যানজট -স্কুলকলেজের ছুটির দিন পরিবর্তন প্রয়োজন by হেলাল উদ্দিন
রাজধানী ঢাকা শহরের যানজট পরিস্থিতি বহু আগেই অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এর ফলে একদিকে যেমন জ্বালানির অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা। এ ছাড়া ক্ষতি হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় আর বিপন্ন মুমূর্ষু রোগীর জীবন। এই যানজটের প্রতিকারে বিশেষজ্ঞরা নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। সরকারও সাধ্যমতো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতির বদলে দিন দিন অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
ঢাকা শহরে যানজটের প্রধান কারণগুলো হলো: ১. অপরিকল্পিত নগরায়ণ ২. ত্রুটিপূর্ণ ট্রাফিক ব্যবস্থা ৩. জনসংখ্যার আধিক্য ৪. যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এর বিপরীতে রাস্তাঘাটের স্বল্পতা ৫. রিকশা ও হকার সমস্যা ৬. ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল-কলেজের বন্ধের সময়সূচি।
যানজট সমস্যার সমাধান করতে হলে উপরিউক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। রাজধানী ঢাকা শহরের কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম—সবদিকেই এর বিস্তার ঘটছে। অথচ পরিকল্পিত উপায়ে তা ঘটছে না। অন্যান্য দেশে যেমন আগে নগরায়ণ পরিকল্পনা নিয়ে সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জনবসতি গড়ে তোলা হয়, আমাদের দেশে কিন্তু তা হচ্ছে না। যা হচ্ছে, তা হলো আগে জনবসতি সৃষ্টি হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত, পরে তার আলোকে নির্মাণ করা হচ্ছে রাস্তাঘাট বা অন্যান্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। এ কারণে সমস্যা সমাধানের বদলে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন সমস্যা। এর প্রতিকার করতে হবে।
যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ ত্রুটিপূর্ণ ট্রাফিক-ব্যবস্থা। দুর্বল ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের মাধ্যমেই মূলত আমাদের ট্রাফিক-ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কিছুসংখ্যক বৈদ্যুতিক ট্রাফিক সিগনাল-বাতি স্থাপন করা হলেও তা কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে অফিস শুরু ও ছুটির সময়ে এ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ছে। সেই সঙ্গে ট্রাফিক আইন না-মানার প্রবণতা এ সমস্যা আরও জটিল করে তুলছে।
প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজধানীর লোকসংখ্যা। জরুরি প্রয়োজন মেটাতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে ছুটে আসতে হচ্ছে ঢাকায়। জনসংখ্যার এই চাপ সামলাতে রাজধানী ঢাকা রীতিমতো ব্যর্থ। অনেক দিন ধরে কথাবার্তা হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ অনেক সরকারি সিদ্ধান্ত রাজধানীর বাইরে থেকে সম্পন্ন করা হবে। সে কারণে লোকজনকে এখানে ছুটে আসতে হবে না। এটা যে একটা বড় ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা হতে পারে, তার প্রমাণ ব্যবসায়ী শ্রেণীর লোকদের এখন রাজধানীতে বিশেষ আসতে হয় না। বিশেষ করে যাঁরা দোকান দিয়ে ব্যবসা করেন, আধুনিক ডিস্ট্রিবিউশন-ব্যবস্থা পণ্যকে তাঁদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। তা ছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, বিশেষ করে মোবাইল ফোন-ব্যবস্থার উন্নতির কারণে রাজধানী ও মফস্বলের ব্যবসায়ীরা তথ্যের আদান-প্রদান করতে পারছেন নিমেষেই। এখন সরকারি খাতের অফিস-আদালতগুলোর মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারলে সমস্যার অনেকখানি সমাধান হবে—এরূপ ধারণা করা যায়।
সবচেয়ে বড় সমস্যা যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এর বিপরীতে রাস্তাঘাটের অপ্রতুলতা। একদিকে যেমন বাড়ছে রিকশার সংখ্যা, অন্যদিকে বাড়ছে ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়ি। সরকার ইতিমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার ফলে অবস্থার অনেক উন্নতি লক্ষ করা গেছে। ব্যবসা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বা বন্ধের এলাকাভিত্তিক সময়সূচি একদিকে যেমন যানজট পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটিয়েছে, অন্যদিকে বিদ্যুতের লোড ম্যানেজমেন্ট-সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
