এক মাসে প্রতি মণ পাটের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত by আসিফ হোসেন,
চলতি মৌসুমের শুরুতে দেশে পাটের চড়া দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি হলেও গত এক মাসে প্রতি মণ পাটের দাম ৩০০ টাকা কমে গেছে।
সরকার পাট ক্রয়ের জন্য ২০০ কোটি টাকা বিজেএমসিকে বরাদ্দ দেওয়ার পর তারা বেশি দামে পাট ক্রয় করে এখন কম দামের সময় আর্থিক সংকট দেখিয়ে হাত গুটিয়ে বসে আছে। বর্তমানে বিজেএমসি-নিয়ন্ত্রিত পাটকলগুলোতে দেনার পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকা।
এদিকে সরকারি ক্রয়কেন্দ্রগুলোতে পাট ক্রয় নিয়ে বিক্রেতাদের রয়েছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। আর্থিক অনিয়মসহ অদক্ষ পরিচালনার জন্য সরকারনিয়ন্ত্রিত পাটকলগুলোকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ লোকসান গুনতে হচ্ছে।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে সারা দেশে ১৫টি পাটকলের জন্য ১২০টি ক্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়। গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জের হাফিজ জুট মিলের ক্রয়কেন্দ্রে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী প্রতি মণ পাটের দাম এক হাজার ৬০১ টাকা দর প্রদান করে আনুষ্ঠানিকভাবে পাট ক্রয়ের কার্যক্রম শুরু করেন।
মৌসুমের শুরুতে সারা দেশে সাদা পাট প্রতি মণ এক হাজার ২০০ টাকা এবং তোষা পাট এক হাজার ৩০০ টাকা মণ দরে কেনাবেচা হওয়ায় কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হয়েছিলেন। সরকার এ সময় পাট ক্রয়ের জন্য বিজেএমসিকে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে পাট ক্রয় শুরু করলে প্রথমে বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তবে এক মাসের মধ্যে পাটের বাজারদর নিম্নমুখী হয়। এ সময় সরকারি ক্রয়কেন্দ্রগুলোতে অনিয়মের মাধ্যমে বেশি দরে চার লাখ মণ অতিরিক্ত পাট ক্রয় করলে দেনা বেড়ে ১০০ কোটি টাকা হয়। আর বিগত বছরের দেনাসহ বর্তমানে ২৫০ কোটি টাকা দেনা হয়ে যায়।
এদিকে সরকার নতুনভাবে পাট ক্রয় খাতে কোনো টাকা বরাদ্দ না দেওয়ায় কৃষকসহ প্রায় পাঁচ হাজার ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী বিপাকে পড়ে গেছেন।
গত শনিবার দেশের প্রধান পাটের মোকাম নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা, খানপুর ও হাজীগঞ্জ এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি মণ সুতিপাট ৯০০, তোষা ৯৫০ থেকে এক হাজার টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছে।
সরকারি একটি মিলের একজন পাট ক্রয় কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, বাজারমূল্যের চেয়ে ১০০ টাকা বেশি দরে তিনি নরসিংদীর একটি মিলের জন্য পাট ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে বেসরকারি পাট বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটির মালিক জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে মিলের কর্মকর্তারা এক হাজার ৩৫০ টাকা মণ দরে অতিরিক্ত পাট ক্রয়ের বিল করে রেখেছিলেন। বর্তমানে এক হাজার ১০০ টাকা মণ দরে পাট ক্রয় করে ফরিদপুরের একটি ক্রয়কেন্দ্রের বিল তাঁকে দিয়ে যাচ্ছে। বিলের অতিরিক্ত টাকা পরিশোধের পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দিয়ে দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাট বিক্রেতা আরও জানান, বিজেএমসি থেকে শুরু করে মিল পর্যন্ত বিষয়টি জানাজানি হলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ ব্যাপারে বিজেএমসির পরিচালক (পাট) আবু সাঈদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বিজেএমসি ৩০ লাখ মণ পাট ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে মিল-ঘাটসহ ১২০টি ক্রয়কেন্দ্রে ১৩ লাখ মণ পাট ক্রয় করা হয়েছে। ঢাকা জোনের পাঁচটি মিলে ৪৩ ভাগ, খুলনা জোনে সাতটি মিলে ৩৮ ভাগ ও চট্টগ্রাম জোনের তিনটি মিলে ৪১ ভাগ পাট ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানে বিজেএমসি মিল ঘাটে সুতি এক হাজার ৫৫ টাকা এবং তোষা এক হাজার ১০৫ টাকা দরে ক্রয় করছে। পাট ক্রয়কেন্দ্রে ঘাটের দরের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা কম।
