করিডরে স্লোগান বন্ধ করুন -হাসপাতালে নির্বাচনী ডামাডোল
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে যে সাজ সাজ রব উঠেছে, তা কোনো হাসপাতালে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নির্বাচন হবে ২৯ ডিসেম্বর, এর ১০-১১ দিন আগে থেকেই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে যে প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে, তা দেখে ও শুনে মনে হয়, এ যেন কোনো হাসপাতাল নয়; যেখানে নানা মাত্রায় অসুস্থ ও মুমূর্ষু রোগীদের চিকিত্সা করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের ২০টি পদে নির্বাচন হবে; প্রার্থী হয়েছেন শতাধিক কর্মচারী। নানা রঙের পোস্টার ও প্ল্যাকার্ডে ছেয়ে গেছে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা। কোনো কোনো বাসায় দেখা যাচ্ছে বিশালাকার নির্বাচনী প্রতীক। এমনকি খোদ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে পুরো হাসপাতালের দেয়ালে দেয়ালে লাগানো শুরু হয়েছে নির্বাচনী পোস্টার। ইতিমধ্যে হাসপাতালের কিছু নামফলকও ঢাকা পড়েছে পোস্টারের নিচে। কিছুদিন আগে বিপুল অর্থ ব্যয় করে হাসপাতালের যেসব দেয়ালে চুনকাম করা হয়েছে, সেগুলো হয়েছে বরবাদ।
হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে চলছে মিছিল-সমাবেশ। কর্মঘণ্টা চলাকালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা—ওয়ার্ডবয়, এমএলএসএস ও আয়ারা—নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে মিছিল করছেন। যেন তাঁরা চাকরি করেন না, দায়িত্ব পালন বলে কোনো বাধ্যবাধকতার ব্যাপার নেই।
আর কী অদ্ভুত ব্যাপার, হাসপাতালের এই সেবাকর্মীরা নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করছেন হাসপাতালের ভেতরই, বিভিন্ন করিডর প্রকম্পিত হচ্ছে তাঁদের সোচ্চার স্লোগানে। কাণ্ডজ্ঞান কি হারিয়ে গেল? হাসপাতাল যে অতি স্পর্শকাতর স্থান, তার ত্রিসীমানায় যে গাড়ির হর্ন বাজানো থেকে শুরু করে সব ধরনের শব্দদূষণ সভ্য সমাজে নিষিদ্ধ—এই বোধ যদি হাসপাতালের সেবাকর্মীরা হারিয়ে ফেলেন, তাহলে হাসপাতাল কি আর হাসপাতাল থাকে?
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এখানে তোলা দরকার। প্রথমত, এই নির্বাচনী প্রচারণার আড়ম্বর থেকে খুব স্পষ্ট যে প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছেন। প্রশ্ন হলো, কেন? বোঝা যায়, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের পদগুলো লোভনীয়। কিন্তু কেন, কী কারণে ও কী পন্থায় পদগুলো লোভনীয় হয়ে উঠল? দ্বিতীয়ত, যেসব প্রার্থী নির্বাচনে এত বিপুল অর্থ ব্যয় করছেন, তাঁদের এত অর্থের উত্স কী? কত টাকা তাঁদের আয় এবং কত টাকা তাঁরা ব্যয় করছেন?
আমাদের মনে হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের উচিত, কেউ অভিযোগ না করলেও এসব বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া।
আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের খোদ পরিচালক যখন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার কারণে হাসপাতালকে তাঁর আর হাসপাতাল মনে হচ্ছে না, তখন বোঝা যায়, কী পারঙ্গমতার সঙ্গে হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে। হাসপাতালে রোগীরা রোগ-যন্ত্রণায় গোঙাচ্ছেন, আর সেবাকর্মীরা দায়িত্ব-কর্তব্য ফেলে ভোট দিন ভোট দিন বলে চিত্কারে করিডরগুলো তোলপাড় করছেন।
হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিত্সার বিঘ্ন ঘটিয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চালানো অন্যায়। হাসপাতালের ভেতরে, করিডরে স্লোগান বন্ধ করুন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের ২০টি পদে নির্বাচন হবে; প্রার্থী হয়েছেন শতাধিক কর্মচারী। নানা রঙের পোস্টার ও প্ল্যাকার্ডে ছেয়ে গেছে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা। কোনো কোনো বাসায় দেখা যাচ্ছে বিশালাকার নির্বাচনী প্রতীক। এমনকি খোদ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে পুরো হাসপাতালের দেয়ালে দেয়ালে লাগানো শুরু হয়েছে নির্বাচনী পোস্টার। ইতিমধ্যে হাসপাতালের কিছু নামফলকও ঢাকা পড়েছে পোস্টারের নিচে। কিছুদিন আগে বিপুল অর্থ ব্যয় করে হাসপাতালের যেসব দেয়ালে চুনকাম করা হয়েছে, সেগুলো হয়েছে বরবাদ।
হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে চলছে মিছিল-সমাবেশ। কর্মঘণ্টা চলাকালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা—ওয়ার্ডবয়, এমএলএসএস ও আয়ারা—নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে মিছিল করছেন। যেন তাঁরা চাকরি করেন না, দায়িত্ব পালন বলে কোনো বাধ্যবাধকতার ব্যাপার নেই।
আর কী অদ্ভুত ব্যাপার, হাসপাতালের এই সেবাকর্মীরা নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করছেন হাসপাতালের ভেতরই, বিভিন্ন করিডর প্রকম্পিত হচ্ছে তাঁদের সোচ্চার স্লোগানে। কাণ্ডজ্ঞান কি হারিয়ে গেল? হাসপাতাল যে অতি স্পর্শকাতর স্থান, তার ত্রিসীমানায় যে গাড়ির হর্ন বাজানো থেকে শুরু করে সব ধরনের শব্দদূষণ সভ্য সমাজে নিষিদ্ধ—এই বোধ যদি হাসপাতালের সেবাকর্মীরা হারিয়ে ফেলেন, তাহলে হাসপাতাল কি আর হাসপাতাল থাকে?
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এখানে তোলা দরকার। প্রথমত, এই নির্বাচনী প্রচারণার আড়ম্বর থেকে খুব স্পষ্ট যে প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছেন। প্রশ্ন হলো, কেন? বোঝা যায়, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের পদগুলো লোভনীয়। কিন্তু কেন, কী কারণে ও কী পন্থায় পদগুলো লোভনীয় হয়ে উঠল? দ্বিতীয়ত, যেসব প্রার্থী নির্বাচনে এত বিপুল অর্থ ব্যয় করছেন, তাঁদের এত অর্থের উত্স কী? কত টাকা তাঁদের আয় এবং কত টাকা তাঁরা ব্যয় করছেন?
আমাদের মনে হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের উচিত, কেউ অভিযোগ না করলেও এসব বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া।
আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের খোদ পরিচালক যখন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার কারণে হাসপাতালকে তাঁর আর হাসপাতাল মনে হচ্ছে না, তখন বোঝা যায়, কী পারঙ্গমতার সঙ্গে হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে। হাসপাতালে রোগীরা রোগ-যন্ত্রণায় গোঙাচ্ছেন, আর সেবাকর্মীরা দায়িত্ব-কর্তব্য ফেলে ভোট দিন ভোট দিন বলে চিত্কারে করিডরগুলো তোলপাড় করছেন।
হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিত্সার বিঘ্ন ঘটিয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চালানো অন্যায়। হাসপাতালের ভেতরে, করিডরে স্লোগান বন্ধ করুন।
No comments