আর্থিক ও অন্যান্য অসুবিধার কারণে এ মুহূর্তে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ফ্লাইওভার, আন্ডারগ্রাউন্ড রেলওয়ে বা মনোরেল-ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে না, এটা ধারণা করা যায়। তাই ব্যবস্থাপনার পরিবর্তনের মাধ্যমেই পরিস্থিতির প্রয়োজনীয় উন্নতি ঘটাতে হবে। রাজধানীর স্কুল-কলেজগুলো বিশেষ বিশেষ জায়গায় কেন্দ্রীভূত। এখন জরুরিভিত্তিতে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত তত্ত্বাবধানে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছুটির দিনে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে টঙ্গী ব্রিজ থেকে উত্তরা, মহাখালী, মগবাজার, মত্স্য ভবন হয়ে হাইকোর্টের সামনে দিয়ে চানখারপুল পর্যন্ত সীমারেখা টেনে এবং পূর্ব দিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ছুটি হবে নির্দিষ্ট দুই দিন (ক্ষেত্রবিশেষ)। আর এর বিপরীতে অর্থাত্ পশ্চিম দিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটির ভিন্ন ভিন্ন দিন নির্ধারণ করতে হবে।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, শাহবাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হয়ে নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে ধানমন্ডি এলাকার স্কুল-কলেজ চলার সময়ে প্রায় ২০ হাজার অতিরিক্ত যান চলাচল করে। তা ছাড়া এর মধ্যে অনেক যানবাহন জায়গার অভাবে রাস্তার ধারে পার্ক করা থাকে। বাস্তব অবস্থার কারণে এর পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু লক্ষণীয় যে এত যানজটপূর্ণ অবস্থার মধ্যেও শুক্র ও শনিবার পরিস্থিতি যথেষ্ট সহনীয় পর্যায়ে থাকে। কারণ ওই দুই দিন প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
মূলত এ ব্যবস্থাটি কার্যকর করার ওপরই এ মুহূর্তে বিশেষ জোর দিতে হবে। এর ফলে একটি লক্ষণীয় পরিবর্তন সাধিত হবে এবং যানজট পরিস্থিতির অনেকখানি উন্নতি সম্ভব হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির দিন নিম্নরূপ হতে পারে: ১. শুক্র-শনিবার: দুই দিন সরকারি ছুটি। এই দুই দিনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যথারীতি খোলা থাকবে। ২. রোব-সোমবার: এ দুই কার্যদিবসে পশ্চিম অঞ্চলের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে (উত্তরা, ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, নিউমার্কেট অঞ্চল)। ৩. মঙ্গল-বুধবার: এই দুই কার্যদিবসে পূর্ব অঞ্চলের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে (গুলশান, মগবাজার, মতিঝিল অঞ্চল)। ৪. বৃহস্পতিবার: এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।
আর্থিক সামর্থ্য যখন সীমাবদ্ধ হয়, তখন ব্যবস্থাপনার উন্নতি ঘটিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হয়।
হেলাল উদ্দিন: সভাপতি, ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি।
ঢাকা শহরে যানজটের প্রধান কারণগুলো হলো: ১. অপরিকল্পিত নগরায়ণ ২. ত্রুটিপূর্ণ ট্রাফিক ব্যবস্থা ৩. জনসংখ্যার আধিক্য ৪. যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এর বিপরীতে রাস্তাঘাটের স্বল্পতা ৫. রিকশা ও হকার সমস্যা ৬. ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল-কলেজের বন্ধের সময়সূচি।
যানজট সমস্যার সমাধান করতে হলে উপরিউক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। রাজধানী ঢাকা শহরের কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম—সবদিকেই এর বিস্তার ঘটছে। অথচ পরিকল্পিত উপায়ে তা ঘটছে না। অন্যান্য দেশে যেমন আগে নগরায়ণ পরিকল্পনা নিয়ে সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জনবসতি গড়ে তোলা হয়, আমাদের দেশে কিন্তু তা হচ্ছে না। যা হচ্ছে, তা হলো আগে জনবসতি সৃষ্টি হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত, পরে তার আলোকে নির্মাণ করা হচ্ছে রাস্তাঘাট বা অন্যান্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। এ কারণে সমস্যা সমাধানের বদলে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন সমস্যা। এর প্রতিকার করতে হবে।
যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ ত্রুটিপূর্ণ ট্রাফিক-ব্যবস্থা। দুর্বল ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের মাধ্যমেই মূলত আমাদের ট্রাফিক-ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কিছুসংখ্যক বৈদ্যুতিক ট্রাফিক সিগনাল-বাতি স্থাপন করা হলেও তা কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে অফিস শুরু ও ছুটির সময়ে এ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ছে। সেই সঙ্গে ট্রাফিক আইন না-মানার প্রবণতা এ সমস্যা আরও জটিল করে তুলছে।
