ফিফা পর্যন্ত যেতে চায় মোহামেডান
সিলেট স্টেডিয়ামে নিজেদের খেলোয়াড়দের ‘নিগৃহীত’ হওয়ার ঘটনায় বিচার চেয়ে ফিফা-এএফসির দরবারে নালিশ জানাতে চায় মোহামেডান।
কাল বিকেলে ক্লাব চত্বরে কর্মকর্তা মোস্তাকুর রহমান বলছিলেন, ‘প্রয়োজনে ফিফা-এএফসির কাছে যাব আমরা। এ ঘটনাটা আমরা মেনে নিতে পারি না। বাইলজ অনুযায়ী এর বিচার হয়নি, কিন্তু বিচার করতেই হবে।’
পরশু বাংলাদেশ লিগ কমিটির সভায় নিজেদের দাবি অনুযায়ী বিয়ানীবাজারকে বহিষ্কার না করে এক লাখ টাকা জরিমানা করায় মোহামেডান ক্ষুব্ধ। এ নিয়ে কাল বিকেলে মোহামেডান সমর্থক দল বাফুফে ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। মোহামেডান কর্মকর্তারা বলেন, ওই দলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বাইলজের কোন ধারামতে? বাইলজে এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান নেই।
ঘটনাটা যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে একটা জটিলতায় পড়ে যেতে পারে বাংলাদেশ লিগ। মোহামেডানের পরের ম্যাচ ১৫ মার্চ চট্টগ্রামে স্থানীয় মোহামেডানের সঙ্গে। ওই ম্যাচ মোহামেডান খেলবে কি না, সেটা কাল পর্যন্ত নিশ্চিত ছিল না। মোহামেডান শিবির থেকে বলাবলি হচ্ছে, ‘খেলে লাভ কী’! আবাহনীকে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন করার পাঁয়তারার গন্ধ পাচ্ছে তারা।
লিগ কমিটির সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে না পেলে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু বলবে না মোহামেডান। কাল শুক্রবার থাকায় বাফুফের অফিস বন্ধ ছিল। আজ তারা চিঠি পেতে পারে।
এমনিতে হুমকিধমকি দেওয়া বড় দলগুলোর কাছে কোনো ব্যাপার নয়। এটা আকছারই ঘটে। হুমকি দিয়ে শেষ পর্যন্ত খেলতেও রাজি হতে দেখা যায়। ‘খেলার স্বার্থে’ এবারও হয়তো তেমনই হতে পারে আবার নাও হতে পারে।
কিন্তু প্রশ্নটা উঠেছে বাংলাদেশ লিগের ব্যবস্থাপনা নিয়ে। পেশাদার লিগের আয়োজন এই নিয়ে তৃতীয়বার। কিন্তু এখনো খেলার মাঠে চিকিত্সক, অ্যাম্বুলেন্স থাকে না। মাঠ খারাপ, গর্ত। বালু ওড়ে। পেশাদারিত্বের অত্যাবশ্যকীয় উপাদানগুলোই অনুপস্থিত। এসব দেখেও কেউ দেখে না। খোদ বাফুফের অনেকেই বলছেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে এই লিগ হচ্ছে!’
যাঁরা খেলছেন, তাঁদেরই একজন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আলফাজ আহমেদ কী বলেছেন শুনুন, ‘নামেই পেশাদার লিগ। খেলা হচ্ছে যেসব মাঠে, এগুলোতে পেশাদার লিগ হয় না। চট্টগ্রামের মাঠ ফুটবলের উপযোগী নয়। সেখানে ফুটবল-ক্রিকেট হয় একই সঙ্গে। মাঠের মাঝখানে বিশাল ক্রিকেট পিচ। বল ধরা মানে যুদ্ধ করা।’
পেশাদার লিগের আরও অনেক সমস্যা তুলে ধরলেন এ বছর আরামবাগের হয়ে খেলা আলফাজ, ‘নারায়ণগঞ্জের মাঠ এত ছোট যে, ওখানে পেশাদার লিগের খেলা কী করে হয়! এখন তো শুনলাম সিলেটের মাঠও বাজে। রেফারিংয়ের মানও খারাপ। তাঁরা ভয়ে ভয়ে বাঁশি বাজান। যাতে কোনো টিম বলতে না পারে, বাজে রেফারিং হয়েছে। এ ছাড়া ক্লাবে ক্লাবে শোনা যায়, খেলোয়াড়েরা টাকা পাচ্ছেন না। অর্থনৈতিক সংকটের কথা বলে টাকা দিতে পারছে না ক্লাবগুলো। পেশাদার লিগের কোনো উন্নতি দেখছি না, বরং অবনতি হচ্ছে।’
বাংলাদেশ লিগ কমিটি ঠিকমতো সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে না অভিযোগ তুলেছে মোহামেডান। ওই কমিটি ‘জেগে ঘুমায়’ এমন কথাও অনেকের মুখে। কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ অবশ্য দাবি করছেন, ‘লিগ কমিটি প্রতিনিধি হিসেব সব ভেন্যুতে প্রিন্স যেতেন (আবু হাসান চৌধুরী), তিনি সব ওকে করতেন। আমাদের পর্যবেক্ষণ তো ছিলই, তবে এখন একটা সমস্যা দেখা দেওয়ায় এটা বাড়ানো হবে।’
