প্রতিটি কৃষক-পরিবারের জন্য কার্ড -প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষমতায়নের একটি উপায়
সরকার দেশের ৯০ লাখ বোরোচাষিকে সেচকাজে ব্যবহূত ডিজেলের জন্য ভর্তুকি হিসেবে ৩৫০ কোটি টাকা কৃষি-কার্ডের মাধ্যমে বিতরণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা কৃষি ও কৃষকের জন্য এক বিরাট আশীর্বাদ। কারণ, ভর্তুকি আগেও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এর একটা বড় অংশই কৃষকের নামে মধ্যস্বত্বভোগীরা আত্মসাত্ করেছে। গত বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ডিজেলে ২৫০ কোটি টাকার ভর্তুকির মধ্যে ৫০ কোটি টাকা অপচয় হয়েছে এবং বাকি টাকার অধিকাংশই সেচযন্ত্রের মালিকদের পকেটে গেছে। বিআইডিএসের এক সমীক্ষায় উদ্ঘাটিত এ তথ্য থেকে একটি সিদ্ধান্তেই আসা উচিত যে, সরকারের ভর্তুকির টাকা বা অন্যান্য কৃষি-উপকরণ সরাসরি কৃষকের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষি-কার্ডের ব্যবস্থা সেদিক থেকে একটি দূরদর্শী পদক্ষেপ।
দেশে মোট এক কোটি ৮২ লাখ কৃষক-পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ধনী ও বড় কৃষক বাদ দিলে থাকে এক কোটি ৪২ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-পরিবার, যাদের বিভিন্ন সময় সরকারি সহযোগিতার জন্য বিবেচনায় রাখা যেতে পারে। এদের মধ্যেও অপেক্ষাকৃত গরিবদেরই আসন্ন বোরো মৌসুমে ডিজেলে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সবাইকে ঢালাওভাবে সাহায্য না দিয়ে, শুধু যাদের একান্ত প্রয়োজন তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতি গ্রহণের ফলে নিশ্চিত হওয়া চলে যে ভর্তুকির টাকা অপাত্রে যাবে না। সরকারি উদ্যোগের এটি একটি তাত্পর্যপূর্ণ দিক। কারণ, সাধারণভাবে ভর্তুকি অপচয় ও অদক্ষতা বাড়ায়, যদি তা প্রকৃত প্রাপকের হাতে না দেওয়া হয়। সেদিকে নজর রেখেই ভর্তুকির নীতিমালা নির্ধারণ করা বাঞ্ছনীয়। এটাই সামাজিক ন্যায়বিচার।
এ উদ্যোগের সাফল্য নির্ভর করে তালিকা তৈরি, কার্ডে আবাদি জমির পরিমাণ উল্লেখ এবং কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর। এবং এটা সম্ভব, যদি এ কাজগুলো করার জন্য শুধু প্রশাসনের ওপর নির্ভর করা না হয়। এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষি অধিদপ্তরের কর্মীরা ইউনিয়ন পর্যায়ে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সঙ্গে নিয়ে কৃষকের ঘরে ঘরে গিয়ে তালিকা তৈরি করেছেন। সুতরাং সরেজমিনে সম্পন্ন কাজটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ কম। কারণ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন দলের। ফলে প্রক্রিয়াটি দলীয়করণের দোষে দুষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম। কার্ড বিতরণের সময়ও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। মাঠপর্যায়ে গিয়ে কার কত চাষের জমি তা নির্ধারণ ও অন্যান্য তথ্য লিপিবদ্ধ করা হবে। সে সময় এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
কৃষকদের কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি ভর্তুকির টাকা বিতরণের দাবিটি বহু পুরোনো। কিন্তু এর আগে কৃষি অধিদপ্তর বা সরকারের পক্ষ থেকে কখনোই এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে দেখা যায়নি। এবার এটি শুধু বাস্তবায়িতই হচ্ছে না, বরং একটি নতুন মাত্রা অর্জন করছে। ‘কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড’-এর সব তথ্য কম্পিউটারের স্মৃতিভান্ডারে সংরক্ষিত থাকবে এবং বিতরণব্যবস্থার সর্বশেষ পরিস্থিতি সরাসরি কম্পিউটার থেকে জানা যাবে। এতে পুরো ব্যবস্থাটির গ্রহণযোগ্যতা, কার্যকারিতা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়বে।
