আপিল বিভাগে এবার সচিবেরা কী বলবেন by মিজানুর রহমান খা

সরকারের ঘোষিত নতুন পে-স্কেলে জুডিশিয়াল পে কমিশনের সুপারিশ অগ্রাহ্য হয়েছে। তবে নিম্ন আদালতের বিচারকদের জন্য ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৩০ ভাগ ভাতা সংযোজন করা হয়েছে। তবে আপিল বিভাগের বিচারপতির নেতৃত্বাধীন নয় সদস্যের জুডিশিয়াল কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে; তার আইনানুগ অস্তিত্ব অস্বীকৃত হয়েছে। আগের মতো যুগ্ম সচিবদের সঙ্গে সমতা বজায় রেখে জেলা জজদের রাখা হলো তিন নম্বর গ্রেডেই। আসলে ৩০ ভাগ ভাতা যোগ করার মতো একটি সিদ্ধান্তের জন্য জুডিশিয়াল কমিশন গঠন ও তার কার্যক্রমের দরকার ছিল না।
মাসদার হোসেন মামলার রায়ে বিচারকদের প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে না ভাবতে, তাদের সঙ্গে তুলনা না করতে এবং সুস্পষ্টভাবে বিচারকদের অন্য সুবিধাদি ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পেনশনের নিরাপত্তাকে বিচারিক স্বাধীনতার দ্বিতীয় প্রয়োজনীয় শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। নির্বাহী বিভাগ, বিশেষ করে আমাদের আমলাশাসিত রাজনীতিকদের মনোজগতে কখনো এর কোনো স্বীকৃতি দেখিনি। সে কারণেই দিনবদলের মন্ত্রিসভা প্রথমে জুডিশিয়াল পে-কমিশনের প্রস্তাব মতে বিচারকদের জন্য ১০০ ভাগ ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছিল। পরে তাদের পুনর্বিবেচনায় ৩০ ভাগ ভাতা উতরে যায়।
মাসদার হোসেন মামলার রায়ের বাস্তবায়নে ঘোরতর অশ্রদ্ধা দেখানোর জন্য ২০০৪ সালে আদালত অবমাননার একটি মামলা হয়েছিল। এই মামলাটি ইতিমধ্যেই একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছে। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আমরা ক্ষমতার বিভিন্নমুখী পালাবদল প্রত্যক্ষ করেছি। জরুরি অবস্থায় বন্দুকের নলের ডগায় হামাগুড়ি দিয়ে আমরা আমাদের বহুপ্রত্যাশিত পৃথক্করণের একটা আংশিক অর্জন পেয়েছি। দেখার বিষয় হলো, অনির্বাচিত শাসকেরা দুবার বাজেট প্রদানের সুযোগ পেলেও অত্যন্ত সচেতনভাবে বিচারিক স্বাধীনতার ওই দ্বিতীয় প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না করতে সংকল্পবদ্ধ ছিলেন।
নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রিসভা তাই যেদিন বিচারকদের ১০০ ভাগ ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব পুরোপুরি নাকচ করে, তখন সে খবরে অবাক হইনি। তবে আমরা ৩০ ভাগ ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টিকে ‘যাক, তবু হাত খুলেছে’ হিসেবে বিবেচনায় নিই। আর অনেক গুণ বেশি আগ্রহের সঙ্গে প্রত্যক্ষ করব যে আমাদের আপিল বিভাগে মাসদার হোসেন মামলার রায় অগ্রাহ্য হওয়ার বিষয়টি কীভাবে পাক খেতে থাকে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ১১ সদস্যের ফুল কোর্টে ওই বিষয়টি সর্বশেষ আদালতে আসে ২২ অক্টোবর ২০০৯। একটি চিঠি অবিকল আদালতে তুলে ধরা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আতোয়ার রহমানের সই করা ওই পত্রে বলা হয় : ‘‘১. মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ০৭/২০০৪ কনটেম্পট পিটিশনসহ ৭৯/১৯৯৯ নং সিভিল আপিলে ০৯.০৮.২০০৯ তারিখে যে নির্দেশনা প্রদান করে, এর মধ্যে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনার সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে:
সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো, বিশেষ করে অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এবং আইন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ২০০৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমতে বিচারকদের বেতন, বাড়ি ভাড়া, অন্যান্য ভাতা, বয়সসীমা প্রভৃতি পুনর্নির্ধারণকল্পে গত ২ জুন ২০০৯ প্রদত্ত জুডিশিয়াল সার্ভিস পে-কমিশনের সুপারিশ কার্যকর ও সন্তোষজনকভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দেওয়া হলো।বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উল্লিখিত সচিবেরা তাঁদের নিজ নিজ ক্ষেত্রের ‘এফিডেভিট অব কমপ্লায়েন্স’ আগামী তারিখের আগে বা পরে আদালতে পেশ করবেন। ২২ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য পুনরায় কার্যতালিকায় আসবে। ২. জুডিশিয়াল সার্ভিস পে কমিশনের সুপারিশ সংবলিত একটি সার-সংক্ষেপ মন্ত্রিসভার জন্য অর্থ বিভাগ হতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করা হলে তা গত ১৮ মে ২০০৯ তারিখে মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপিত হয়। মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, সরকার কর্তৃক ঘোষিত নতুন জাতীয় বেতন স্কেল এবং ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরের বাজেটের সহিত সমন্বয় করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পে কমিশন কর্তৃক জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের জন্য সুপারিশকৃত ভাতাদি প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। মন্ত্রিসভার এ সিদ্ধান্তটি অর্থ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। এ পর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনিষ্পন্ন কোন কার্যক্রম নেই। ৩. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে গৃহীত কার্যক্রম মাননীয় সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগকে হলফনামার মাধ্যমে অবহিত করতে অনুরোধ করা হল।’’ অ্যাটর্নি জেনারেল এই সিদ্ধান্তই ২২ অক্টোবরে হলফনামার মাধ্যমে জানিয়ে দেন।
মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওই আদেশে স্পষ্ট যে, আপিল বিভাগ জুডিশিয়াল সার্ভিস পে কমিশনের প্রতিবেদনের ‘কার্যকর’ এবং ‘সন্তোষজনক’ বাস্তবায়ন চেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মাসদার হোসেন মামলার বাদীপক্ষ অর্থাত্ বিচারকসমাজের রিট-সংক্রান্ত পরিহাস স্মরণ করা যেতে পারে। বিএনপির আইন ও বিচারমন্ত্রী মির্জা গোলাম হাফিজ জেলা জজদের বেতন স্কেল অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ে উন্নীত করেছিলেন; কিন্তু তখন আমলাতন্ত্র যথারীতি গেল গেল বলে রব তোলে। অগত্যা তাদের খুশি করতে সেই বেতন স্কেল তাত্ক্ষণিক হরণ করা হয়। বিচারকেরা তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন। সেই রিটের ফসল মাসদার হোসেন মামলার আলোচিত রায় ও জরুরি অবস্থায় বিচার বিভাগ পৃথক্করণ প্রাপ্তি। কিন্তু বিচারকেরা লড়াই করেও যা পাননি, তা হলো বিচারকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল, আর্থিক স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে বিচারকের স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়নের সুযোগ। এ তো আসলে নেহাত রায় নয়, নির্বাহী বিভাগ নামের অনিচ্ছুক ঘোড়াকে পানি খাওয়ানোর প্রচেষ্টাও। মাসদার হোসেন মামলার ওই রায় মতে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে নয় সদস্যের কমিশন গঠিত হয়। বিচারপতি মো. ফজলুল করিম সভাপতি। হাইকোর্ট বিভাগ থেকে এলেন বিচারপতি নাজমুন আরা। সরকারের প্রতিনিধিত্ব সংখ্যালঘু বটে, তবে তারা প্রত্যেকে জবরদস্ত। আইন, সংস্থাপন, অর্থ এবং মন্ত্রিসভা বিভাগের সচিব। এ ছাড়া আছেন মহাহিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার এবং ঢাকা মহানগর জেলা ও দায়রা জজ। খোঁজ নিয়ে জানলাম, গত ২১ জুনে সরকারের কাছে প্রেরিত প্রতিবেদনটি পে-কমিশন কিন্তু তৈরি করেছিল মতৈক্যের ভিত্তিতেই। মূল প্রস্তাব তিনটি: প্রথমত, বিচারকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল করা; দ্বিতীয়ত, জেলা জজদের মূল বেতন এক নম্বর গ্রেডভুক্ত করা; তৃতীয়ত, জুডিশিয়াল সার্ভিস সদস্যদের ভাতা ১০০ ভাগ করা। সরকারের নতুন বেতন স্কেলে এর একটিও বাস্তব রূপ নেয়নি।
জেলা ও দায়রা জজ জুডিশিয়াল ক্যাডার সার্ভিসের সর্বোচ্চ পদ, এমনকি এক অর্থে সাংবিধানিক বললেও খুব রং চড়িয়ে বলা হয় না; কারণ জেলা জজ কথাটি সংবিধানে আছে। এ জন্য প্রথম গ্রেডের সমতায় এনে জেলা জজ পদের মূল বেতন ৪০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। ১৯৭৯ সালের দিকে জেলা জজরা যুগ্ম সচিবদের স্কেলে বেতন পেতে শুরু করেন।
৩০ বছর পর এবার মন্ত্রিসভার সামনে নিম্ন আদালতের বিচারকদের বেতনকাঠামোতে বিরাট পরিবর্তন আনার দরকারি সুযোগটা আসে। আপাতত সেটি হাতছাড়া হয়ে গেছে। এই সুযোগ অবশ্য শাসক-দলের জন্য কোনো নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের বিষয় ছিল না। এখানে কোনো বিচক্ষণ বা দূরদর্শী নেতা-নেত্রীর প্রজ্ঞা দেখানোর সুযোগের প্রশ্ন ছিল না, প্রশ্নটা ছিল শতভাগ বিশুদ্ধ সংবিধানসম্মত; সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বাস্তবায়নের প্রশ্ন, সংবিধান মেনে চলার শপথ রক্ষার প্রশ্ন। এখানে কারও ভালো লাগা বা মন্দ লাগার বিষয় ছিল না। কিন্তু এখন আমরা খালি চোখে দেখতে ও বুঝতে পারছি, জেলা জজদের আগের মতোই যুগ্ম সচিবের পদমর্যাদায় রাখা হয়েছে। শতভাগ ভাতার সুপারিশ ছেঁটে ফেলা হয়েছে। তাঁদের ৩০ ভাগ ভাতা দেওয়া হয়েছে। তাদের নবতর প্রাপ্তিযোগে আরও একটি যোগ অবশ্য আছে। আমাদের মন্ত্রিসভা সত্যিই একেবারে হাড়কিপটে নয়, তারা পোশাক ভাতাও বাড়িয়েছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সংগতি রেখে চলতে হিমশিম খাওয়া বিচারকদের ললাটের ভাঁজ এতে একটু হলেও মেলাতে পারে!
