সু চিসহ সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে মুক্তি দিতে দেশটির সামরিক জান্তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জান্তাপ্রধান জেনারেল থান শোয়ের কাছে লেখা এক চিঠিতে সু চি ছাড়াও সব রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সু চিসহ সব রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেওয়া উচিত, যাতে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থেই তাঁদের মুক্তি দেওয়া প্রয়োজন। ১০ দিন আগে দেশটির জান্তাপ্রধান জেনারেল থান শোয়ে বরাবর ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান বান কি মুন।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘আমি বারবার বলছি, সু চিসহ অন্য রাজনৈতিক বন্দীরা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে তা কোনোভাবে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বেশ কিছু প্রশাসনিক সিদ্ধান্তও নেওয়া প্রয়োজন।’ থান শোয়ের কাছে পাঠানো চিঠিতে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে ‘তেমন উন্নতি হচ্ছে না’ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী সু চি দেশটির বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতা। ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দল এনএলডি জয়লাভ করলেও ক্ষমতা পায়নি। দুই দশকের মধ্যে বেশির ভাগ সময় সু চি বন্দী গৃহবন্দী আছেন।
নির্বাচনী আইন প্রকাশ শুরু করল মিয়ানমারের জান্তা
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করলেও মিয়ানমারের জান্তা এ ব্যাপারে পাস হওয়া আইন প্রকাশ শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করা ওই আইনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন জান্তা একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। জান্তার মনোনীত ব্যক্তিরাই ওই কমিশনের সদস্য হতে পারবেন। ওই ব্যক্তিরা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবেন না। গতকাল রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এ কথা বলা হয়।
দুই দশক পর দেশে অনুষ্ঠেয় ওই নির্বাচন নিয়ে বিশ্লেষকেরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, পুরোপুরি জান্তার নিয়ন্ত্রণমুক্ত না হোক, দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, এটা কম অর্জন নয়। তবে অনেকে বলছেন, জান্তা যতই বলুক নির্বাচনে সবার জন্য সমান ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে, আসলে কিন্তু তা নয়। জান্তার সমর্থক ও তার কাছের লোকদের নির্বাচিত করতেই ওই নির্বাচনের আয়োজন করা হচ্ছে।
সোমবার নির্বাচনী ওই আইন পাস করা হয়। পরদিন গতকাল মঙ্গলবার ওই আইনের বিষয়ে কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়। জান্তার তরফ থেকে বলা হয়, সামনের দিনগুলোতে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনী আইনগুলো বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে।
জান্তাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল থান শয়ের স্বাক্ষর করা ‘দ্য ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন ল’ শীর্ষক ওই আইনের অধীনে জান্তা একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। একজন চেয়ারম্যানসহ কমপক্ষে পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে ওই কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচনের ব্যাপারে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। ওই সদস্যরা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবেন না। কমিশনের সদস্যদের দেশের শ্রদ্ধেয় ও বিশিষ্ট ব্যক্তি হতে হবে। জান্তাই তাঁদের মনোনীত করবে।
জান্তার প্রকাশ করা অন্য চারটি আইন হলো, প্রতিনিধি পরিষদ (হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস), জাতীয়তা পরিষদ (হাউস অব ন্যাশনালিটিজ), সংসদ (হাউস অব পার্লামেন্ট) এবং রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন।
৪৪০ আসনের প্রতিনিধি পরিষদের ৩৩০ জন হবেন নির্বাচিত বেসামরিক সদস্য, বাকিরা হবেন সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধি। ২২৪ আসনের জাতীয়তা পরিষদের ১৬৮ জন হবেন নির্বাচিত এবং বাকিরা হবেন সেনাপ্রধান মনোনীত।
২০০৮ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় নার্গিস আঘাত হানার কয়েক দিন পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়। ওই ঘোষণায় বলা হয়, ২০১০ সালের কোনো একসময় ওই নির্বাচন হবে। সংবিধানে ওই সময় এমন একটি অনুচ্ছেদ জুড়ে দিয়ে বলা হয়, কোনো প্রার্থী বিদেশি নাগরিকদের বিয়ে করলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
