লাহোরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ছয় সেনাসহ নিহত ৪৫
পাকিস্তানের লাহোরে গতকাল শুক্রবার একসঙ্গে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ছয় সেনা সদস্যসহ ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯৫ জন। সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, লাহোরের ঘনবসতিপূর্ণ আরএ বাজার এলাকায় জুমার নামাজের সময় এ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুজন আত্মঘাতী হামলাকারী হেঁটে সেনাসদস্যদের বহনকারী গাড়ির কাছে এসে নিজেদের শরীরের সঙ্গে বেঁধে রাখা বিস্ফোরকের বস্ফািরণ ঘটায়।
পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পুলিশ-প্রধান তারিক সেলিম দোগার জানান, ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে।
মোহাম্মদ নাদিম নামের এক যুবক জানান, প্রথম বিস্ফোরণটি যখন হয় তখন তিনি মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন। বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পরই তিনি দৌড়ে বের হয়ে যান। নাদিম বলেন, ‘আমি দেখলাম, মানুষ চিত্কার-চেঁচামেচি করছে এবং দিগ্বিদিক ছুটছে। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সেনাবাহিনীর একটি গাড়ির কাছে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। দেখলাম, ভয়াবহ বিপদ! কিছু চিন্তা না করেই দৌড়াতে শুরু করলাম।’
নাদিম আরও বলেন, ‘আশপাশের দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ পুরো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চেয়ার-টেবিল ও অন্যান্য জিনিস ভেঙেচুরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।’
বেসরকারি টিভি চ্যানেল জিয়ো টিভির ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার পর লোকজন আতঙ্কে চিত্কার করছে ও ছুটছে।
বিস্ফোরণের পরপরই সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। আশপাশের বাড়িঘরের ছাদে সেনা মোতায়েন করা হয়। সেনা-হেলিকপ্টার চক্কর দিতে থাকে আকাশে।
পুলিশ-প্রধান সেলিম দোগার জানান, এ ঘটনায় ৪৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৯৫ জন। তিনি বলেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। এর মাধ্যমে হামলাকারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।’ পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিক সাংবাদিকদের জানান, আত্মঘাতী দুই হামলাকারীর মাথা পাওয়া গেছে।
ভারতীয় সীমান্তবর্তী লাহোর শহরে গত এক সপ্তাহে পাঁচটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত সোমবার গোয়েন্দা পুলিশের একটি ভবনে গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয় ১৩ জন। এ ছাড়া উত্তর-পশ্চিমাংশে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সাহায্য সংস্থার কার্যালয়ে বোমা হামলা ও গুলিতে ছয়জন নিহত হয়। লাহোর ছাড়াও পেশোয়ার ও রাজধানী ইসলামাবাদে প্রায়ই বোমা হামলার ঘটনা ঘটছে। আর এসব বোমা হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তালেবান ও আল-কায়েদা জঙ্গির। গত তিন বছরে দেশটিতে এ ধরনের বোমা হামলায় তিন হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
গতকালের হামলার ঘটনায় তাত্ক্ষণিকভাবে কেউ দায়দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে সোমবারের হামলার দায় স্বীকার করেছে তালেবান।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, লাহোরের ঘনবসতিপূর্ণ আরএ বাজার এলাকায় জুমার নামাজের সময় এ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুজন আত্মঘাতী হামলাকারী হেঁটে সেনাসদস্যদের বহনকারী গাড়ির কাছে এসে নিজেদের শরীরের সঙ্গে বেঁধে রাখা বিস্ফোরকের বস্ফািরণ ঘটায়।
পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পুলিশ-প্রধান তারিক সেলিম দোগার জানান, ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে।
মোহাম্মদ নাদিম নামের এক যুবক জানান, প্রথম বিস্ফোরণটি যখন হয় তখন তিনি মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন। বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পরই তিনি দৌড়ে বের হয়ে যান। নাদিম বলেন, ‘আমি দেখলাম, মানুষ চিত্কার-চেঁচামেচি করছে এবং দিগ্বিদিক ছুটছে। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সেনাবাহিনীর একটি গাড়ির কাছে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। দেখলাম, ভয়াবহ বিপদ! কিছু চিন্তা না করেই দৌড়াতে শুরু করলাম।’
নাদিম আরও বলেন, ‘আশপাশের দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ পুরো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চেয়ার-টেবিল ও অন্যান্য জিনিস ভেঙেচুরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।’
বেসরকারি টিভি চ্যানেল জিয়ো টিভির ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার পর লোকজন আতঙ্কে চিত্কার করছে ও ছুটছে।
বিস্ফোরণের পরপরই সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। আশপাশের বাড়িঘরের ছাদে সেনা মোতায়েন করা হয়। সেনা-হেলিকপ্টার চক্কর দিতে থাকে আকাশে।
পুলিশ-প্রধান সেলিম দোগার জানান, এ ঘটনায় ৪৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৯৫ জন। তিনি বলেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। এর মাধ্যমে হামলাকারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।’ পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিক সাংবাদিকদের জানান, আত্মঘাতী দুই হামলাকারীর মাথা পাওয়া গেছে।
ভারতীয় সীমান্তবর্তী লাহোর শহরে গত এক সপ্তাহে পাঁচটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত সোমবার গোয়েন্দা পুলিশের একটি ভবনে গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয় ১৩ জন। এ ছাড়া উত্তর-পশ্চিমাংশে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সাহায্য সংস্থার কার্যালয়ে বোমা হামলা ও গুলিতে ছয়জন নিহত হয়। লাহোর ছাড়াও পেশোয়ার ও রাজধানী ইসলামাবাদে প্রায়ই বোমা হামলার ঘটনা ঘটছে। আর এসব বোমা হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তালেবান ও আল-কায়েদা জঙ্গির। গত তিন বছরে দেশটিতে এ ধরনের বোমা হামলায় তিন হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
গতকালের হামলার ঘটনায় তাত্ক্ষণিকভাবে কেউ দায়দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে সোমবারের হামলার দায় স্বীকার করেছে তালেবান।
No comments