শুনেছিলাম, জুডিশিয়াল পে-কমিশনের সুপারিশ যাতে ‘কার্যকর’ ও ‘সন্তোষজনকভাবে’ বাস্তবায়িত না হয়, সে জন্য সুপরিচিত বিয়াম-বিদ্রোহীদের শক্তিমান গুরুরা গর্জন তুলেছিলেন। সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারক এক একান্ত আলাপচারিতায় সম্প্রতি জুডিশিয়াল পে-কমিশনের সুপারিশ প্রসঙ্গে প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। অবশ্য একটু আশ্বস্ত হয়েছিলাম তাঁর কথা শুনেই। তিনি বললেন, ভারতে একটা ডেলিগেশন পাঠিয়েছি। তাঁরা সেখানকার বিচারকদের হাঁড়ির খবর আনবেন। ভাবি, তাহলে তো ভালোই হলো। আমাদের প্রধান বিচারপতির বেতন এখনো সাকল্যে ৩২ হাজার টাকা; আর ভারতের প্রধান বিচারপতির বেতন গত জানুয়ারিতে ৩৩ হাজার রুপি থেকে ১ লাখ রুপি করা হয়েছে। এরপর বিচারপতিদের সম্মিলনে তাঁদের বেতন-ভাতা আরও কয়েক গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে এবং তাতে সরকারের দ্বিমত জানা যায়নি। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের বিচারকদের বেতন বাড়াতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পে-কমিটি করেছে। জনপ্রশাসন ট্যারা চোখে তাকায়নি। ২৮ জুলাই ২০০৯ প্রদত্ত ওই কমিটির রিপোর্টে জেলা জজের বর্তমান মূল বেতন ২৩ হাজার ৮৫০ থেকে ৭৩ হাজার ৩৭০ রুপিতে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন জ্যেষ্ঠ জেলা জজের মূল বেতন ১৬ হাজার ৮০০ টাকা।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির বেতন দুই লাখ রুপির ওপরে। সেখানে জনপ্রশাসনের সর্বোচ্চ স্কেল ২৩ হাজার ৬৫ থেকে ৪৬ হাজার ২৩৫ রুপি। সচিবেরা এই স্কেলেই বেতন পান। পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার জনপ্রশাসনের বেতন না বাড়িয়ে একটা বিপ্লব করে। তারা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জেলা জজের মূল বেতন ২৮ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার রুপি করে। সেখানে কোনো আমলা-অসন্তোষ ঘটেনি। শ্রীলঙ্কায় জ্যেষ্ঠ জেলা জজের মূল বেতন ৫০ হাজার রুপির বেশি, সাকল্যে এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। তো প্রতিবেশীদের ঘরে যখন এই রকম পরিবর্তন, তখন দিনবদলের স্লোগানমুখর সরকার বিচারকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের সূচনা ঘটাতেই কার্পণ্য দেখাল। এখন প্রশ্ন হলো, তাহলে জুডিশিয়াল পে-কমিশনের বৈঠকের সুপারিশ কী করে সর্বসম্মত হতে পারল। কেবল অর্থসচিব শেষের এক বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন; কিন্তু তাই বলে তিনি ভিন্নমত দেননি। সর্বশেষ আপিল বিভাগের ১১ জন মাননীয় বিচারপতি পে-কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সর্বসম্মত মত দিলেন। সেখানেও আমরা কোনো ভিন্নমত দেখি না।
মাসদার হোসেন মামলা থেকে উদ্ভূত ওই আদালত অবমাননার মামলার শুনানি আপিল বিভাগে আগামীকাল হওয়ার তারিখ আছে বলে শুনেছি। আমরা ঔত্সুক্য নিয়ে অপেক্ষা করব, জুডিশিয়াল পে-কমিশনের প্রতিবেদন অগ্রাহ্য করার বিষয়টিকে সরকার কীভাবে ব্যাখ্যা দিতে সচেষ্ট হয়। আমরা পে-কমিশনের সুপারিশপ্রণেতা-সদস্য হিসেবে কয়েকজন সচিবের নাম পাই; এবং একই সঙ্গে আপিল বিভাগের গত ৯ আগস্ট প্রদত্ত নির্দেশনায় নির্দিষ্টভাবে কয়েকজন সচিবের নাম পাই। সত্যি, এ বিষয়টি কৌতূহলোদ্দীপক বটে!
আজ বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে জেলা জজদের অবস্থানবিষয়ক একটি রিটের শুনানি হতে পারে। বিদ্যমান ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে জেলা জজরা অপাঙেক্তয় অবস্থায় আছেন। জেলা প্রশাসক, লে. কর্নেল বা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিংয়ের পরিচালকের মতো পদবিধারীদের কাতারে আছেন জ্যেষ্ঠ জেলা জজ। অন্যদিকে গতকাল জানলাম, প্রশাসন ক্যাডার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে খামচি মেরে যে বিচারিক ক্ষমতা হরণ করেছিল, তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেও একটি রিট হয়েছে। এই দুটি রিটই আসলে ওই মাসদার হোসেন মামলার রায়ের বিষয় এবং চূড়ান্ত বিশ্লেষণে এর সবকিছুই তার সব বৈপরীত্য ও স্ববিরোধিতা নিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে একই সূত্রে গাঁথা।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.