অনেকের মতে, নোবেলজয়ী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই জান্তা ওই শর্ত জুড়ে দিয়েছে। কারণ গৃহবন্দী ওই নেত্রীর স্বামী মাইকেল অ্যারিস একজন ব্রিটিশ নাগরিক। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মাইকেল ১৯৯৯ সালে মারা যান। সু চি এখনো ওই সংবিধান মেনে নেননি।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সু চিসহ সব রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেওয়া উচিত, যাতে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থেই তাঁদের মুক্তি দেওয়া প্রয়োজন। ১০ দিন আগে দেশটির জান্তাপ্রধান জেনারেল থান শোয়ে বরাবর ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান বান কি মুন।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘আমি বারবার বলছি, সু চিসহ অন্য রাজনৈতিক বন্দীরা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে তা কোনোভাবে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বেশ কিছু প্রশাসনিক সিদ্ধান্তও নেওয়া প্রয়োজন।’ থান শোয়ের কাছে পাঠানো চিঠিতে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে ‘তেমন উন্নতি হচ্ছে না’ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী সু চি দেশটির বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতা। ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দল এনএলডি জয়লাভ করলেও ক্ষমতা পায়নি। দুই দশকের মধ্যে বেশির ভাগ সময় সু চি বন্দী গৃহবন্দী আছেন।
নির্বাচনী আইন প্রকাশ শুরু করল মিয়ানমারের জান্তা
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করলেও মিয়ানমারের জান্তা এ ব্যাপারে পাস হওয়া আইন প্রকাশ শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করা ওই আইনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন জান্তা একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। জান্তার মনোনীত ব্যক্তিরাই ওই কমিশনের সদস্য হতে পারবেন। ওই ব্যক্তিরা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবেন না। গতকাল রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এ কথা বলা হয়।
দুই দশক পর দেশে অনুষ্ঠেয় ওই নির্বাচন নিয়ে বিশ্লেষকেরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, পুরোপুরি জান্তার নিয়ন্ত্রণমুক্ত না হোক, দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, এটা কম অর্জন নয়। তবে অনেকে বলছেন, জান্তা যতই বলুক নির্বাচনে সবার জন্য সমান ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে, আসলে কিন্তু তা নয়। জান্তার সমর্থক ও তার কাছের লোকদের নির্বাচিত করতেই ওই নির্বাচনের আয়োজন করা হচ্ছে।
সোমবার নির্বাচনী ওই আইন পাস করা হয়। পরদিন গতকাল মঙ্গলবার ওই আইনের বিষয়ে কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়। জান্তার তরফ থেকে বলা হয়, সামনের দিনগুলোতে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনী আইনগুলো বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে।
জান্তাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল থান শয়ের স্বাক্ষর করা ‘দ্য ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন ল’ শীর্ষক ওই আইনের অধীনে জান্তা একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। একজন চেয়ারম্যানসহ কমপক্ষে পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে ওই কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচনের ব্যাপারে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। ওই সদস্যরা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবেন না। কমিশনের সদস্যদের দেশের শ্রদ্ধেয় ও বিশিষ্ট ব্যক্তি হতে হবে। জান্তাই তাঁদের মনোনীত করবে।
জান্তার প্রকাশ করা অন্য চারটি আইন হলো, প্রতিনিধি পরিষদ (হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস), জাতীয়তা পরিষদ (হাউস অব ন্যাশনালিটিজ), সংসদ (হাউস অব পার্লামেন্ট) এবং রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন।
৪৪০ আসনের প্রতিনিধি পরিষদের ৩৩০ জন হবেন নির্বাচিত বেসামরিক সদস্য, বাকিরা হবেন সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধি। ২২৪ আসনের জাতীয়তা পরিষদের ১৬৮ জন হবেন নির্বাচিত এবং বাকিরা হবেন সেনাপ্রধান মনোনীত।
২০০৮ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় নার্গিস আঘাত হানার কয়েক দিন পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়। ওই ঘোষণায় বলা হয়, ২০১০ সালের কোনো একসময় ওই নির্বাচন হবে। সংবিধানে ওই সময় এমন একটি অনুচ্ছেদ জুড়ে দিয়ে বলা হয়, কোনো প্রার্থী বিদেশি নাগরিকদের বিয়ে করলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
অনেকের মতে, নোবেলজয়ী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই জান্তা ওই শর্ত জুড়ে দিয়েছে। কারণ গৃহবন্দী ওই নেত্রীর স্বামী মাইকেল অ্যারিস একজন ব্রিটিশ নাগরিক। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মাইকেল ১৯৯৯ সালে মারা যান। সু চি এখনো ওই সংবিধান মেনে নেননি।
No comments