সেকেলে সামরিক বিচার -প্রতিক্রিয়া by মোহাম্মদ ফজেল করিম খান
গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর উপসম্পাদকীয়তে ছাপা মিজানুর রহমান খানের ‘রাষ্ট্রপতির রেফারেন্স ও সেকেলে সামরিক বিচার’ লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। তিনি সেনা আইনের সংস্কারের বিষয়ে যথার্থই বলেছেন। অথচ মহামান্য আপিল বিভাগের রেফারেন্সে কিংবা অ্যামিকাস কিউরিদের বক্তব্যেই এ বিষয়টি আসা উচিত ছিল। লেখক শুরুতেই দেখিয়েছেন ১৯৫২-এর আর্মি অ্যাক্টের ৮ ধারার ১২ উপধারাটি। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সংজ্ঞার ক্ষেত্রে ‘Her Majesty’ শব্দটা এখনো এ আইনে আছে—এটা তো আশ্চর্যের বিষয়। দুর্ভাগ্য, এ বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞজনেরা কিংবা সরকার দৈন্যের প্রমাণ দিয়েছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের রেফারেন্স আপিল বিভাগে প্রেরণের বিষয়টি আমার কাছে আদালতের সময় নষ্ট এবং ১১ অ্যামিকাস কিউরিদের আইন ব্যবসায় ব্যাঘাত ঘটানো ছাড়া আর কিছু বলে মনে হয়নি। এ রেফারেন্স উত্থাপনই ছিল অবান্তর। আমি মনে করি, সরকার এ বিষয়ে সামরিক বাহিনীর আইনগুলো খতিয়েই দেখেনি। যদি দেখত, তাহলে রেফারেন্সের প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই মনে করত। নৌবাহিনীর জন্য প্রযোজ্য ম্যানুয়াল অব বাংলাদেশ নেভাল ল-এর পার্ট-১-এর প্রথম পৃষ্ঠার ২ নম্বর প্যারায় বলা হয়েছে—
‘Legal position of officers and sailors by the law of Bangladesh a man who joins the Navy, whether as an officer or as a sailor, does not cease to be a citizen, with a few exceptions his position under the ordinary law of the land remains unaffected.’
অর্থাত্ নৌবাহিনীর সদস্যদের নাগরিক হিসেবে তাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না। এখানে আরও বলা হয়েছে, তাদের দেশের প্রচলিত আইন এবং কোর্ট মার্শাল আইন উভয়ের আওতায় আসতে বাধা নেই। এ বিধান সেনা ও বিমান বাহিনীর আইনের ক্ষেত্রে এক। এ ক্ষেত্রে এটা স্পষ্ট যে দুই আইনের আওতায়ই সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারে সোপর্দ করা যাবে। অথচ এই নীতিমালা কেউ পরখ করেই দেখেনি। ১৯৬৮ সালের ভারতের বিএফএফ আইনে বিদ্রোহের বিচার ‘মৃত্যুদণ্ড’-এর বিধান রেখে সংশোধনী আনা হয়। অথচ আমাদের ’৭২-এর বিডিআর আইনে সংশোধনীর কথাটি কারও মাথায় আসেনি। লেখকের প্রশ্ন যথার্থই।
বাংলাদেশে সামরিক বাহিনীর আইনে সংস্কারের বিষয়টি কেন এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের জবাব চাওয়াটা প্রাসঙ্গিক। সামরিক বাহিনীর আইনে দেখা যায়, আর্মি অ্যাক্ট ১৯৫২-এর ১৩৩ ধারা, নেভি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১-এর ১৪০ ধারা এবং এয়ার ফোর্স অ্যাক্ট ১৯৫৩-এর ১৬২ ধারায় কোর্ট মার্শালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, কোর্ট মার্শালের রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল চলবে না। বলা হয়েছে, কোনো আদালত এর বৈধতা, পদ্ধতি ও গঠনের যথার্থতার প্রশ্নে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না।
এ স্বাভাবিক ন্যায়বিচার বা ‘ন্যাচারাল জাস্টিস’বিরোধী বিধানের সংস্কারে কারও তোড়জোড়ই নেই। সামরিক বাহিনীর আইনগুলোয় সংশোধনী নয়, মহা সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে। এখানে প্রাসঙ্গিক আর একটি বিষয়ে বলে রাখি। সেনা আইনের আরেকটি বিরাট বাধা হচ্ছে ‘ডকট্রিন অব প্লেজার অব দ্য প্রেসিডেন্ট’-এর বিধান। এখানে বলা আছে, ‘Every officer and sailor shall hold office during the pleasure of the president’। এই ডকট্রিন অব প্লেজারের আওতায় সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল নাসিম এবং সাবেক নৌপ্রধান আমীর আহমেদ মোস্তফাকে কোনো কারণ দর্শানো এবং কোনো সময় না দিয়েই বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁরা অনেক দিন উচ্চ আদালতের বারান্দায় ঘুরে ঘুরেও এবং আদালতের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে চেয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। আদালত এ ডকট্রিন অব প্লেজারের দোহাই দিয়ে তাঁদের বরখাস্তের আদেশ বহাল রাখেন।
