককালাম ২৩, ইনগ্রাম ৫, গাপটিল ২১, টেলর ৬২, ব্রুম ২৪, স্টাইরিস ৪১, হপকিন্স ৪৫, ভেট্টোরি ০, বন্ড ১১, সাউদি ১, ম্যাসন ২*; হ্যারিস ৩/৪৮, বলিঞ্জার ১/৩৯, জনসন ৩/৪১, হরিজ ০/৪০, হোপস ০/৪৯, ওয়াটসন ২/২৬)। অস্ট্রেলিয়া: ৪৭.২ ওভারে ২৪৮/৪ (ওয়াটসন ১৫, হাডিন ১১০, পন্টিং ৬৯, হাসি ৯, হোয়াইট ২৫*, ভোজেস ১৩*; বন্ড ০/৪৩, সাউদি ১/৪৩, ম্যাসন ১/৬৮, ভেট্টোরি ১/৩৬, স্টাইরিস ০/৪৩, গাপটিল ০/১৩)। ফল: অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী।
No comments