বিদেশে কর্মরত নারীদের নিরাপত্তা -বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মরত বাংলাদেশি নারীদের বেশির ভাগ গৃহকর্মী এবং তাঁদের অনেকেই শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার। তাঁদের মাত্র পাঁচ ভাগ হয়তো নিরাপদ, কিন্তু বাকিদের সবাই নিয়োগকর্তাদের হাতে নির্যাতনের শিকার। ২০ শতাংশ নারীকর্মী যৌন নির্যাতনের শিকার। এই ভয়াবহ চিত্র উদ্ঘাটিত হয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এক সমীক্ষায়। এ ধরনের খবর গণমাধ্যমে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হলেও সরকার বা কর্তৃপক্ষ খুব বেশি তত্পর হয়নি। কিন্তু এবার বিদেশে কর্মরত ২৫০ জন নারীকর্মীর সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে উপস্থাপিত প্রতিবেদনটি কোনোভাবেই আর উপেক্ষা করা যাবে না।
প্রবাসী বাঙালিরা দেশের অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান হারে অবদান রাখছেন। বাংলাদেশের মোট দেশজ আয়ের (জিডিপি) প্রায় ৯ দশমিক ৪ শতাংশ (২০০৭ সালের হিসাবে) আসে প্রবাসীদের আয় থেকে। সুতরাং এই খাতের সুষ্ঠু বিকাশ জাতীয় অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নারীকর্মীরা যদি এভাবে নির্যাতিত ও নিগৃহীত হতে থাকেন, তাহলে তাঁদের প্রবাসে কাজ করাই অসম্ভব হয়ে পড়বে। একশ্রেণীর অর্থলোভী লোক প্রবাসে কর্মী প্রেরণের নামে প্রতারণা করে। ভালো বেতন ও সুযোগ-সুবিধার কথা বলে বিদেশে পাঠানোর পর বিশেষত নারীকর্মীরা অসহায় অবস্থায় পড়েন। তাঁদের অমানবিক কাজে নিয়োগ করা হয়। জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের গৃহকর্মীরা বাহরাইন ও দুবাইয়ে মাসে মাত্র ১০০ ডলারের মতো বেতনে কাজ করতে বাধ্য হন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাত হাজার টাকারও কম। সেখানে ন্যূনতম বেতন বলতে কিছু নেই। না আছে শ্রম আইন, না আছে অন্যায়ের প্রতিবাদের উপায়। যেসব আদম-ব্যবসায়ী জেনেশুনে সরলমনা বাঙালি নারীদের প্রতারিত করে, যারা এ ধরনের পাপকাজে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের শিথিলতা চলতে দেওয়া যায় না।
আমাদের দেশে কর্মীদের বিদেশে কাজ নিয়ে যাওয়ার আগে ও ফিরে আসার পর ভালো প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ব্যবস্থা কার্যকর করা হলে সমস্যা কিছুটা কমিয়ে আনা যাবে। তবে প্রবাসে যাওয়ার পর যেন সেখানে নারীরা প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা দরকার। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলোতে বিশেষ সেল বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকা দরকার, যাঁরা বিশেষভাবে নারীকর্মীদের নির্যাতনের যেকোনো ঘটনায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন। প্রবাসী নারীকর্মীদের কাছে মোবাইল ফোন ও দূতাবাসে জরুরি যোগাযোগের নম্বর থাকলে বিপদ-আপদে সহিংসতার শিকার নারীরা খুব উপকৃত হবেন। এ ধরনের একটি পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানা গেছে। আমরা আশা করব, ব্যবস্থাটি যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।
প্রবাসী বাঙালিরা দেশের অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান হারে অবদান রাখছেন। বাংলাদেশের মোট দেশজ আয়ের (জিডিপি) প্রায় ৯ দশমিক ৪ শতাংশ (২০০৭ সালের হিসাবে) আসে প্রবাসীদের আয় থেকে। সুতরাং এই খাতের সুষ্ঠু বিকাশ জাতীয় অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নারীকর্মীরা যদি এভাবে নির্যাতিত ও নিগৃহীত হতে থাকেন, তাহলে তাঁদের প্রবাসে কাজ করাই অসম্ভব হয়ে পড়বে। একশ্রেণীর অর্থলোভী লোক প্রবাসে কর্মী প্রেরণের নামে প্রতারণা করে। ভালো বেতন ও সুযোগ-সুবিধার কথা বলে বিদেশে পাঠানোর পর বিশেষত নারীকর্মীরা অসহায় অবস্থায় পড়েন। তাঁদের অমানবিক কাজে নিয়োগ করা হয়। জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের গৃহকর্মীরা বাহরাইন ও দুবাইয়ে মাসে মাত্র ১০০ ডলারের মতো বেতনে কাজ করতে বাধ্য হন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাত হাজার টাকারও কম। সেখানে ন্যূনতম বেতন বলতে কিছু নেই। না আছে শ্রম আইন, না আছে অন্যায়ের প্রতিবাদের উপায়। যেসব আদম-ব্যবসায়ী জেনেশুনে সরলমনা বাঙালি নারীদের প্রতারিত করে, যারা এ ধরনের পাপকাজে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের শিথিলতা চলতে দেওয়া যায় না।
আমাদের দেশে কর্মীদের বিদেশে কাজ নিয়ে যাওয়ার আগে ও ফিরে আসার পর ভালো প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ব্যবস্থা কার্যকর করা হলে সমস্যা কিছুটা কমিয়ে আনা যাবে। তবে প্রবাসে যাওয়ার পর যেন সেখানে নারীরা প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা দরকার। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলোতে বিশেষ সেল বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকা দরকার, যাঁরা বিশেষভাবে নারীকর্মীদের নির্যাতনের যেকোনো ঘটনায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন। প্রবাসী নারীকর্মীদের কাছে মোবাইল ফোন ও দূতাবাসে জরুরি যোগাযোগের নম্বর থাকলে বিপদ-আপদে সহিংসতার শিকার নারীরা খুব উপকৃত হবেন। এ ধরনের একটি পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানা গেছে। আমরা আশা করব, ব্যবস্থাটি যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।
No comments