কাল বিকেলে ক্লাব চত্বরে কর্মকর্তা মোস্তাকুর রহমান বলছিলেন, ‘প্রয়োজনে ফিফা-এএফসির কাছে যাব আমরা। এ ঘটনাটা আমরা মেনে নিতে পারি না। বাইলজ অনুযায়ী এর বিচার হয়নি, কিন্তু বিচার করতেই হবে।’
পরশু বাংলাদেশ লিগ কমিটির সভায় নিজেদের দাবি অনুযায়ী বিয়ানীবাজারকে বহিষ্কার না করে এক লাখ টাকা জরিমানা করায় মোহামেডান ক্ষুব্ধ। এ নিয়ে কাল বিকেলে মোহামেডান সমর্থক দল বাফুফে ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। মোহামেডান কর্মকর্তারা বলেন, ওই দলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বাইলজের কোন ধারামতে? বাইলজে এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান নেই।
ঘটনাটা যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে একটা জটিলতায় পড়ে যেতে পারে বাংলাদেশ লিগ। মোহামেডানের পরের ম্যাচ ১৫ মার্চ চট্টগ্রামে স্থানীয় মোহামেডানের সঙ্গে। ওই ম্যাচ মোহামেডান খেলবে কি না, সেটা কাল পর্যন্ত নিশ্চিত ছিল না। মোহামেডান শিবির থেকে বলাবলি হচ্ছে, ‘খেলে লাভ কী’! আবাহনীকে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন করার পাঁয়তারার গন্ধ পাচ্ছে তারা।
লিগ কমিটির সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে না পেলে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু বলবে না মোহামেডান। কাল শুক্রবার থাকায় বাফুফের অফিস বন্ধ ছিল। আজ তারা চিঠি পেতে পারে।
এমনিতে হুমকিধমকি দেওয়া বড় দলগুলোর কাছে কোনো ব্যাপার নয়। এটা আকছারই ঘটে। হুমকি দিয়ে শেষ পর্যন্ত খেলতেও রাজি হতে দেখা যায়। ‘খেলার স্বার্থে’ এবারও হয়তো তেমনই হতে পারে আবার নাও হতে পারে।
কিন্তু প্রশ্নটা উঠেছে বাংলাদেশ লিগের ব্যবস্থাপনা নিয়ে। পেশাদার লিগের আয়োজন এই নিয়ে তৃতীয়বার। কিন্তু এখনো খেলার মাঠে চিকিত্সক, অ্যাম্বুলেন্স থাকে না। মাঠ খারাপ, গর্ত। বালু ওড়ে। পেশাদারিত্বের অত্যাবশ্যকীয় উপাদানগুলোই অনুপস্থিত। এসব দেখেও কেউ দেখে না। খোদ বাফুফের অনেকেই বলছেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে এই লিগ হচ্ছে!’
যাঁরা খেলছেন, তাঁদেরই একজন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আলফাজ আহমেদ কী বলেছেন শুনুন, ‘নামেই পেশাদার লিগ। খেলা হচ্ছে যেসব মাঠে, এগুলোতে পেশাদার লিগ হয় না। চট্টগ্রামের মাঠ ফুটবলের উপযোগী নয়। সেখানে ফুটবল-ক্রিকেট হয় একই সঙ্গে। মাঠের মাঝখানে বিশাল ক্রিকেট পিচ। বল ধরা মানে যুদ্ধ করা।’
পেশাদার লিগের আরও অনেক সমস্যা তুলে ধরলেন এ বছর আরামবাগের হয়ে খেলা আলফাজ, ‘নারায়ণগঞ্জের মাঠ এত ছোট যে, ওখানে পেশাদার লিগের খেলা কী করে হয়! এখন তো শুনলাম সিলেটের মাঠও বাজে। রেফারিংয়ের মানও খারাপ। তাঁরা ভয়ে ভয়ে বাঁশি বাজান। যাতে কোনো টিম বলতে না পারে, বাজে রেফারিং হয়েছে। এ ছাড়া ক্লাবে ক্লাবে শোনা যায়, খেলোয়াড়েরা টাকা পাচ্ছেন না। অর্থনৈতিক সংকটের কথা বলে টাকা দিতে পারছে না ক্লাবগুলো। পেশাদার লিগের কোনো উন্নতি দেখছি না, বরং অবনতি হচ্ছে।’
বাংলাদেশ লিগ কমিটি ঠিকমতো সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে না অভিযোগ তুলেছে মোহামেডান। ওই কমিটি ‘জেগে ঘুমায়’ এমন কথাও অনেকের মুখে। কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ অবশ্য দাবি করছেন, ‘লিগ কমিটি প্রতিনিধি হিসেব সব ভেন্যুতে প্রিন্স যেতেন (আবু হাসান চৌধুরী), তিনি সব ওকে করতেন। আমাদের পর্যবেক্ষণ তো ছিলই, তবে এখন একটা সমস্যা দেখা দেওয়ায় এটা বাড়ানো হবে।’
No comments