প্রস্তাবিত ভৈরব জেলা -আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করুন
প্রস্তাবিত ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন এবং অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলা রক্ষার পরস্পরবিরোধী অনমনীয় অবস্থানের কারণে পুরো কিশোরগঞ্জেই এখন অস্থিরতা বিরাজ করছে। ভৈরব জেলা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ভৈরবে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। অবরোধের কারণে কিশোরগঞ্জের সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। নদীপথেও সৃষ্টি করা হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। এ কারণে মানুষের বেশ দুর্ভোগ হচ্ছে। সমস্যাটি যে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত সমাধান করা উচিত, তেমন কোনো লক্ষণ সরকারের মধ্যে লক্ষ করা যাচ্ছে না।
প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের স্বার্থে নতুন জেলা গঠনকে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখা যেতে পারে। ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবি দীর্ঘদিনের। দেশের ৬৪ জেলার বাইরে যে কয়টি সমৃদ্ধ জনপদ রয়েছে, ভৈরব এর অন্যতম। ভৈরববাসী মনে করে, অর্থনৈতিক ও যোগাযোগের বিবেচনায় ভৈরব কিশোরগঞ্জের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নতুন জেলা প্রতিষ্ঠার সময় আন্ত-উপজেলা যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কিন্তু প্রস্তাবিত ভৈরব জেলার ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলা থেকে ভৈরবসহ পাঁচটি উপজেলা নিয়ে প্রস্তাবিত ভৈরব জেলার গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি—বাজিতপুর, নিকলী ও কটিয়াদীর যোগাযোগ কিশোরগঞ্জ সদরের সঙ্গেই বেশি। নরসিংদী জেলার রায়পুরা (একাংশ) উপজেলা প্রস্তাবিত ভৈরব জেলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চায়। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা ভৈরবের নিকটবর্তী হওয়ায় অষ্টগ্রামকেও ভৈরবের সঙ্গে যুক্ত করার পক্ষে অনেকেই।
এ ধরনের মত-দ্বিমত থাকতেই পারে। কিন্তু তা নিয়ে রাস্তাঘাটে সমাবেশ-অবরোধ না করে আলোচনায় বসে সমস্যাটির দ্রুত সমাধান করা উচিত। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হয় এমন পদক্ষেপ নেওয়া কোনো পক্ষেরই উচিত নয়। রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ইচ্ছার বাস্তবায়ন করতে গিয়েই ভৈরব জেলা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রপতি ছাড়াও স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ এবং এলজিআরডি মন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের সন্তান। রাষ্ট্রের তিনজন অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির এলাকা হিসেবেও সমস্যাটি বিশেষ গুরুত্ব দাবি করে। আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার আশু সমাধান করা হোক।
প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের স্বার্থে নতুন জেলা গঠনকে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখা যেতে পারে। ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবি দীর্ঘদিনের। দেশের ৬৪ জেলার বাইরে যে কয়টি সমৃদ্ধ জনপদ রয়েছে, ভৈরব এর অন্যতম। ভৈরববাসী মনে করে, অর্থনৈতিক ও যোগাযোগের বিবেচনায় ভৈরব কিশোরগঞ্জের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নতুন জেলা প্রতিষ্ঠার সময় আন্ত-উপজেলা যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কিন্তু প্রস্তাবিত ভৈরব জেলার ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলা থেকে ভৈরবসহ পাঁচটি উপজেলা নিয়ে প্রস্তাবিত ভৈরব জেলার গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি—বাজিতপুর, নিকলী ও কটিয়াদীর যোগাযোগ কিশোরগঞ্জ সদরের সঙ্গেই বেশি। নরসিংদী জেলার রায়পুরা (একাংশ) উপজেলা প্রস্তাবিত ভৈরব জেলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চায়। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা ভৈরবের নিকটবর্তী হওয়ায় অষ্টগ্রামকেও ভৈরবের সঙ্গে যুক্ত করার পক্ষে অনেকেই।
এ ধরনের মত-দ্বিমত থাকতেই পারে। কিন্তু তা নিয়ে রাস্তাঘাটে সমাবেশ-অবরোধ না করে আলোচনায় বসে সমস্যাটির দ্রুত সমাধান করা উচিত। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হয় এমন পদক্ষেপ নেওয়া কোনো পক্ষেরই উচিত নয়। রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ইচ্ছার বাস্তবায়ন করতে গিয়েই ভৈরব জেলা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রপতি ছাড়াও স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ এবং এলজিআরডি মন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের সন্তান। রাষ্ট্রের তিনজন অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির এলাকা হিসেবেও সমস্যাটি বিশেষ গুরুত্ব দাবি করে। আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার আশু সমাধান করা হোক।
No comments