আমি নৌবাহিনীর জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে নিযুক্ত থাকাকালে সামরিক বাহিনীর সংস্কারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুপারিশের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ৬ অক্টোর ১৯৯৭-এ আইন কমিশন বরাবর সামরিক বাহিনীর আইনের বিভিন্ন ত্রুটি এবং সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। আমার আশা ছিল, আইন কমিশন এ প্রস্তাব বিবেচনায় এনে সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
নৌবাহিনীর আইনের পাশাপাশি আমার সহকর্মী অন্য দুই বাহিনীর জজ অ্যাডভোকেটদেরও অনুরূপ প্রস্তাব পাঠাতে অনুরোধ করি। আইন কমিশনের তত্কালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম আফজালের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাত্ করে এ বিষয়ে অবগত করি। এ ছাড়া তদানীন্তন আইন কমিশনের সচিব (সাবেক সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার) ইকতেদার আহমেদ এবং বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সচিব (বর্তমান আইনসচিব) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গেও দেখা করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার জন্য বলি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, কারও কাছ থেকে কোনো সদুত্তর আসেনি। এখন হয়তো এ নথি আইন কমিশনের পুরোনো স্তূপে জমা আছে, যদি উইপোকা না খেয়ে থাকে। আমি অবসরগ্রহণের পর আমার উত্তরসূরি এ পদে আসীন জজ অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বলি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ অক্টোবর ২০০৫ সালে তিনিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিকট একই বিষয়ে লিখিত আবেদন করেন। তিন বাহিনীর গলায় ফাঁস লাগানোর অনেক বিধানই বাহিনীর নিজস্ব আইনগুলোয় রয়েছে। আগেই বলেছি, সামরিক বাহিনীর আইনে সূচনা অংশেই সামরিক কর্মকর্তাদের সাধারণ ও নিজস্ব আইনের আওতায় আনা যায় বলা হলেও প্রতিটি পরতে এ বিধানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একই আইনে মূলনীতির সঙ্গে আইনের ধারার দ্বৈততা তৈরি হয়েছে।
সাংবাদিক লেখক মিজানুর রহমান খান চোখে আঙুল তুলে দেখিয়েছেন, সেনা আইনের সংস্কারের বিষয়টি। এ মত অবিলম্বে আমলে নেওয়া উচিত। লেখক ভারত, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনা আইনের সংস্কারের বিষয়টি স্পষ্ট বিশ্লেষণ করেছেন। এতে আমাদের বিশ্লেষণক্ষমতাহীন ও চিন্তাক্ষমতাহীন কর্তৃপক্ষের মস্তিষ্কে নতুন করে তাগাদা আসা উচিত। অ্যামিকাস কিউরি এবং বিচারপতিদের সিদ্ধান্তের অংশেও সেনা আইনের সংস্কারের প্রসঙ্গটি আসতে পারত। ২০০৯ সালে ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সামরিক বাহিনীর জন্য স্বাধীন আপিল ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত হয়েছে। ভারতের তত্কালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের ভাষণের কিছু অংশ লেখক উল্লেখ করেছেন। আমাদের শাসক এবং বিজ্ঞজনদের উচিত এ থেকে উদ্বুদ্ধ হওয়া। ভারতের আইন কমিশনের রিপোর্টও আমাদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। এ নৃশংস ঘটনার বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে যে প্রশ্ন উপলব্ধি করা গেছে, তা থেকে সামরিক বাহিনীর আইনের সংস্কারের যে গুরুত্ব, তা ফেলে দেওয়া যাবে না।
মোহাম্মদ ফজেল করিম খান: ইনস্ট্রাক্টর ক্যাপ্টেন, বিএন (অব.); সাবেক জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল, বাংলাদেশ নৌবাহিনী; বর্তমান প্রক্টর, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ।
fazlekarim2002@yahoo.com
‘Legal position of officers and sailors by the law of Bangladesh a man who joins the Navy, whether as an officer or as a sailor, does not cease to be a citizen, with a few exceptions his position under the ordinary law of the land remains unaffected.’