সরকার পাট ক্রয়ের জন্য ২০০ কোটি টাকা বিজেএমসিকে বরাদ্দ দেওয়ার পর তারা বেশি দামে পাট ক্রয় করে এখন কম দামের সময় আর্থিক সংকট দেখিয়ে হাত গুটিয়ে বসে আছে। বর্তমানে বিজেএমসি-নিয়ন্ত্রিত পাটকলগুলোতে দেনার পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকা।
এদিকে সরকারি ক্রয়কেন্দ্রগুলোতে পাট ক্রয় নিয়ে বিক্রেতাদের রয়েছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। আর্থিক অনিয়মসহ অদক্ষ পরিচালনার জন্য সরকারনিয়ন্ত্রিত পাটকলগুলোকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ লোকসান গুনতে হচ্ছে।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে সারা দেশে ১৫টি পাটকলের জন্য ১২০টি ক্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়। গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জের হাফিজ জুট মিলের ক্রয়কেন্দ্রে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী প্রতি মণ পাটের দাম এক হাজার ৬০১ টাকা দর প্রদান করে আনুষ্ঠানিকভাবে পাট ক্রয়ের কার্যক্রম শুরু করেন।
মৌসুমের শুরুতে সারা দেশে সাদা পাট প্রতি মণ এক হাজার ২০০ টাকা এবং তোষা পাট এক হাজার ৩০০ টাকা মণ দরে কেনাবেচা হওয়ায় কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হয়েছিলেন। সরকার এ সময় পাট ক্রয়ের জন্য বিজেএমসিকে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে পাট ক্রয় শুরু করলে প্রথমে বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তবে এক মাসের মধ্যে পাটের বাজারদর নিম্নমুখী হয়। এ সময় সরকারি ক্রয়কেন্দ্রগুলোতে অনিয়মের মাধ্যমে বেশি দরে চার লাখ মণ অতিরিক্ত পাট ক্রয় করলে দেনা বেড়ে ১০০ কোটি টাকা হয়। আর বিগত বছরের দেনাসহ বর্তমানে ২৫০ কোটি টাকা দেনা হয়ে যায়।
এদিকে সরকার নতুনভাবে পাট ক্রয় খাতে কোনো টাকা বরাদ্দ না দেওয়ায় কৃষকসহ প্রায় পাঁচ হাজার ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী বিপাকে পড়ে গেছেন।
গত শনিবার দেশের প্রধান পাটের মোকাম নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা, খানপুর ও হাজীগঞ্জ এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি মণ সুতিপাট ৯০০, তোষা ৯৫০ থেকে এক হাজার টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছে।
সরকারি একটি মিলের একজন পাট ক্রয় কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, বাজারমূল্যের চেয়ে ১০০ টাকা বেশি দরে তিনি নরসিংদীর একটি মিলের জন্য পাট ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে বেসরকারি পাট বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটির মালিক জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে মিলের কর্মকর্তারা এক হাজার ৩৫০ টাকা মণ দরে অতিরিক্ত পাট ক্রয়ের বিল করে রেখেছিলেন। বর্তমানে এক হাজার ১০০ টাকা মণ দরে পাট ক্রয় করে ফরিদপুরের একটি ক্রয়কেন্দ্রের বিল তাঁকে দিয়ে যাচ্ছে। বিলের অতিরিক্ত টাকা পরিশোধের পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দিয়ে দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাট বিক্রেতা আরও জানান, বিজেএমসি থেকে শুরু করে মিল পর্যন্ত বিষয়টি জানাজানি হলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ ব্যাপারে বিজেএমসির পরিচালক (পাট) আবু সাঈদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বিজেএমসি ৩০ লাখ মণ পাট ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে মিল-ঘাটসহ ১২০টি ক্রয়কেন্দ্রে ১৩ লাখ মণ পাট ক্রয় করা হয়েছে। ঢাকা জোনের পাঁচটি মিলে ৪৩ ভাগ, খুলনা জোনে সাতটি মিলে ৩৮ ভাগ ও চট্টগ্রাম জোনের তিনটি মিলে ৪১ ভাগ পাট ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানে বিজেএমসি মিল ঘাটে সুতি এক হাজার ৫৫ টাকা এবং তোষা এক হাজার ১০৫ টাকা দরে ক্রয় করছে। পাট ক্রয়কেন্দ্রে ঘাটের দরের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা কম।
No comments