এ দেশে কৃষক সব সময়ই বঞ্চিত ও অবহেলিত হয়ে এসেছে। এখন কার্ডগুলো প্রতিটি কৃষক-পরিবারের ক্ষমতায়নে সাহায্য করবে। তাদের পদে পদে ঠকানো কঠিন হবে। এটা কৃষিনির্ভর আমাদের এই সমাজের জন্য একটি বড় পাওয়া।
দেশে মোট এক কোটি ৮২ লাখ কৃষক-পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ধনী ও বড় কৃষক বাদ দিলে থাকে এক কোটি ৪২ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-পরিবার, যাদের বিভিন্ন সময় সরকারি সহযোগিতার জন্য বিবেচনায় রাখা যেতে পারে। এদের মধ্যেও অপেক্ষাকৃত গরিবদেরই আসন্ন বোরো মৌসুমে ডিজেলে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সবাইকে ঢালাওভাবে সাহায্য না দিয়ে, শুধু যাদের একান্ত প্রয়োজন তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতি গ্রহণের ফলে নিশ্চিত হওয়া চলে যে ভর্তুকির টাকা অপাত্রে যাবে না। সরকারি উদ্যোগের এটি একটি তাত্পর্যপূর্ণ দিক। কারণ, সাধারণভাবে ভর্তুকি অপচয় ও অদক্ষতা বাড়ায়, যদি তা প্রকৃত প্রাপকের হাতে না দেওয়া হয়। সেদিকে নজর রেখেই ভর্তুকির নীতিমালা নির্ধারণ করা বাঞ্ছনীয়। এটাই সামাজিক ন্যায়বিচার।
এ উদ্যোগের সাফল্য নির্ভর করে তালিকা তৈরি, কার্ডে আবাদি জমির পরিমাণ উল্লেখ এবং কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর। এবং এটা সম্ভব, যদি এ কাজগুলো করার জন্য শুধু প্রশাসনের ওপর নির্ভর করা না হয়। এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষি অধিদপ্তরের কর্মীরা ইউনিয়ন পর্যায়ে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সঙ্গে নিয়ে কৃষকের ঘরে ঘরে গিয়ে তালিকা তৈরি করেছেন। সুতরাং সরেজমিনে সম্পন্ন কাজটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ কম। কারণ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন দলের। ফলে প্রক্রিয়াটি দলীয়করণের দোষে দুষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম। কার্ড বিতরণের সময়ও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। মাঠপর্যায়ে গিয়ে কার কত চাষের জমি তা নির্ধারণ ও অন্যান্য তথ্য লিপিবদ্ধ করা হবে। সে সময় এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
কৃষকদের কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি ভর্তুকির টাকা বিতরণের দাবিটি বহু পুরোনো। কিন্তু এর আগে কৃষি অধিদপ্তর বা সরকারের পক্ষ থেকে কখনোই এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে দেখা যায়নি। এবার এটি শুধু বাস্তবায়িতই হচ্ছে না, বরং একটি নতুন মাত্রা অর্জন করছে। ‘কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড’-এর সব তথ্য কম্পিউটারের স্মৃতিভান্ডারে সংরক্ষিত থাকবে এবং বিতরণব্যবস্থার সর্বশেষ পরিস্থিতি সরাসরি কম্পিউটার থেকে জানা যাবে। এতে পুরো ব্যবস্থাটির গ্রহণযোগ্যতা, কার্যকারিতা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়বে।
এ দেশে কৃষক সব সময়ই বঞ্চিত ও অবহেলিত হয়ে এসেছে। এখন কার্ডগুলো প্রতিটি কৃষক-পরিবারের ক্ষমতায়নে সাহায্য করবে। তাদের পদে পদে ঠকানো কঠিন হবে। এটা কৃষিনির্ভর আমাদের এই সমাজের জন্য একটি বড় পাওয়া।
No comments