অর্থাত্ নৌবাহিনীর সদস্যদের নাগরিক হিসেবে তাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না। এখানে আরও বলা হয়েছে, তাদের দেশের প্রচলিত আইন এবং কোর্ট মার্শাল আইন উভয়ের আওতায় আসতে বাধা নেই। এ বিধান সেনা ও বিমান বাহিনীর আইনের ক্ষেত্রে এক। এ ক্ষেত্রে এটা স্পষ্ট যে দুই আইনের আওতায়ই সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারে সোপর্দ করা যাবে। অথচ এই নীতিমালা কেউ পরখ করেই দেখেনি। ১৯৬৮ সালের ভারতের বিএফএফ আইনে বিদ্রোহের বিচার ‘মৃত্যুদণ্ড’-এর বিধান রেখে সংশোধনী আনা হয়। অথচ আমাদের ’৭২-এর বিডিআর আইনে সংশোধনীর কথাটি কারও মাথায় আসেনি। লেখকের প্রশ্ন যথার্থই।
বাংলাদেশে সামরিক বাহিনীর আইনে সংস্কারের বিষয়টি কেন এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের জবাব চাওয়াটা প্রাসঙ্গিক। সামরিক বাহিনীর আইনে দেখা যায়, আর্মি অ্যাক্ট ১৯৫২-এর ১৩৩ ধারা, নেভি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১-এর ১৪০ ধারা এবং এয়ার ফোর্স অ্যাক্ট ১৯৫৩-এর ১৬২ ধারায় কোর্ট মার্শালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, কোর্ট মার্শালের রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল চলবে না। বলা হয়েছে, কোনো আদালত এর বৈধতা, পদ্ধতি ও গঠনের যথার্থতার প্রশ্নে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না।
এ স্বাভাবিক ন্যায়বিচার বা ‘ন্যাচারাল জাস্টিস’বিরোধী বিধানের সংস্কারে কারও তোড়জোড়ই নেই। সামরিক বাহিনীর আইনগুলোয় সংশোধনী নয়, মহা সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে। এখানে প্রাসঙ্গিক আর একটি বিষয়ে বলে রাখি। সেনা আইনের আরেকটি বিরাট বাধা হচ্ছে ‘ডকট্রিন অব প্লেজার অব দ্য প্রেসিডেন্ট’-এর বিধান। এখানে বলা আছে, ‘Every officer and sailor shall hold office during the pleasure of the president’। এই ডকট্রিন অব প্লেজারের আওতায় সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল নাসিম এবং সাবেক নৌপ্রধান আমীর আহমেদ মোস্তফাকে কোনো কারণ দর্শানো এবং কোনো সময় না দিয়েই বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁরা অনেক দিন উচ্চ আদালতের বারান্দায় ঘুরে ঘুরেও এবং আদালতের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে চেয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। আদালত এ ডকট্রিন অব প্লেজারের দোহাই দিয়ে তাঁদের বরখাস্তের আদেশ বহাল রাখেন।
আমি নৌবাহিনীর জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে নিযুক্ত থাকাকালে সামরিক বাহিনীর সংস্কারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুপারিশের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ৬ অক্টোর ১৯৯৭-এ আইন কমিশন বরাবর সামরিক বাহিনীর আইনের বিভিন্ন ত্রুটি এবং সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। আমার আশা ছিল, আইন কমিশন এ প্রস্তাব বিবেচনায় এনে সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
