পবিত্র ঈদুল আজহা -আনন্দ ও ত্যাগে শুদ্ধ হোক জীবন
ঈদ এসেছে, সঙ্গে এনেছে শান্তি আর আনন্দের সওগাত। সব ভেদ ও পরিচয় ভুলে এই দিন মানুষ কেবল মানুষকেই বুকে জড়াবে। এই মিলনের আকুতি, ঈদের সেই রঙিন বারতাই কি সবার মনে অধীর বাঁশরির মতো বাজছে না? বহুবর্ষ আগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই মর্মের কথাই তাঁর গানে চাউর করে দিয়েছিলেন, ‘আজ ভুলে যা সব হানাহানি, হাত মেলা হাতে...’। এই আয়োজন তো জীবনেরই উদ্যাপন। ঈদুল আজহার কোরবানির ত্যাগের মহিমা তো এটাই।
পবিত্র ঈদুল আজহায় আল্লাহর নৈকট্য, করুণা ও আনুগত্য লাভের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দেবে। পেছনে ফিরলে দেখা যাবে, আল্লাহ তাআলা হজরত ইব্রাহিম (আ.)কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি দিতে। আল্লাহ তাঁর নবীকে পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন। স্নেহের পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) ছিলেন হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সবচেয়ে প্রিয়। পিতা হয়ে পুত্রকে কোরবানি দেওয়া অসম্ভব কাজ। কিন্তু আল্লাহর নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে হজরত ইব্রাহিম (আ.) বিনা দ্বিধায় নিজ পুত্রকে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। মহান আল্লাহর নির্দেশে তাঁর ছুরির নিচে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর স্থলে কোরবানি হয়ে যায় একটি দুম্বা। স্রষ্টার প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য ও ত্যাগ স্বীকারের বাণীই এ ঘটনার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে।
ঈদুল আজহার উদ্দেশ্য স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য নিজেকে উত্সর্গ করতে প্রস্তুত থাকা। এরই প্রতীক হিসেবে পশু কোরবানি করা হয়। এই কোরবানির মাধ্যমে মূলত মানুষের মধ্যে বিরাজমান পশুশক্তি, কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি রিপুকেই কোরবানি দিতে হয়। হালাল অর্থে কেনা পশু কোরবানির মাধ্যমেই তা সম্পন্ন হয়। কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি ঐকান্তিক প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, যা দিয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করা যায়।
কিন্তু কোরবানির এই মর্মবাণী সহজেই ভুলে যাওয়া হয়। দেখা যায়, ত্যাগের সাধনার চেয়ে ভোগবিলাস ও অপচয়ই বড় হয়ে ওঠে। পবিত্র কর্তব্য পরিণত হয় পশুনিধন ও মাংস ভক্ষণের উত্সবে। দরিদ্র মানুষের কথাও ভাবা হয় না। আমাদের দেশে অসংখ্য দরিদ্র মানুষ আছে, যাদের দুই বেলা দুই মুঠো ভাত জোটে না। তীব্র শীতে তাদের শরীরে থাকে না কোনো শীতবস্ত্র, তারা সংস্থান করতে পারে না খাবারের। এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে ঈদের আনন্দ সার্থক হয়ে উঠতে পারে।
ঈদের সময় যেখানে-সেখানে পশু জবাই করার প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে। কোরবানির পর ঠিকমতো হাড়, রক্ত ইত্যাদি পরিষ্কার করা নিশ্চিত করতে হবে। সিটি করপোরেশনগুলো এ ব্যাপারে তাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবে, সে কামনা করি আমরা।
বিশ্ব মুসলিমের এই উত্সবে ধরণি সজীব হবে, যেখানেই তাঁরা থাকবেন, সেখানেই ঈদ উত্সবের পবিত্র সৌন্দর্যে অপরের মনের প্রীতি আদায় করে নেবেন—এটাই কাম্য।
পবিত্র ঈদুল আজহায় আল্লাহর নৈকট্য, করুণা ও আনুগত্য লাভের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দেবে। পেছনে ফিরলে দেখা যাবে, আল্লাহ তাআলা হজরত ইব্রাহিম (আ.)কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি দিতে। আল্লাহ তাঁর নবীকে পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন। স্নেহের পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) ছিলেন হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সবচেয়ে প্রিয়। পিতা হয়ে পুত্রকে কোরবানি দেওয়া অসম্ভব কাজ। কিন্তু আল্লাহর নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে হজরত ইব্রাহিম (আ.) বিনা দ্বিধায় নিজ পুত্রকে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। মহান আল্লাহর নির্দেশে তাঁর ছুরির নিচে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর স্থলে কোরবানি হয়ে যায় একটি দুম্বা। স্রষ্টার প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য ও ত্যাগ স্বীকারের বাণীই এ ঘটনার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে।
ঈদুল আজহার উদ্দেশ্য স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য নিজেকে উত্সর্গ করতে প্রস্তুত থাকা। এরই প্রতীক হিসেবে পশু কোরবানি করা হয়। এই কোরবানির মাধ্যমে মূলত মানুষের মধ্যে বিরাজমান পশুশক্তি, কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি রিপুকেই কোরবানি দিতে হয়। হালাল অর্থে কেনা পশু কোরবানির মাধ্যমেই তা সম্পন্ন হয়। কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি ঐকান্তিক প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, যা দিয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করা যায়।
কিন্তু কোরবানির এই মর্মবাণী সহজেই ভুলে যাওয়া হয়। দেখা যায়, ত্যাগের সাধনার চেয়ে ভোগবিলাস ও অপচয়ই বড় হয়ে ওঠে। পবিত্র কর্তব্য পরিণত হয় পশুনিধন ও মাংস ভক্ষণের উত্সবে। দরিদ্র মানুষের কথাও ভাবা হয় না। আমাদের দেশে অসংখ্য দরিদ্র মানুষ আছে, যাদের দুই বেলা দুই মুঠো ভাত জোটে না। তীব্র শীতে তাদের শরীরে থাকে না কোনো শীতবস্ত্র, তারা সংস্থান করতে পারে না খাবারের। এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে ঈদের আনন্দ সার্থক হয়ে উঠতে পারে।
ঈদের সময় যেখানে-সেখানে পশু জবাই করার প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে। কোরবানির পর ঠিকমতো হাড়, রক্ত ইত্যাদি পরিষ্কার করা নিশ্চিত করতে হবে। সিটি করপোরেশনগুলো এ ব্যাপারে তাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবে, সে কামনা করি আমরা।
বিশ্ব মুসলিমের এই উত্সবে ধরণি সজীব হবে, যেখানেই তাঁরা থাকবেন, সেখানেই ঈদ উত্সবের পবিত্র সৌন্দর্যে অপরের মনের প্রীতি আদায় করে নেবেন—এটাই কাম্য।
No comments