প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজধানীর লোকসংখ্যা। জরুরি প্রয়োজন মেটাতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে ছুটে আসতে হচ্ছে ঢাকায়। জনসংখ্যার এই চাপ সামলাতে রাজধানী ঢাকা রীতিমতো ব্যর্থ। অনেক দিন ধরে কথাবার্তা হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ অনেক সরকারি সিদ্ধান্ত রাজধানীর বাইরে থেকে সম্পন্ন করা হবে। সে কারণে লোকজনকে এখানে ছুটে আসতে হবে না। এটা যে একটা বড় ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা হতে পারে, তার প্রমাণ ব্যবসায়ী শ্রেণীর লোকদের এখন রাজধানীতে বিশেষ আসতে হয় না। বিশেষ করে যাঁরা দোকান দিয়ে ব্যবসা করেন, আধুনিক ডিস্ট্রিবিউশন-ব্যবস্থা পণ্যকে তাঁদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। তা ছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, বিশেষ করে মোবাইল ফোন-ব্যবস্থার উন্নতির কারণে রাজধানী ও মফস্বলের ব্যবসায়ীরা তথ্যের আদান-প্রদান করতে পারছেন নিমেষেই। এখন সরকারি খাতের অফিস-আদালতগুলোর মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারলে সমস্যার অনেকখানি সমাধান হবে—এরূপ ধারণা করা যায়।
সবচেয়ে বড় সমস্যা যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এর বিপরীতে রাস্তাঘাটের অপ্রতুলতা। একদিকে যেমন বাড়ছে রিকশার সংখ্যা, অন্যদিকে বাড়ছে ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়ি। সরকার ইতিমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার ফলে অবস্থার অনেক উন্নতি লক্ষ করা গেছে। ব্যবসা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বা বন্ধের এলাকাভিত্তিক সময়সূচি একদিকে যেমন যানজট পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটিয়েছে, অন্যদিকে বিদ্যুতের লোড ম্যানেজমেন্ট-সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
আর্থিক ও অন্যান্য অসুবিধার কারণে এ মুহূর্তে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ফ্লাইওভার, আন্ডারগ্রাউন্ড রেলওয়ে বা মনোরেল-ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে না, এটা ধারণা করা যায়। তাই ব্যবস্থাপনার পরিবর্তনের মাধ্যমেই পরিস্থিতির প্রয়োজনীয় উন্নতি ঘটাতে হবে। রাজধানীর স্কুল-কলেজগুলো বিশেষ বিশেষ জায়গায় কেন্দ্রীভূত। এখন জরুরিভিত্তিতে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত তত্ত্বাবধানে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছুটির দিনে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে টঙ্গী ব্রিজ থেকে উত্তরা, মহাখালী, মগবাজার, মত্স্য ভবন হয়ে হাইকোর্টের সামনে দিয়ে চানখারপুল পর্যন্ত সীমারেখা টেনে এবং পূর্ব দিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ছুটি হবে নির্দিষ্ট দুই দিন (ক্ষেত্রবিশেষ)। আর এর বিপরীতে অর্থাত্ পশ্চিম দিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটির ভিন্ন ভিন্ন দিন নির্ধারণ করতে হবে।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, শাহবাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হয়ে নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে ধানমন্ডি এলাকার স্কুল-কলেজ চলার সময়ে প্রায় ২০ হাজার অতিরিক্ত যান চলাচল করে। তা ছাড়া এর মধ্যে অনেক যানবাহন জায়গার অভাবে রাস্তার ধারে পার্ক করা থাকে। বাস্তব অবস্থার কারণে এর পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু লক্ষণীয় যে এত যানজটপূর্ণ অবস্থার মধ্যেও শুক্র ও শনিবার পরিস্থিতি যথেষ্ট সহনীয় পর্যায়ে থাকে। কারণ ওই দুই দিন প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
মূলত এ ব্যবস্থাটি কার্যকর করার ওপরই এ মুহূর্তে বিশেষ জোর দিতে হবে। এর ফলে একটি লক্ষণীয় পরিবর্তন সাধিত হবে এবং যানজট পরিস্থিতির অনেকখানি উন্নতি সম্ভব হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির দিন নিম্নরূপ হতে পারে: ১. শুক্র-শনিবার: দুই দিন সরকারি ছুটি। এই দুই দিনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যথারীতি খোলা থাকবে। ২. রোব-সোমবার: এ দুই কার্যদিবসে পশ্চিম অঞ্চলের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে (উত্তরা, ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, নিউমার্কেট অঞ্চল)। ৩. মঙ্গল-বুধবার: এই দুই কার্যদিবসে পূর্ব অঞ্চলের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে (গুলশান, মগবাজার, মতিঝিল অঞ্চল)। ৪. বৃহস্পতিবার: এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।
আর্থিক সামর্থ্য যখন সীমাবদ্ধ হয়, তখন ব্যবস্থাপনার উন্নতি ঘটিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হয়।
হেলাল উদ্দিন: সভাপতি, ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি।
No comments