নৌবাহিনীর আইনের পাশাপাশি আমার সহকর্মী অন্য দুই বাহিনীর জজ অ্যাডভোকেটদেরও অনুরূপ প্রস্তাব পাঠাতে অনুরোধ করি। আইন কমিশনের তত্কালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম আফজালের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাত্ করে এ বিষয়ে অবগত করি। এ ছাড়া তদানীন্তন আইন কমিশনের সচিব (সাবেক সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার) ইকতেদার আহমেদ এবং বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সচিব (বর্তমান আইনসচিব) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গেও দেখা করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার জন্য বলি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, কারও কাছ থেকে কোনো সদুত্তর আসেনি। এখন হয়তো এ নথি আইন কমিশনের পুরোনো স্তূপে জমা আছে, যদি উইপোকা না খেয়ে থাকে। আমি অবসরগ্রহণের পর আমার উত্তরসূরি এ পদে আসীন জজ অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বলি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ অক্টোবর ২০০৫ সালে তিনিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিকট একই বিষয়ে লিখিত আবেদন করেন। তিন বাহিনীর গলায় ফাঁস লাগানোর অনেক বিধানই বাহিনীর নিজস্ব আইনগুলোয় রয়েছে। আগেই বলেছি, সামরিক বাহিনীর আইনে সূচনা অংশেই সামরিক কর্মকর্তাদের সাধারণ ও নিজস্ব আইনের আওতায় আনা যায় বলা হলেও প্রতিটি পরতে এ বিধানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একই আইনে মূলনীতির সঙ্গে আইনের ধারার দ্বৈততা তৈরি হয়েছে।
সাংবাদিক লেখক মিজানুর রহমান খান চোখে আঙুল তুলে দেখিয়েছেন, সেনা আইনের সংস্কারের বিষয়টি। এ মত অবিলম্বে আমলে নেওয়া উচিত। লেখক ভারত, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনা আইনের সংস্কারের বিষয়টি স্পষ্ট বিশ্লেষণ করেছেন। এতে আমাদের বিশ্লেষণক্ষমতাহীন ও চিন্তাক্ষমতাহীন কর্তৃপক্ষের মস্তিষ্কে নতুন করে তাগাদা আসা উচিত। অ্যামিকাস কিউরি এবং বিচারপতিদের সিদ্ধান্তের অংশেও সেনা আইনের সংস্কারের প্রসঙ্গটি আসতে পারত। ২০০৯ সালে ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সামরিক বাহিনীর জন্য স্বাধীন আপিল ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত হয়েছে। ভারতের তত্কালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের ভাষণের কিছু অংশ লেখক উল্লেখ করেছেন। আমাদের শাসক এবং বিজ্ঞজনদের উচিত এ থেকে উদ্বুদ্ধ হওয়া। ভারতের আইন কমিশনের রিপোর্টও আমাদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। এ নৃশংস ঘটনার বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে যে প্রশ্ন উপলব্ধি করা গেছে, তা থেকে সামরিক বাহিনীর আইনের সংস্কারের যে গুরুত্ব, তা ফেলে দেওয়া যাবে না।
মোহাম্মদ ফজেল করিম খান: ইনস্ট্রাক্টর ক্যাপ্টেন, বিএন (অব.); সাবেক জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল, বাংলাদেশ নৌবাহিনী; বর্তমান প্রক্টর, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ।
fazlekarim2002@yahoo.com
No comments