অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা -চিকিত্সকদের আরও সজাগ হতে হবে
ইন্টারন্যাশনাল সার্জিক্যাল কংগ্রেসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান চিকিত্সকদের প্রতি অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ বন্ধ এবং ফি সহনীয় পর্যায়ে রাখার যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কংগ্রেসে বাংলাদেশ ছাড়াও আয়ারল্যান্ড, জাপান, চীন, সিঙ্গাপুর, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের শল্যচিকিত্সকেরা অংশ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে চিকিত্সকেরা বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পেয়েছেন, যা তাঁদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের চিকিত্সকদের একটা বড় অংশ চিকিত্সার নামে রোগীকে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বাধ্য করেন। আবার একজন রোগীর ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন চিকিত্সককে ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষার পরামর্শ দিতে দেখা যায়। স্বভাবতই রোগীরা এতে বিভ্রান্ত হয়। আবার যত্রতত্র গড়ে ওঠা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সঙ্গে একশ্রেণীর চিকিত্সকের কমিশন-বাণিজ্যের যে অভিযোগ রয়েছে, তাও ভিত্তিহীন নয়। এ ধরনের কিছু ঘটনা গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রোগীর চিকিত্সার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে। তাই বলে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষার নামে অর্থের অপচয় ও রোগীকে হয়রানি করা মেনে নেওয়া যায় না। অনেক ক্ষেত্রে চিকিত্সকেরা রোগীর কথা ঠিকমতো না শুনেই ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন, যা রোগের উপশম না ঘটিয়ে বাড়িয়েও দিতে পারে। রোগ নির্ণয়ে ভুল হলে চিকিত্সাও ভুল হবে। এ ব্যাপারে চিকিত্সকেরা আরও সজাগ ও সতর্ক হবেন আশা করি।
গত দুই দশকে দেশে চিকিত্সক ও চিকিত্সাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে চিকিত্সার মান বাড়লে রোগীদের আর বিদেশে যেতে হতো না। দেশে চিকিত্সার মান বাড়লে রোগীরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি লাভবান হবেন চিকিত্সকেরাও। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদারকি বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিত্সক-সংগঠনগুলোও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সরকার কয়েক হাজার নতুন চিকিত্সক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে, যা জরুরি বলেই আমরা মনে করি। দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে থেকে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এসব নিয়োগ হলে স্বাস্থ্যসেবার মানই শুধু বাড়বে না, রোগীদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতাও কমবে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের চিকিত্সকদের একটা বড় অংশ চিকিত্সার নামে রোগীকে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বাধ্য করেন। আবার একজন রোগীর ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন চিকিত্সককে ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষার পরামর্শ দিতে দেখা যায়। স্বভাবতই রোগীরা এতে বিভ্রান্ত হয়। আবার যত্রতত্র গড়ে ওঠা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সঙ্গে একশ্রেণীর চিকিত্সকের কমিশন-বাণিজ্যের যে অভিযোগ রয়েছে, তাও ভিত্তিহীন নয়। এ ধরনের কিছু ঘটনা গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রোগীর চিকিত্সার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে। তাই বলে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষার নামে অর্থের অপচয় ও রোগীকে হয়রানি করা মেনে নেওয়া যায় না। অনেক ক্ষেত্রে চিকিত্সকেরা রোগীর কথা ঠিকমতো না শুনেই ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন, যা রোগের উপশম না ঘটিয়ে বাড়িয়েও দিতে পারে। রোগ নির্ণয়ে ভুল হলে চিকিত্সাও ভুল হবে। এ ব্যাপারে চিকিত্সকেরা আরও সজাগ ও সতর্ক হবেন আশা করি।
গত দুই দশকে দেশে চিকিত্সক ও চিকিত্সাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে চিকিত্সার মান বাড়লে রোগীদের আর বিদেশে যেতে হতো না। দেশে চিকিত্সার মান বাড়লে রোগীরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি লাভবান হবেন চিকিত্সকেরাও। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদারকি বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিত্সক-সংগঠনগুলোও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সরকার কয়েক হাজার নতুন চিকিত্সক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে, যা জরুরি বলেই আমরা মনে করি। দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে থেকে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এসব নিয়োগ হলে স্বাস্থ্যসেবার মানই শুধু বাড়বে না, রোগীদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতাও কমবে।
No comments